আতঙ্ক—
সে তো কেবল অন্ধকার নয়,
সে হলো ভেতরের অচেনা দর্পণ,
যেখানে মানুষ দেখে
নিজের ভাঙা স্বপ্ন,
নিজের অস্থির নিশ্বাস,
নিজের অনিশ্চিত আগামী।
কতবার তুমি ভেবেছো—
আমি পারব না,
কতবার অকারণ কাঁপন
তোমাকে থামিয়ে দিয়েছে মাঝপথে।
কিন্তু শুনো—
আতঙ্ক তোমার শত্রু নয়,
সে তোমার শিক্ষক।
যেমন ঝড় শেখায় গাছকে
আরও গভীর শিকড় গাঁথতে,
তেমনি আতঙ্ক শেখায়
মানুষকে নিজের ভেতর আলো খুঁজতে।
জীবন যখন কাঁপিয়ে দেয়,
তখনই মানুষ আবিষ্কার করে—
সাহস মানে ভয় না থাকা নয়,
সাহস মানে ভয়কে নিয়েই
এক পা সামনে এগিয়ে যাওয়া।
আতঙ্কের হাত ধরে
যদি তুমি ভোর পর্যন্ত হাঁটতে পারো,
দেখবে—
সবচেয়ে ভীত রাতের বুকেই
লুকিয়ে আছে সবচেয়ে নির্মল ভোর।
তাই এ ভয়ের রাতকে
অভিশাপ ভেবো না,
এ রাতই তো তোমাকে শেখাচ্ছে—
তুমি কেবল ভয়ে বাঁধা মানুষ নও,
তুমি আলো খুঁজে ফেরা যাত্রী,
যে ভোরকে জন্ম দেয়
নিজের আতঙ্ক ভেঙে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এই কবিতাটি “আতঙ্ক” বিষয়টির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে আতঙ্ককে কেবল নেতিবাচক ভয় হিসেবে নয়, বরং জীবনের এক গভীর অভিজ্ঞতা ও শিক্ষকের প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
২৫ জুলাই - ২০২৫
গল্প/কবিতা:
৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।