"তাড়াতাড়ি লিপস্টিকটা দে, এবার মেকআপটা শেষ করব", বলল এমা।
"এই নাও", বলল তিনা।
লিপস্টিকটা বাইরে থেকে দেখতে খুবই সুন্দর। ঠিক যেন সদ্যফোঁটা গোলাপ। ভিতরে কেমন কে জানে, নতুন লিপস্টিক তো, কনের ব্যাগের ভিতরে দেয়া ছিল।
কেমন যেন খয়েরি খয়েরি রঙ ফুটে উঠছে কনের ঠোঁটে।
সকালে উঠতে তেমন কোনো কষ্ট করতে হয়নি জারার, কেমন যেন ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজ চারিদিকে।
বিয়ের দিন অথচ পড়ার মতো কোনো শাড়ি নেই এমনটা হয়নাই জারার ক্ষেত্রে। জারার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক, পূর্ব পাকিস্তানে তাদের বাড়িঘর। তারই এক বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করা হয়েছে জারার। ছেলে একজন জার্নালিস্ট, থাকে জাহাঙ্গীরনগরে।
আজ ১৯ জানুয়ারি, ১৯৭১।
"চুলার জ্বাল একটু বাড়িয়ে দে, আমেনা। আর ভালো করে দেখ্ গোশতটা সিদ্ধ হয়েছে কি না!" বললেন রহিমা বিবি। আজ তার মেয়ের বিয়ে। বাড়িঘর ভর্তি আত্মীয়স্বজন। কত দিকে তাল দেয়া যায়। এদিকে মেয়েকেও গুছিয়ে কিছু বলতে পারেননি রহিমা বিবি। হঠাৎ কে যেন বিলাপ করতে করতে এসে জুটলো। ছেলের বাড়ি থেকে টেলিগ্রাম করেছে, মিলিটারি এসে নাকি ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। কি একটা ব্যাপারে ছেলের সাথে বচসা হয় তার এক বন্ধুর, এরপর ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বাতাসের আগে ছড়ায় এই খবর, পুরো বাড়িতেই কান্নার রোল পড়ে যায়।
খবরটা যে জারার কানে যায়নাই তা কিন্তু না, সে পুরাই থ'মেরে গেছে। মনে মনে সে অনেকটাই মুষড়ে পড়ে। লিপস্টিকটার দিকে সে একবার তাকায়। সেটাকে জারার কাছে রক্তের মতো লাল মনে হতে থাকে। আয়নার দিকে তাকিয়ে তার নিজেকে রক্তচোষা মনে হতে থাকে। সে দৌড়ে তার মায়ের কাছে যায় মাকে একবার ভালো করে দেখার জন্য, সে নিশ্চয় খবরটা জেনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্র মনে হতে থাকে তার নিজের জীবনের এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়কে। অজান্তেই দু'ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে তার গাল বেয়ে, এ অশ্রু স্বাধীনতার নয়, বরং একরকম বন্দিত্বের।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
গল্পটি একেবারে মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকের একটি গল্প। স্বাধীনতাকামী জনগণের কাছে এ গল্প পরাধীনতার, যেন গল্পটি মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত করে বাংলাদেশের মানুষকে।
২২ সেপ্টেম্বর - ২০২৫
গল্প/কবিতা:
৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।