মা বললেন- চুলগুলো ছোট কর বাবা এমন চুল পুরুষকে মানায় না। তেল চিরুনি নেই, উস্কোখুস্কো লম্বা চুলে শয়তান বাসা বাঁধে।
আমিতো বিদ্রোহী; আমি উদ্দাম শেকলপরা সমাজের আতংক; সাধারণ প্রবাহমানতার গতি মুখ ঘুরিয়ে দেই আমি। মা আমাকে এখনও শিশু ভাবে । আমি মুচকি হেসে বললাম- তুমি বড্ড সেকেলে মা।
কাজলরেখা বলল- জুলফি চুলে যুবা পুরুষকে কেমন লাগে জানো- হিজড়া। সেলুনে যাও। কবে দেখবে কাক পৰী ডিম পেড়েছে। কাজলরেখা বলল- কাজলরেখা হাসল- ওর হাসি দেখলেই আমি শিথিল হয়ে যাই আমার দ্রোহ, আমার উদ্দামতা মিইয়ে যায়। আমিতো কাঙাল; আমি উন্মাদ ওর সকল প্রেমিকের জন্য ত্রাস আমি নবগ্রহের মালা গেঁথে পরাতে পারি ওর গলায়। আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বললাম- তথাস্তু দেবী।
মধ্য রাতে দরজা খুলে দিয়ে একরাশ বিরক্তি নিয়ে মা বললেন- এত রাত করিস বাবা। তুই যে কবে সুস্থির হবি। আমার ছোট চুলের দিকে তাকিয়ে মায়ের ঠোঁটে খুশির দানা চমকায়। ঘুম ঢুলু ঢুলু চোখে গলায় আদর এনে মা বলেন- লৰী বাবা। এই প্রথম মায়ের একটা কথা শুনলি।
শব্দ করে হেসে ওঠেন মা। আমি হাসি- আমি লজ্জা পাই- এই প্রথম মায়ের কথায় লজ্জা পেলাম আমি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
দীপক সাহা
সুন্দর সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ. যুক্তাক্ষর -এ আমি সচেতন. যখন গল্প কবিতায় ছাপা হয়েছে তখন 'ক্ষ" বানানটি 'ব্ব'-এর মত হয়ে গেছে। কারো কারো আক্কেল দেবার জন্য কাবাবে হাড্ডি থাকা ভাল নয় কি ?
নাজমুল হাসান নিরো
মাকে নিয়ে লেখা সবচেয়ে ব্যতিক্রম লেখা যা সবচে' কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। তবে আমার কাছে কেমন জানি দীপকদাকে কবিতার চেয়ে ছড়াতেই বেশি মানানসই লাগে। আর শিরোনামটা কেমন জানি খুব ভাল লাগল না। মনে হয় নাম দুটো একসাথে চলনসই নয়।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।