মাঠ-ঘাট পেরিয়ে,খাল-বিল ছাড়িয়ে
চলেছি মুক্তির টানে।
ভয়-ভীতি তাড়িয়ে,দ্বিধা-ব্যথা ভুলিয়ে,
চলেছি মুক্তির পানে ।
কারে বলে মুক্তি,কিবা তার যুক্তি?
প্রশ্ন কর যদি,নাই কোনো উক্তি ।
এই কথা ভেবে তাই,আনমনে ছুটে যাই
চিত্কার করে বলি মুক্তি চাই,মুক্তি চাই ।
স্বাধীন দেশের স্বাধীন জাতি,মুক্তি নিয়ে কান্না-কাটি,
আপন পরান নিয়ে দেখো,যে যার পথে যাচ্ছে হাটি ।
মুক্ত যদি হব মোরা,তবে কেন এত অভাব
ভীন দেশী সব বরণ করি,এটা কেমন স্বভাব ।
মুক্ত করতে বাংলা ভাষা ,জীবন দিল যে জাতি,
সেই ভাষাতে নিজ হাতে,আমরা কেন কালি মাখি ।
স্বাধীন করতে দেশটাকে,বিলিয়ে দিল প্রাণটাকে,
মুক্তির চেতনায়,তুচ্ছ করে জানটাকে ।
মুক্ত হলো সোনার বাংলা নয় মাসের চেষ্টায়
যায়নি সরে কালো থাবা,আজও আছে দেশটায় ।
মুক্ত বাংলায় আজ দেখো,ভাই মারে ভাইটাকে ,
কি মুক্তি পেলাম বলো,আমরা স্বাধীন দেশটাতে?
মুক্ত যে ওই নীল আকাশ,মুক্ত হলো বাতাস,
মনের কাছে বন্দী সবাই,মনে-মনে হতাশ ।
স্বাধীন দেশের পতাকায়,মুক্তি আছে চেতনা নাই
হিংসা আর লুটপাটে ভরে আছে দেশটায়।
মুক্ত হবার নামে দেখো ছুটছে কে কার আগে
মুখ্শধারী মানুষগুলো সাজলো কেমন সাজে।
মুক্তি সেতো ধনীলোকের,তাদের হাতের কব্জায়
গরিব সেতো বন্দী পাখি,শিকল পরা খাঁচায়।
অন্যায় আর অবিচারে এই না ভরা দেশটায়
চেতনা ভাই কেমনে রবে,মুক্তির তো দেখা নাই ।
এটাই যদি মুক্তি হবে,বল মুক্তির মঞ্চ
বলব আমি মিথ্যে সবই,করছো শুধু রঙ্গ ।
মুক্তি পেতে এসব থকে,আর একটি চাই লড়াই
দুমড়ে-মুচড়ে এসো সবাই দেশটি আবার গড়াই।
সাঝের বেলায় ক্লান্ত শরীর,বুজে আসে দুচোখ
পেলাম নাতো কারো কাছে মুক্তিটারী খোঁজ ।
মুক্তির চেতনায়,কত শত ভাবনায়
ফিরে এলাম হেথায়,ছিলাম আমি যেথায় ।
০১ মার্চ - ২০১১
গল্প/কবিতা:
২১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪