এদেশে যা হতে দেখলাম-
পিকআপ ভ্যানের উপর পোড়া দগ্ধ লাশের স্তুপ,
দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখলাম থানা,
বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে মানুষেরা।
এখানে প্রকাশ্যে মিছিলে গুলি করা হয়,
পাখির মত হত্যা করা হয় মানুষকে।
আবার এখানে মৃত মানুষকে টাঙানো হয়,
পশুর মত উল্টে করে।
বদ্ধ ঘরে দলবদ্ধভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে
নরহত্যা করার উদাহরণও আছে এখানে।
আমাদের পরিচয় কি?
আমরা মানুষ,
হিউম্যান বিং,
বেস্ট ক্রিয়েচার, তাই তো?
অথচ আজ আমরা নিজেরা নিজেরা করছি যুদ্ধ,
নিজেরাই নিজেদের ডেকে আনছি ধ্বংস।
মৃতের ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে ফিলিস্তিন,
শিশুরা একটু আটা ময়দার জন্য পেতে আছে থালা,
ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায়,
ইট পাথরের দালানগুলি মুহূর্তেই পরিণত হচ্ছে ভগ্নস্তূপে।
একবার ভাবুন, সেইসব বহুতল ভবনে ছিল কত পরিবার,
ছিল কত সুখ দুখ আনন্দের সংসার,
আজ কি করুণ মৃত্যু তাদের।
ফিলিস্তিনের গাজা রাফাহ আজ প্রেতের শহর,
মুমূর্ষু মানুষগুলি যে হাসপাতালে নিতে যাবে চিকিৎসা,
আজ সেই হাসপাতাল লক্ষ করে হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
মানবতা! কোথায় সেই মানবতা?
নিছক শব্দ সর্বস্ব মুখের বুলি নয় কি?
আমরা মানুষরা স্বার্থের জন্য কত নিচে নেমে গেছি।
মানুষের পৃথিবীতে,
গণহত্যা, জেনোসাইড এই শব্দগুলি সৃষ্টি কেন হলো?
মানুষ তো মানুষের জন্য,
আমরা তো সবাই সেই একই হিউম্যান রেসের সদস্য।
অথচ এখানে সেখানে আজ গণকবর, মৃতের ভাগাড়।
মানুষ পরিচয়ে বার বার লজ্জিত হয়ে যাই,
তবু অপেক্ষায় থাকি কবে বোধোদয় হবে সবার।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
কবিতাটিতে ফিলিস্তিনের যুদ্ধ ও বাংলাদেশে গণহত্যায় যে মানবিক বিপর্যয় হয়েছে তার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
১৪ আগষ্ট - ২০২৪
গল্প/কবিতা:
৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।