রংধনু

ভালবাসার গল্প (ফেব্রুয়ারী ২০২৪)

Nilufar Ghani
  • 0
  • ৫৪
হঠাৎ বৃষ্টির ফোটায়,
হয়ে গেল সব এলোমেলো।
এইতো সেদিন সব ঠিকছিল-
অযুত নিযূত হিসাব না লভে
বাতাস বইছিল মৃদুলা অনুভবে।
মেঘতার শুভ্র রেখায় ভেসে
সানন্দ জলপরী হয়ে সুবিশাল আকাশে
ঝিলিমিলি আলোক ছটার উদ্ভাসে
স্বপ্নের জলরং ছড়াচ্ছিল ক্যানভাসে।

দমকা বাতাস নেমে
রৌদ্র লহরী গেল থেমে।
মেঘের রং ধূসর হয়ে গেল।
নেত্র কোলে কয়েক ফোটা অশ্রু এল।
মেঘের সাজানো ক্যানভাসের কল্পনা
আর জল তুলিতে আঁকা রঙ্গীন আলপনা
ঝরাপাতা হয়ে সব হারিয়ে গেল।


হঠাৎ পশ্চিম দীগন্তের বিরবর্নালীর ছোঁয়ায়
এলোমেলো তাসের দোলায়
রংধনু উঠল শরতের নির্মল অনঙ্গে
সাত রং ছড়াতেমেঘের জলকণার তরঙ্গে।
মেঘের ধুসর জল তুলির অবয়বে,
ছবি এঁকে গেল নতুন বর্ণাঢ্য অনুভবে।

রংধনু রং নিয়ে খেলতে গিয়ে
কখন যেন মেঘ গেল জড়িয়ে
ইথারের মায়া ভরা ইন্দ্র তারে!
কিছু শব্দ সুর তুলে দিয়ে গেল বেহালার তারে,
ধুসর মেঘের বিবর্ন দর্পনে রং ছড়িয়ে দিয়ে
কিছু সময় পরে রংধনুমিলিয়ে গেল।
মেঘ তারে খুঁজল সারা আকাশ পাড়,
কিন্তু তার দেখা মিললো না আর,
মেঘ মেলাতে যায়নি এই না মেলা সমীকরণ

তবু কোন এক অদ্ভূত আকর্ষনী নিয়ে
মেঘ তাকে খুঁজে বেড়ায় অনুক্ষণ
অভিমানী মেঘ কারণ খুঁজতে খুঁজতে
অজান্তে জড়িয়ে গেল অসম বলয়ে
কী এক কুহেলী জমা হল তার অন্ত:স্থ নিলয়ে
মেঘ তাকে সরাতে চাইলেও, সে থেকে যায়
ব্যস্ততার অবসরে কোন শ্রান্ত নিরালায়।
পেন্ডুলামের টিক টিক শব্দের মত কিছু শব্দের লহর
জাগিয়ে রাখে মেঘের নির্ঘুম রাত্রীর প্রহর
কোন আধো আধো ছায়া, কী যেন অনুরাগের ছন্দ
কোন এক আবিষ্টতা তাকে বারে বারে করে বিভ্রান্ত
ভুলতে চাইলেও অতন্দ্রিলা বিহগ তাকে টেনে নিয়ে যায়
চেতনার অন্তরালে কোন ইন্দ্রপুরীর মায়ায়
অদেখা কর্পূরের মিষ্ট গন্ধ ছড়ায়
যেখানেই যায় তাই, মেঘ এর অবচেতন মনে
দোলা দিয়ে যায় কোন অদেখা ছায়া ক্ষণে ক্ষণে
ভোরবেলায় পাখির শব্দের নির্ঝরে
তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যায় দুয়ারে
সেই বাঁশির সুরের ভেসে আসা ছন্দ
মেঘ তার প্রচন্ড শক্তির জোয়ারে
তার নিলয়ের দুয়ার রাখতে চায় বন্ধ
তবু নিশ্ছিদ্র দুয়ারে
হঠাৎ কোন এক শীতল বাতাসের ছোঁয়া
দোল খেলে যায়, কিছু আলো, কিছু ধোঁয়া
থেকে যায়, কোন সবুজের মায়া ভরা কাননে
ভাললাগার লাল, নীল, বেগুনী ফুল হয়ে
সুরভী ছড়াতে থাকে অদেখা তপো বনে
মেঘের বুকের ভেতরে কষ্টের টুপটাপ ফোটা
জমা হতে থাকে বন্ধ অলিন্দে
এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে
শুধু পৌঁছলনা সেই অদেখা ফুলের বৃন্তে
মেঘ তাই সময়ের কাছে রাখল জমা
তার কাঁচের দেয়ালের সব শিশির বিন্দু
আকাশ থেকে চলে গেল অনেক দূরে
এমনি করে বিশাল ব্যবধানের সিন্ধু
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সুরে
সব প্রশ্নবোধক চিহ্ণ, সব দাঁড়ি কমা
মিলাবে অসমীয়া সমীকরণের চন্দ্রবিন্দু
শুধু জানা হবেনা, ওপাড়ে টুটটাপ পতনে
কিছু শিশির কেউ রেখেছিল কীনা জমা
ভোরের ঘাসফুলের উপর এমনি করে যতনে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রবিউল ইসলাম ভালো লিখেছেন কবি।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

হঠাৎ বৃষ্টির ফোটায়, হয়ে গেল সব এলোমেলো।

০২ জানুয়ারী - ২০২৪ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪