প্রকৃতি বোধহয় সুখ সহ্য করতে পারে না,আমাদের ভাগ্যেও তাই ঘটলো। নায়েলা একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুরু করলো
আজাদের সাথে আমার কোন খারাপ সম্পর্ক ছিল না,সেও যেমন ভালো স্বামী ছিল আমিও ভালো স্ত্রীর মতো নিজের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা কম করিনি,আমাদের মধ্যে মিলতো না।সে ছিল ধনী ঘরের আদুরে সন্তান,আমি গরীব ঘরের মেয়ে।তবে সে আমাকে ও আমিও তাকে ভালোবাসতাম। কিন্তু ৩০ বছর বয়স যখন হলো কিছু পালটে যাচ্ছে এমন সবসময়ই মনে হতো।অফিস থেকে আজাদ লেট করে ফিরতে লাগলো,আমি চিন্তায় থাকতাম, রাস্তায় চোর-ডাকাতের যে উৎপাত!!!!তার বাইকের শব্দ শুনে যেন মনে শান্তি ফিরে আসতো।সে না আসা অব্দি জানালা দিয়ে উঁকি মারতে থাকতাম,এভাবে কত সময় যেত জানি না,তবে অনেক সময় হয়েছে আমি জানালার ধারেই ঘুমিয়ে গিয়েছি,সে আমাকে ভালোবাসতো না বললে মিথ্যা বলা হবে।সে বাসতো,জান দিয়ে ভালোবাসতো।তবে আমি তা গ্রহণ করতে পারতাম না ব্যাস্ততার জন্য,সেই ঘুম থেকে উঠে চা বানানো,চা খেয়ে সে চলে যেতো,আমিও বিছানায় একটু পিঠ লাগাতাম,মাঝেমধ্যে ঘুমিয়ে পড়তাম,উঠে দেখতাম দুপুর হয়ে গেছে।মাঝেমধ্যে এমন হতো যে আমি বাইরে যেতাম যেকোনো কাজে,তখন সে বাসায় থাকতো।বাসায় থেকে কি করতো? আমি জানি না।জানার ইচ্ছাও ছিল না।আমি তাকে বিশ্বাস করতাম।সেও জানতো যে আমি তাকে বিশ্বাস করি।
একদিন আমি ঘর গোছানোর সময় আলমারিতে কিছু মেয়েদের নতুন জামা দেখতে পেলাম,উৎফুল্ল হয়ে উঠলাম,পরে দেখলাম জামার সাইজ ৪০,কিন্তু আমি তো ৪২ সাইজের জামা পড়ি,রং টাও গোলাপি, কিন্তু আমার তো নীল রঙ প্রিয়।খটকা লাগলো,তবে সেদিন কিছু বললাম না পরেরদিন সেই জামাগুলো আর দেখতে পেলাম না,তাকে আকারে-ইঙ্গিতে জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছিলাম তবে সময় পাচ্ছিলাম না।আমি ক্রমেই তার থেকে দূরে চলে আসতে লাগলাম, সেও বুঝতে লাগলো।আমি চা বানাতে দেরি করছি,কাপড় আইরন করতে আলসেমি করছি এসব দেখে সে কিছু একটা বুঝছিলো।একদিন জিজ্ঞেস করলে আমি রেগে কোন উত্তর দেইনি।সে বুঝতে পারছিলো না আমার এমন রাগের কারণ,সে আমাকে কখনো রাগতে দেখেনি। একদিন আমি না আর সামলাতে পারলাম না।তাকে জিজ্ঞেস করেই বসলাম।সে কি যেন বলতে চাইছিলো।আমি তাকে ধমকে চুপ করিয়ে দিলাম।তারপর আবার সেই একই জামাগুলো চোখে পড়লো,তা হাতে নিয়ে চিৎকার করে বললাম,আজাদ,এগুলো কার?সে বলতে লাগলো আমতা আমতা করে, আমার……।আমি তাকে বলতেই দিলাম না,যদি তখন তাকে একটা মাত্র শব্দ “বোনের “ বলতে দিতাম তবে হয়তো আমাদের সুখের সংসারটা ভেঙে যেত না।আমি নিজের প্রতিই ক্ষুব্ধ। আমি নিজেকে প্রতিদিন অভিসম্পাত দিচ্ছি,সেদিন আরেকটু অপেক্ষা করলেই এমন বিচ্ছেদ ঘটতো না।দোষটা আমারই।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
বিষয়টা একটা সংসার নিয়েই লিখা,আমার মতে কোন অসামঞ্জস্যতা নেই
২৪ এপ্রিল - ২০২৫
গল্প/কবিতা:
১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৫