একজন বীরের আত্মত্যাগ

প্লেন ক্র্যাশ (সেপ্টেম্বর ২০২৫)

মেহেদী মারুফ
মোট ভোট ১৮ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৪.৬৮
  • ১২
  • ১৬৭
সেইদিন তুমি চাইলেই ফিরে আসতে পারতে,
পারতে নিজের আপনজনকে বুকের মাঝে রাখতে,
কিন্তু তুমি তা করোনি..!
বেছে নিয়েছিলে অন্য কোন পথ।

তুমি চেয়েছিলে মুক্তি অথবা মৃত্যু।
তাই খুঁজে খুঁজে রাশেদ মিনহাজকেই টার্গেটে নিয়েছিলে।
বেচারা মাত্র ২১ বছরের টগবগে এক যুবক।
জীবনটা যার মাত্রই শুরু..!

তুমি যখন ওর টি-৩৩ থামানোর সংকেত দিয়েছিলে,
হয়তো ও কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলো।
তুমি সেফটি অফিসার দেখে থামাতে বাধ্য হয়েছিলো।
কিন্তু বিনিময়ে কি পেলো?

তুমি ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে দিলে তাকে।
অচেতনের আগেই তো মিনহাজ কন্ট্রোল রুমে সংকেত দিয়ে ফেলে।
তুমি যখন সেই জঙ্গি বিমানকে সঙ্গী করে উড়ে চললে দেশের পথে,
তখনও হয়তো ভেবে দেখোনি কি হতে পারে।

একসময় জেগে ওঠে মিনহাজ,
আর তোমার হাতে বিমানের কন্ট্রোল।
সেও তোমার মত নিজের দেশে ফেরাতে চায় বিমানটি।

দুজনের পাল্টাপাল্টি কন্ট্রোলে বিমান হয় দিশেহারা।
তোমাকে ইজেক্ট সুইচ চেপে ফেলে দেয় বিমান থেকে।
প্যারাসুট বিহীন তুমি মাটিতে পড়ে জীবন দিলে।
শেষমেষ মিনহাজসহ বিমানটিও ক্রাশ করে।

পাকিস্তান রাশেদ মিনহাজকে এবং বাংলাদেশ মতিউর রহমানকে বীরের মর্যাদা দেয়।
হ্যাঁ মতিউর, তোমাকে..!
তুমি আমার দেশের একজন শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান।
যাকে পাকিস্তান আজও গাদ্দার বলে জানে।

আজ সেই ২০ আগস্ট,
যেদিন তুমি জীবন দিয়েছিলে এই দেশের জন্য।
ভেবে দেখো, চুয়ান্নটা বছর পেরিয়ে গেছে।
তবু তুমি অক্ষত রয়ে গেছো প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সুব্রত ভারতী কবিতা পড়ে মুগ্ধ হলাম।
mdmasum mia ওনারাই জাতীয় বীর।
মোঃ মাইদুল সরকার আমাদের একজন বীর শ্রেষ্টকে নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ। জাতি কখনো ভুলবে না তাদের অবদান।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ধন্যবাদ মাইদুল ভাই আপনাকে! আমরা চাই না, যে বীরত্ব সত্যিকার বীরেরা দেখিয়েছে তা ভুলে যেতে।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ফয়জুল মহী তাৎপর্যপূর্ণ শ্রুতিমধুর সুললিত সুলিখনী । পড়ে ভিষণ মুগ্ধ হলাম প্রিয় ।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
কৃতজ্ঞতা জানিবেন প্রিয় ফয়জুল মহী ভাই। সকল ক্ষেত্রে আপনার পদচারণা সকলকেই অনুপ্রাণিত করে।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আল আমিন সুন্দর হয়ছে
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ধন্যবাদ আপনাকে!
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
মাহাবুব হাসান ২১ জুলাই প্লেন ক্র্যাশের পরই যেহেতু এবারের সংখ্যার বিষয়বস্তু নির্ধারিত হয়েছে, তাই ধরেই নেয়া হয় যে গল্প বা কবিতা এই বিষয়ক হবে। সেই মাইন্ডসেট থেকে পড়তে গিয়ে প্রথমেই থমকালাম রাশেদ মিনহাজ নামটা দেখে। পাইলটের নাম তৌকির বলেই তো জানতাম! কিছুদূর যাওয়ার পর বুঝলাম এটা আমাদের একজন বীরশ্রেষ্ঠকে নিয়ে। ভালো হয়েছে কবিতা, বেশি ভালো লেগেছে মনে করে মৃত্যুদিবসে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে ট্রিবিউট দেয়ার ব্যাপারটা।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ভাবছিলাম প্লেন ক্রাশের ভিন্ন কোন কনসেপ্ট দিয়ে লিখবো। তখনই মাথায় এলো আমাদের একজন বীরশ্রেষ্ঠ আছেন। এটা তো তার থেকে ছোট-খাটো কোন পাওয়া না। আমি কবিতা লেখা শুরু করলাম ১৯শে আগস্টে। তার কিছু তথ্য ঘাটতে গিয়ে দেখলাম কাকতালীয় ভাবে ২০শে আগস্ট তার মৃত্যুবার্ষিকী। ব্যস্! ২০ তারিখে লেখা ফাইনাল করলাম। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সাথে সাথে প্রতিযোগিতার বড় একটা অংশ হয়ে গেলো। আপনাকে ধন্যবাদ মাহাবুব ভাই, এত সুন্দর করে ব্যাপারটা বিশ্লেষণ করার জন্য।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি পাকিস্তান রাশেদ মিনহাজকে এবং বাংলাদেশ মতিউর রহমানকে বীরের মর্যাদা দেয়। ঃ হ্যা বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর কে পাকিস্তান আজও একজন গাদ্দার বলেই জানে। খুব ভাল লিখেছেন। কবিতা টি বেশ ইনফরমেটিভ। ধন্যবাদ মেহেদী মারুফ ভাই আপনাকে।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ ভাই, আমার কবিতা অর্থ ও মর্ম বুঝতে পারার জন্য। আমাদের দেশের এই সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ আমাদের রত্ন। অথচ তাদের সম্পর্কে এই জেনারেশনগুলো ঠিকঠাক জানেই না।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

কবিতাটা বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে উদ্দেশ্য করে লেখা। যিনি তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর একজন সেফটি অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দেশের জন্য বিমান ছিনতাই করতে গিয়ে বিমান ক্রাশে শহীদ হন।

১১ মে - ২০২৫ গল্প/কবিতা: ৮ টি

সমন্বিত স্কোর

৪.৬৮

বিচারক স্কোরঃ ১.৯৮ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.৭ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "আতঙ্ক”
কবিতার বিষয় "আতঙ্ক”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর,২০২৫