আবদ্ধ ইচ্ছা

পদত্যাগ (জুলাই ২০২৫)

সাদিয়া আক্তার রিমি
  • ১৫
: এই নাদিয়া,
শুনেছিস লামিয়া নাকি দুই দিন আগে বাসা থেকে পালিয়ে গেছে!
: বলিস কিরে! পালিয়েছে?
কিন্তু কেন? কার সাথে পালাল? আর পালিয়ে কোথায় গেল? খুঁজে পেয়েছে কি? আর তোকে এসব কথা কে বলল?
: ফাহিমা বলেছে। দুই দিন আগে লামিয়া বিকালে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে আর বাসায় ফেরেনি! তবে কেন পালিয়েছে বা পালিয়ে কোথায় গেছে, সেটা তো ফাহিমা কেন, স্কুলের শিক্ষকরাও জানেন না। শুনেছি সবাই নাকি নানা রকম কথা বলাবলি করছে! নেয়ামত স্যার সম্ভবত লামিয়ার বয়ফ্রেন্ডের কথা জেনে গিয়েছিলেন, তাই হয়তো লামিয়া পালিয়েছে। কিন্তু লামিয়া তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়েছে — এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই!
: ও, হ্যাঁ! ওর তো বয়ফ্রেন্ড আছে। সেদিন আমি শুনেছিলাম ; লামিয়া তার বান্ধবীদের বলছিল যে,
ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেবে! আরো বলছিল, কয়েক দিন আগে নাকি লামিয়া তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফাহিমার আলাপ করিয়েছে! লামিয়ার বয়ফ্রেন্ড নাকি ফাহিমাকে অনেক চকলেট কিনে দিয়েছে, অনেক কিছু খাইয়েছে! লামিয়া তার অন্য বান্ধবীদের বলছিল, 'আবার সুযোগ পেলে রনির সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় তোদেরকেও আমার সাথে করে নিয়ে যাব! দেখবি, কত কিছু খাওয়াবে তোদের! খুব মজা হবে!'
আসলে সত্যিটা হলো এটাই - লামিয়া প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতো আর বাসায় এসে বলত, বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে করতে আসায় দেরি হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন আগে লামিয়ার আসতে দেরি হওয়ায় লামিয়ার মা ফাহিমার মাকে কল করে জিজ্ঞেস করেছিল, ফাহিমা বাসায় এসে পৌঁছেছে কি না।
তখন লামিয়ার মা জানতে পারে যে, ফাহিমা অনেকক্ষণ আগেই প্রাইভেট পড়ে বাসায় চলে এসেছে! এ ব্যাপারে লামিয়ার মা যখন লামিয়াকে জিজ্ঞেস করল, তখন লামিয়া বলে, রাস্তায় অনেক ট্রাফিক ছিল,তাই হেঁটে এসেছি!
লামিয়ার মা তখন মেয়ের কথা মেনে নেয়।
পরদিন যখন ফাহিমা এ ব্যাপারে লামিয়াকে জিজ্ঞেস করে, তখন বাধ্য হয়ে লামিয়াকে সত্যি কথা বলতে হয়। সেদিনই প্রথমবারের মতো লামিয়ার বয়ফ্রেন্ডের ব্যাপারে ফাহিমা ও তাদের অন্যান্য বান্ধবীরা জানতে পারে। তাই তাদের মুখ বন্ধ রাখতেই লামিয়া তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় বান্ধবীদের মধ্য থেকে প্রথমে ফাহিমাকে নিয়ে গিয়েছিল। তার জেরেই সে সবার সাথে একদিন তার বয়ফ্রেন্ডের দেখা করানোর প্ল্যান করেছিল, যাতে সবাই মুখ বন্ধ রাখে আর তার মা - বাবার কাছে নালিশ না করে!
লামিয়ার মা - বাবা, বিশেষ করে তার বাবা নেয়ামত আলী যদি জানতে পারে যে, সিক্সে পড়ুয়া তার একমাত্র মেয়ের বয়ফ্রেন্ড আছে এবং তার মেয়ে রোজ বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যায়, তাহলে লামিয়ার আর রক্ষে নেই। যদিও তার বাবা কখনো তার গায়ে হাত তোলেনি, কিন্তু লামিয়া অনুমান করতে পারে, এসব কথা জানতে পারলে তার বাবা নির্ঘাত মেরে মেরে তার পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে! মেরে হাত - পা ভেঙেও দিতে পারে — এতে কোনো সন্দেহ নেই!
লামিয়ার মনে তার বাবাকে নিয়ে এত ভয় হয়তো থাকতোই না, যদি না তার বাবা মনোহরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (Assistant Headmaster) না হতেন। দুর্ভাগ্যবশত, তার বাবা অনেক কড়া শিক্ষক হিসেবে স্কুলে পরিচিত, আরও
দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, লামিয়াও এই স্কুলেই পড়ে।
লামিয়ার বাবা সহকারী প্রধান শিক্ষক হলেও মর্নিং শিফটে গণিতের ক্লাস নেন। আর মর্নিং শিফটে মেয়েদের ক্লাস হয় আর ছেলেদের ক্লাস হয় ডে শিফটে। তিনি যখন উচ্চকণ্ঠে ক্লাস নেন, তখন তার কথা প্রতিটি ক্লাসে শোনা যায়। ক্লাস নিতে সমস্যা হলেও তার ভয়ে অন্যান্য শিক্ষকরা অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করা তো দূরের কথা, ' টু ' শব্দটি পর্যন্ত করেন না!
তিনি সবসময় ছাত্রীদের কড়া শাসনে রাখতেন। তিনি মনে করতেন, মেয়েদের কড়া শাসনে রাখে না বলেই দেশে এত কিডন্যাপিং , ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। তাই তিনি পিটি টাইম অর্থ্যাৎ সকাল সাতটার আগে স্কুলে আসলেও মেয়েদের শাস্তি দিতেন! আবার কয়েক মিনিট দেরি করে আসলেও শাস্তি দিতেন। স্কুল ছুটির পর স্কুলের বাইরে বা অন্য কোথাও কোনো ছেলের সাথে স্কুলের কোনো মেয়েকে কথা বলতে দেখলে নেয়ামত স্যার রাস্তায় তাদের বকাঝকা করতেন এবং পরদিন স্কুলে এসে ওই মেয়েকে শাস্তি দিতেন এবং তার পরিবারকে জানিয়ে দিতেন যে তাদের মেয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাস্তায় ছেলেদের সাথে কথা বলে, ঘুরে বেড়ায়।
এত কিছু করা সত্ত্বেও নেয়ামত স্যার একবারও উক্ত ছাত্রীকে তার স্বপক্ষে কথা বলার জন্য কোন সুযোগ দিতেন না! আর যদি কেউ বিষয়টা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করত, তখন তিনি তা আমলে নিতেন না— অজুহাত বলে উড়িয়ে দিতেন আর বলতেন, আমি সব দেখেছি। তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করো না। ফলাফল — বাসায় গিয়ে দোষী ছাত্রীকে উত্তম - মধ্যম খেতে হত! কিন্তু কিছু দিন পর জানা যেত, ওই ছেলেটি মূলত উক্ত দোষী ছাত্রীর প্রাইভেট টিউটর ছিল, নয়তো তার কাজিন ছিল।
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নেয়ামত স্যারের সন্দেহপ্রবণতার কারণে প্রায়ই ঘটত। আর যখন অভিভাবকরা বুঝতে পারতো যে তারা তাদের মেয়ের সাথে অকারণেই খারাপ আচরণ করেছে, তখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে অধ্যক্ষের কাছে নেয়ামত স্যারের নামে নালিশ করতেন। অধ্যক্ষ মহাশয়ও নেয়ামত স্যারের এমন কাজকর্মে লজ্জিত ও বিরক্ত ছিলেন।
অধ্যক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও নেয়ামত স্যারের মধ্যে কখনোই কোনো রকম পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি তার মতো ঠিকই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিয়েও নিশ্চিন্ত মনে কোনো রকম অনুতাপ ছাড়াই দিনযাপন করতেন! কারণ তার যুক্তি ছিল একটাই—মেয়েদের কড়া শাসনে রাখে না বলেই মেয়েরা সমাজে অনিরাপদ! তাই কোনো রকম যাচাই - বাছাই না করেই ছাত্রীদের নামে অভিভাবকদের কাছে নালিশ করতে দ্বিধাবোধ করতেন না! অধ্যক্ষ মহাশয় অনেকবার তাকে নিষেধ করলেও তিনি অধ্যক্ষের কথায় কর্ণপাত করতেন না!
এদিকে নাদিয়া ভাবছে অন্য কথা— যে স্যারের ভয়ে বাঘে - মহিষে এক ঘাটে জল খায়! যেই স্যারের ভয়ে স্কুলের সবাই কাঁপে, এমনকি স্কুলের শিক্ষকরাও ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকে, সেই স্যারের মেয়ে কি করে এত অল্প বয়সে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ল?
তাছাড়া, নাদিয়া এ কথাটা বুঝতেই পারছে না যে, নেয়ামত স্যার যেখানে স্কুলে ছাত্রীদের এমন কড়া শাসনে রাখে, সেখানে তার মেয়ে প্রেম করছে — এ ব্যাপারে তিনি কেন এতদিন কিছু জানতে পারলেন না!
নাদিয়ার মনে পড়ে, যেদিন প্রথম সে লামিয়াকে দেখেছিল, সেদিন বিস্ময়ে তার মুখ হা হয়ে গিয়েছিল। কারণ লামিয়া ক্লাস সিক্সে ভর্তি হলেও তাকে দেখে মনে হত, সে ক্লাস নাইন - টেনে পড়ে। এত লম্বা, ফর্সা, সুন্দরী মেয়ে সে জীবনেও দেখেনি! তার থেকেও বড় কথা — এত বড় মেয়ে যে ক্লাস সিক্সে পড়তে পারে, সেটা সে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি!
লামিয়া ছিল ক্লাস ক্যাপ্টেন আর সহকারী প্রধান শিক্ষকের মেয়ে হওয়ায় লামিয়া ছিল সবার চোখের মণি। তাই তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে সেই খবর বাতাসের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পর কিছুদিন পার হয়ে যায়। কিন্তু এখনো লামিয়ার কোনো খোঁজ পায়নি কেউ। এরই মধ্যে আশেপাশের স্কুল - কলেজেও এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও স্কুলের সম্মান নষ্ট হওয়ার ভয়ে শিক্ষকরা সবাইকে বলে বেড়াতে থাকে যে, লামিয়া অসুস্থ, তাই সে স্কুলে আসতে পারছে না। কিন্তু মনোহরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তো জানে লামিয়ার সত্যিটা কী। তবুও তারা মিথ্যেটাকেই সত্যি বলে প্রচার করে!
তারও কিছুদিন পর হঠাৎ সবাই জানতে পারে, লামিয়াকে পাওয়া গেছে ফরিদপুরের এক হোটেলে এক ছেলের সাথে! নেয়ামত স্যারও তখন সেখানে উপস্থিত ছিল! কিন্তু লামিয়ার সহপাঠীরা একটা ব্যাপারেই সন্দিহান — নেয়ামত স্যার কি একাই তার মেয়েকে খুঁজে বের করেছিলেন, নাকি লামিয়াকে খুঁজতে পুলিশের সাহায্যও নিয়েছিলেন? তাদের কারোরই সাহস হয়নি শিক্ষকদের এই প্রশ্ন করার।
এর কিছুদিন পর হঠাৎ করেই সবাই জানতে পারে যে নেয়ামত স্যার স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এতে সবাই অবাক হলেও স্কুলের অন্যান্য ছাত্রীরা মনে মনে খুশিই হয় এই ভেবে যে, নেয়ামত স্যারের কারণে তাদের আর কখনো অকারণে মা - বাবার মার খেতে হবে না!
অন্যদিকে, লামিয়ার পালিয়ে যাওয়া ও বয়ফ্রেন্ডসহ হোটেলে সন্ধান পাওয়ার ঘটনায় লজ্জায় - অপমানে নেয়ামত স্যার পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস — স্কুলের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ তাকে পদত্যাগ করতে নিষেধ করে। কারণ এতে লামিয়ার পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যে কারণটা স্কুল কর্তৃপক্ষ শহরবাসীকে জানিয়েছিল, সেটা মিথ্যে হয়ে যাবে এবং লামিয়ার ঘটনাটা জানাজানি হয়ে যাবে। এতে স্কুলের সুনাম (Reputation) নষ্ট হবে এবং অভিভাবকরা এই স্কুলে তাদের মেয়েদের পাঠাতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবে। এতে স্কুলের ছাত্রীসংখ্যা কমে যাবে।
তাই অধ্যক্ষ মহাশয় নেয়ামত স্যারকে বলেন, আপনি কখনোই আমার কথাকে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু আজ অন্তত আমার কথা শুনেন। আপনার এই স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার কোন দরকার নেই। আর লামিয়াও আগের মতো এই স্কুলেই পড়বে। কিন্তু আপনি এখন থেকে মর্নিং শিফটে নয়, বরং
ডে শিফটে ক্লাস করাবেন। তাহলেই সবার মুখ বন্ধ হয়ে যাবে, আর লামিয়ার সত্যিটাও বাইরের কেউ জানতে পারবে না।
নেয়ামত, আর একটা কথা —আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না। স্কুলের সুনাম যেন কখনো নষ্ট না হয়, সেজন্য আপনি যেভাবে কারণে - অকারণে কোনো যাচাই - বাছাই না করেই ছাত্রীদের নামে তাদের বাসায় অভিযোগ করে তাদের হেনস্তা করতেন ,
ঠিক তেমনি আজ আমি আমার স্কুলের সুনাম রক্ষা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমি কোনোভাবেই আপনাকে পদত্যাগ করতে অনুমতি দিতে পারি না। দুই - তিন বছর পর পরিস্থিতি শান্ত হলে আপনি চাইলে পদত্যাগ করতেই পারেন। তখন কেউ আপনাকে আটকাবে না! কিন্তু এখন আপনি কোনোভাবেই স্বপ্নেও পদত্যাগ করার কথা চিন্তা করবেন না। এই মুহুর্তে আমার আর কিছু করার নেই — আমি নিরুপায়। লামিয়ার পালিয়ে যাওয়ার ছয় মাস পর প্রথমবার লামিয়া স্কুলে আসে। ক্লাস টিচার তাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি এত দিন স্কুলে কেন আসোনি?
লামিয়া বলে, আমি অসুস্থ ছিলাম।
সবাই লামিয়ার সত্যিটা জানলেও মিথ্যেটাকেই সত্যি বলে মেনে নেয়!
এদিকে নেয়ামত স্যারও ডে শিফটের গণিতের শিক্ষক হিসেবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। প্রথমদিকে অস্বস্তি লাগলেও এখন তিনি অনেকটাই স্বাভাবিক। মর্নিং শিফটের ছাত্রীরা ডে শিফটের ছেলেদের থেকে জানতে পারে যে , এত দিন মর্নিং শিফটের শিক্ষকরা নেয়ামত স্যারকে যমের মতো ভয় পেত, আর এখন ডে শিফটের শিক্ষকরা নেয়ামত স্যারের ভয়ে কাঠ হয়ে থাকে। আর ছাত্ররা! তাদের অবস্থা আরও করুণ — পান থেকে চুন খসলেই তাদের নানা রকম শাস্তি ভোগ করতে হয়।
তাদের কথা শুনে লামিয়ার সহপাঠীদের মায়া হয়, বিশেষ করে নাদিয়ার। তার মনে হয়, যেহেতু লামিয়া তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল, তাই হয়তো নেয়ামত স্যার ডে শিফটের ছাত্রদের কড়া শাসনের নামে মারধর করে তৃপ্তি পান। নিজের মেয়েকে সঠিক শিক্ষা দিতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতেই হয়তো কারণে - অকারণে ছাত্রদের শাস্তি দেন।
ব্যর্থ বাবা হিসেবে যে রাগ তার নিজের উপর রয়েছে, সেই রাগই হয়তো আজ স্কুলের ছাত্রদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
হাসিব মাহফুজ একজন শাসক পিতার কঠোরতার আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়া এক কন্যার করুণ আর্তনাদ—এ যেন শুধুই লামিয়ার গল্প নয়, হাজারো কণ্ঠরুদ্ধ মেয়ের বাস্তব। সমাজ, পরিবার, শিক্ষা—সবাই যার ব্যর্থতার দায় এড়াতে চায়, অথচ হারিয়ে ফেলে এক শিশুমনের স্বাভাবিক বিকাশ। কষ্ট লাগে, ভাবতে হয়—শাসন আর বোঝার মাঝখানে কত স্বপ্ন এভাবেই ঝরে যায়!

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আবদ্ধ ইচ্ছা গল্পে এমন এক শিক্ষকের গল্প বলা হয়েছে যিনি তার জীবনে ঘটে যাওয়া এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে পদত্যাগ করতে চেয়েও পদত্যাগ করতে পারেননি। তারই সহকর্মীরা তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাকরিতে বহাল থাকতে বাধ্য করে। তাই তো তার মনে পদত্যাগ করে লজ্জায় মুখ লুকানোর পথটাও বন্ধ হয়ে যায়। একারণেই গল্পের নাম আবদ্ধ ইচ্ছা।

০৫ মে - ২০২৫ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী