বয়সীদের কাছে বসলেই নিজেকে অসহায় লাগে
কি-না দাপটই ছিল এককালে,
সেই দাপট কোথায় আজ?
ক্রোর কিংবা অহম হাসি
বাঁকা চোখ চাহনি
ঠোঁটকাটা তিতে কথা
ঘরময় কথার দাপট!
দৃষ্টি গুলো যেনো মাছির ছিলো
সর্বত্রই খেয়াল, কে কি করলো
কে কি খেলো, আহা আজ এতটাই যেনো বেখেয়ালী।
অসহায় চোখের তাকানো দেখলে কলিজা শুকিয়ে যায়,
পরনির্ভরশীল আগাছা আজ!
শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণহারা মানুষগুলোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে,
এবার তবে অপেক্ষা, শেষ খেয়া ধরার আশে মুহুর্ত গুনা।
বুকের ভিতরে হাহাকারের ঢেউ উঠে ভাবলে,
তুচ্ছ লাগে সকল আনন্দ, তুচ্ছ লাগে বেঁচে থাকা!
কেটে গেলো আধেক জীবন,
উলটা গুনতি শুরু, চোখ বন্ধ করে ভাবনার জগতে পা রাখি
অসহায়ত্বের দোরগোড়ায় এই পৌঁছলাম বলে।
আমি কার কে আমার, কেউ নই কারো,
তবুও সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা।
আমি সংসার চাই নে, দাপট চাই নে,
অধিকার চাই নে, কেউ ভালোবাসুক তাও চাই নে,
আমার উপর নির্ভর করুক কেউ সেও চাই নে
হে আল্লাহ মুছে দাও মনের অহম ঈর্ষা হিংসা আর
প্রতিশোধ পরায়ন মন যেনো কভু না হয় আমার।
এখানে বার্ধ্যক্যের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে।