সেই মার্চের কৃষ্ণ রাতে,
যখন শহর ঘুমায়,
হঠাৎ মেশিনগানের গর্জনে সব নীরবতা কাঁপে।
অন্ধকার চিরে আসে আগুনের লাল শিখা,
শত জনমের স্বপ্ন ভেঙে খান খান,
বুকে জ্বলে ধিকি ধিকি আক্ষেপ।
হিমালয় হতে বঙ্গোপসাগর,
উত্তাল ঢেউয়ে কেঁপে ওঠে দেশান্তর।
মাটি কাঁদে, বাতাস কাঁপে,
কাঁপে বাংলার প্রাণ, নিহত শিশুর ক্লিষ্ট মুখ, বুকে মায়ের চিৎকার,
সহস্র আর্তনাদে মেশে মুক্তির আহ্বান।
সেই রাতে রক্তে আঁকা হলো স্বাধীনতার পথ।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা- সাক্ষী সব নদী,
অসংখ্য জীবন দিয়েছে আত্মাহুতি নিরবধি।
কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র আর বুদ্ধিজীবী দল,
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে তুলে নিল বল।
গেরিলা সেজে বন-জঙ্গলে লড়ে,
প্রতিটি আঘাত হানলো শত্রুর বুক ফুঁড়ে।
বীরাঙ্গনার চোখে মুক্ত স্বপ্ন জ্বলে,
তাদের সাহস গাথা ইতিহাসে মেশে চলে।
ত্যাগ আর অসীম সাহসের নয় মাস,
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে রচিত হল স্বাধীনতার ইশতেহার।
ঘর পোড়া গন্ধ,
স্বজন হারানোর বেদনা,
তবুও হার মানেনি এ জাতি, ছিল এক দুরন্ত প্রেরণা।
অবশেষে এলো সেই বিজয়ের সোনালী প্রভাত
এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
ডিসেম্বরের ষোল,
শত্রুসেনা নতজানু,
ঘুচলো সকল ঋণ।
বিজয়ের উল্লাসে মুখরিত সব দিক,
জন্ম নিল বাংলাদেশ,
বিশ্বের বুকে নির্ভীক।
সবুজের মাঝে লাল,
মোদের পরিচয়,
এই রক্তঋণ, কখনও যেন না হয় ক্ষয়।
স্মরি তাঁদের,
যাঁরা দিয়েছে প্রাণ বলি,
সালাম জানাই সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার চরণতলি।
বীরত্বের গাথা, চির অম্লান রবে, স্মরণে রাখিব, সেই ত্যাগে।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
সেই মার্চের কৃষ্ণ রাতে,
যখন শহর ঘুমায়,
১৭ নভেম্বর - ২০২৫
গল্প/কবিতা:
২ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী