উফ চারদিকে যা ভাইরাসের বিচরণ চলছে তাতে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয় ।বর্তমানের যে ভাইরাস গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে তার একটি নিপা অন্যটি আনন্দের ক্রিকেট বিশ্বকাপ।এমনিতেই বাঙ্গালি নাচুনি বুড়ি তার উপর ঢাকের বাড়ি\\ কারণ এমনিতেই বিশ্বকাপ কথাটা যে খেলার সাথে যুক্ত থাকুক তাতেই এত লাফালাফি , তার উপর বাংলাদেশ আছে আয়োজক রূপে\\ এখন যে ঝাপাঝাপি করে কেউ আহত হয়নি এই যথেষ্ট ।এই সব সাত-পাঁচ চিন্তা করতে করতে আজ সকালের অনেকটা সময় নষ্ট করল ঊষা । গড়ির দিকে তাকিয়ে মাথাটা তিড়িক করে উঠল । তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা হল ।
বাস ধরার উদ্দেশ্যে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি গুলোর ছাদের দিকে তাকালো সে । ছাদ গুলো আর সব দিনের মতই আছে । তবে কিছু কিছু ছাদে বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে । সেটার সংখ্যা বেশি না । হঠাৎ ঊষার মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিল - ফুটবল বিশ্বকাপ হলে তখন প্রায় প্রতিটি ছাদ বিভিন্ন পতাকায় শোভিত হয় ।বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার । পতাকার দৈর্ঘ্যর নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা । দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় আসলে কোন দেশে আছি আমরা ! অথচ সেই খেলায় বাংলাদেশ নেই । আর এদিকে ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আছে । কিন্তু খুব কম বাড়ির ছাদে বাংলাদেশের পতাকা শোভিত পাচ্ছে ।অথচ সেই খেলায় বাংলাদেশ নেই ।ক্রিকেট বিশ্বকাপে আছে ।কিন্তু খুব কম বাড়ির ছাদে নিজ দেশের সমর্থনে পতাকা উড়ছে । সত্যিই অদ্ভুত !! ইস্ আমিও তো দেখছি সেই ভাইরাসে জড়িয়ে পড়ছি । ঊষা নিজেকে সামলে নিল । বাস এসেছে , উঠে পড়ল বাসে । উৎস আজ সকাল থেকে ঊষার পেছনে লেগেছে ।ছোট ভাইয়ের আবদার তাকে বাংলাদেশের পতাকা আর ব্যান্ড এনে দিতে হবে । ঊষা-আরে তুই কি স্টেডিয়ামে খেলা দেখবি যে এগুলো লাগবে? তোকে কি টিভি তে দেখাবে যে সাজগোজ করবি ? উৎস - না আমি বাড়ির টিভিতে দেখব ।কিন্তু এসব পড়ে দেখলে তবেই না মনে হবে খেলা দেখছি । -ঠিক আছে এনে দেব । ছোট ভাইয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে তো ঊষার চোখ চড়ক গাছ ! এত্ত ভিড় ! যাক বিশ্বকাপে একটা খন্ডকালীন ব্যবসা হয়েছে এই বেকার দেশের জন্য । আশা ,উন্মাদনা ও চাওয়ার দৈর্ঘ্যর এত্ত বেশি যে সেই দৌড় প্রতিযোগিতায় বাংলার টাইগাররা পৌঁছাবে কিনা তা বলা মুশকিল ।কিন্তু এর জন্য এক অন্যরূপ দেখল বাংলাদেশের মানুষ । সেই ঢাকা এই ঢাকা নও তুমি !! যেন 'ফেয়ার এন্ড লাভলী'-এর এড এর মত পরিবর্তন হয়ে গেছে ঢাকা । যাক এই ভাইরাস কিছু তো দিল যা অন্যরকম করে এই দেশকে দেশের মানুষরা দেখল । খেলা নিয়ে মাতামাতি বা তেমন আকর্ষণ না থাকলেও কেন যে বাংলাদেশের খেলা হলে ঊষাও টিভির সামনে বসে যায় । মনের মাঝে উৎকণ্ঠা কাজ করে । আসলে সেও যে ভাইরাসে ভুগছে । আর সেই ভাইরাসের নাম বিশ্বকাপ । বাংলাদেশের মানুষ দল মত-চিন্তা-চেতনায় বিভেদ থাকলেও একটি বিষয়ে তারা তো একই ভাইরাসে ভুগছে ।ঊষা ভাবে -সত্যি এই ভাইরাস কাওকে ছাড় দিল না । তবে তা মন্দ না ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।