স্বর্ণলতা

পরগাছা (আগষ্ট ২০২৫)

মাহাবুব হাসান
  • ১১
  • ৭৭
(১)
“ভাবী! এই দ্যাখো তুমার লাইগা কী নিয়া আইছি!”
“কী এটা?”
“শূন্নলতা!”
“মানে স্বর্ণলতা?”
“হ ওইটাই হইব!”
“আমার এখানে এত গাছগাছালি লাগানোর স্পেস নাই”
“এইটার জন্যি মাটি লাগে না তো!”
“তাহলে?”
“আরিকখান গাছের ওপর দিয়া দিলে এমনিতেই ডালপালা ছড়ায়ে বাইড়া যাইব”

লতা ভারী বিরক্ত হলো। শামছুর যতসব অবান্তর কথা। বিনা শেকড়ে একটা গাছ ক্যামনে বাঁচে!

লতার বিরক্তির মূল জায়গা অবশ্য স্বর্ণলতা না। গ্রাম থেকে খালা-শাশুড়ি গুলমোহর বেগম দুই ছেলে নিয়ে ভরদুপুরে বাসায় এসে উঠেছে। শফিক ফোনে ওনাদের আসার খবর শুনে অবাক। ওনারা নাকি না জানিয়ে এসেছে। লতা অবশ্য শফিকের কোনটা আসল এক্সপ্রেশন আর কোনটা ভান তা বেশ ভালো বুঝতে পারে। ওনারা আসবে জেনেও কেন লতাকে জানায় নি? রাগে-বিরক্তিতে লতার গা রিন রিন করতে লাগল।

শফিক অফিস থেকে ফেরার পর লতা আরেক দফা বিরক্ত হলো। লতা কোনো দরকারে অফিস থেকে আগে আসতে বললে তিনি মহাব্যস্ত! আর এখন আর্লি লিভ নিয়ে এসেছে হাতে ইয়া বড় রুইমাছ আর ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে। অথচ এই লোকের নাকি হাতে টানাটানি!

(২)
রাতে অতিথিদের খাইয়ে দাইয়ে গেস্টরুমে পাঠিয়ে শফিক বেডরুমে ঢুকে বুঝল গিন্নি তেতে আছে

“দেখো একদিনেরই তো ব্যাপার! আজ রাতে ডাক্তার দেখিয়ে কাল সকালেই চলে যাবে”
“তাই বলে দলবল নিয়ে ফুল ফ্যামেলি আসতে হবে? বাড়ির পালা বেড়ালটা পর্যন্ত নিয়ে আসছে!”
“দুই বছর ধরে পুষতেছে তো, বড় আদরের। খালি বাসায় রেখে আসলে কে খাবার দেবে বলো? আর শামছু, আলতাপ দুজন থাকলে খালাম্মাকে নিয়ে যাতায়াত করা সহজ, বুঝোই তো কেমন মোটাসোটা শরীর”
“আচ্ছা, সত্যি করে বলো তো, খালা তোমাকে আসার আগে জানাইছে না? মাহীর কসম…”
“কী ছোট মানুষের মতো কিরা-কসম কাটো… আচ্ছা যাও, জানাইছে”
“তুমি এলাউ করলা ক্যান? তোমার বাসায় একটা স্পেশাল চাইল্ড আছে… একটা কাজের লোক রাখতে দিলা না, ঘরের সব কাজ একলা আমারেই করতে হয়। এত্তসবের মধ্যে আবার এমন কুটুমের লটবহর আমি ক্যামনে সামলাব?”
“নিজে থেকে আসতে চাইছে, না করি ক্যামনে? নাইট-স্টে করা না লাগলে তো থাকত না”
“কেন, ঢাকায় কি খালি ভাগ্নেই থাকে? ওনার বড় ছেলের বাসা তো মিরপুরে, ওইখানে উঠতে পারল না?”
“হাসপাতাল এখান থেকে কাছে তো, তাই…”
“ওনারা কি পায়ে হেঁটে যাতায়াত করবে? সিএনজি করেই তো যাতায়াত করা যায়। আর মানুষ মিরপুর থেকে এইখানে আসে না?”
“তা পারত। কিন্তু তুমি তো জানোই ভাবী ওনাদের পছন্দ করে না…”
“এইটা হলো আসল কথা! নিজের ছেলে-বৌ পছন্দ করে না, তাই ভাগ্নের ঘাড়ে চাপতে হবে?”
“এইবারের মতো কনসিডার করো জান… আর হবে না। আর একদিনেরই তো ব্যাপার…”

লতা আর কিছু না বলে মুখ ঘুরিয়ে ওপাশ হয়ে শুলো। বিরক্তিভাব পুরোপুরি যায় নি। ওর কেন জানি মনে হচ্ছে উটকো ঝামেলা এতসহজে পিছু ছাড়বে না। হলোও তাই।

অনেক রাতে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পর আলতাপ বলল, একটা টেস্ট নাকি আজ করা যায় নি। কাল সকালে খালিপেটে করতে হবে। পরদিন রাতে ডাক্তারকে টেস্ট রিপোর্ট দেখিয়ে পরশু সকালে ঢাকা ছাড়বে।

পরদিন রাতে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরে খাবার টেবিলে আলতাপ গলায় মধু ঢেলে বলল

“ভাইজান! ডাক্তারে কইছে এক সপ্তাহ পর ফলো-আপ করতে। এতদূর থাইকা অসুস্থ মানুষটাকে যে ক্যামনে আবার টাইনা আনি! আর জানেনই তো, মায় একটু জার্নি করলেই অসুস্থ হইয়া যায়…”
“এত চিন্তা করো না তো! আমরা আছি কী করতে? তোমরা এখানেই থেকে যাও। একবারে ফলো-আপ করিয়ে তারপর যেও”

শফিক নরম স্বভাবের মানুষ, কেউ দরদ দিয়ে কিছু বললে একদম হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো গলে যায়। আবেগের বশে কথাটা বলেই অবশ্য প্রমাদ গুনল। লতার দিকে তাকিয়ে যা দেখবে ভেবেছিল তাই- জ্বলন্ত আগুন! সবার সামনে সেই আগুন হলকা না ছড়ালেও শফিক বেডরুমে বুঝল আগুনের উত্তাপ। লতা মুখ ঝামটা দিয়ে মাহীকে নিয়ে ফ্লোরে বিছানা পেতে শুলো। শফিক আর ঘাটানোর সাহস পেল না।

(৩)
ওভার-স্টে এক সপ্তাহ এক সপ্তাহ করে এক মাসে গড়িয়েছে। প্রতিবারে নতুন নতুন বাহানা। ভাগ্নের সামনে গুলমোহর বেগম ন্যাতানো পুঁই ডগার মতো ঢলে থাকে। দিনের বেলা দেখা যায় আসল চেহারা। এখানে খেয়েপড়ে আরামেই আছে। গ্রামের বাড়ির কাজের চাপ নেই।
সারাদিন শুয়েবসে কাটানো যায়। আর দুই ভাই তো রীতিমতো ঢাকা সফর করে বেড়াচ্ছে- আজ হাতিরঝিল, কাল চিড়িয়াখানা, পরদিন রমনা…

সিন্দাবাদের ভুতের মতো ঘাড়ে চেপে ফুল ফ্যামিলি লতার নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছে। লতা সারাদিন এত খাটাখাটুনি করে, খালা অন্তত কিচেন তো সামলাতে পারে! তিনি নাকি অসুস্থ- যে পরিমাণ খায় তা দেখলে কে বলবে উনি অসুস্থ! আবার খেতে খেতে ঝাল বেশি হয়েছে, লবণ কম হয়েছে, ভাতটা বেশি ফুটে গেছে, ডালটা গলে নি… হাজারটা নখরা।

সেদিন মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে লতা টিভিতে সিনেমা দেখছিল। গুলমোহর বেগম ঢলতে ঢলতে এসে সোফায় ধপাস করে বসল

“বৌমা, বধূবরণটা দ্যাও তো”
লতা বিরক্তি ঢেকে জিজ্ঞেস করল
“বধূবরণ কী জিনিস?”
“ওমা, তুমি বধূবরণ দ্যাহো নাই! কলকাতার হিট সিরিয়াল, জি বাংলায়। এইটা না দ্যাখলে তো আমার প্যাটের ভাতই হজম হয় না!”

লতা নীরবে রিমোট কন্ট্রোলারটা খালার হাতে সঁপে দিয়ে টিভিরুম ছাড়ল।

ওদের নিয়ে শফিকের সাথে প্রথম প্রথম ঝগড়া হতো। এখন কথা বলা বন্ধ। এদেরও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। উল্টাসিধা বললে আত্মীয়মহলে বিষ ছড়াবে।

প্রকাশের অভাবে মনের মধ্যে বিষাক্ত আবেগগুলো জমে জমে লতার ভেতরটা ডাস্টবিনের মতো নোংরা হয়ে আছে। কাকে বলবে সে অব্যক্ত কথাগুলো? এই ফ্যামেলির কারোরই চালচলন সুবিধার না।

(৪)
সেদিন লতা দুপুরে গোসল করে বের হতেই চমকে উঠল। বাথরুমের দরজার ঠিক সামনেই আলতাপ খালি গায়ে দাঁড়িয়ে আছে

“কী ব্যাপার, তুমি এখানে?”
“হাগায় চাপ দিছে…”
আলতাপের শব্দচয়ন শুনে লতার কান জ্বালা করতে লাগল। বিরক্তমুখে বলল
“এত চাপ তো গেস্ট ওয়াশরুম আছে, ওইটায় যাও”
“ওইটা তো ম্যালা নিচা (লো কমোড); আরাম পাই না”
‘শালার ব্যাটা! গ্রামে থাকতে কীসে হাগু করতি?’- কথাটা মনে মনে বলতে বলতে লতা বিরক্তমুখে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলো। আলতাপ বাথরুমে ঢোকার আগে লতাকে যেভাবে আপাদমস্তক নীরিক্ষণ করছিল তা দেখে লতার গা ঘিন ঘিন করতে লাগল। এই লোকের চাহনি খারাপ; আগেও দেখেছে, লতার দিকে যেন কেমন কেমন করে তাকায়।

বিছানায় বসে লতা ভেতরে ভেতরে গজরাচ্ছিল। একটু পর মাহী কাঁদতে কাঁদতে এসে ওকে জড়িয়ে ধরল

“কী হয়েছে মা, কাঁদছ কেন?”

মাহী স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলতে পারে না। উঁ উঁ আওয়াজ আর ঠোঁটে আঙুল দিয়ে ইশারা করল। লতা একটু খেয়াল করার পর বুঝল মাহী কী বলছে। ছোট চাচ্চু, মানে শামছু চুমু দিয়েছে। লতা তড়িঘড়ি জানালার পর্দা সরিয়ে দেখল মাহীর ঠোটজোড়া লাল হয়ে আছে। মাহী প্যান্ট চেপে ধরে দেখাল, এখানেও! লতার মাথায় আগুন ধরে গেল শুনে। মেয়েকে রেখে সোজা পাশের ঘরে গিয়ে শামছুর কব্জি চেপে ধরল

“তুমি মাহীর সাথে কী করছ?”
“কী ভাবিছাব?” শামছু ভারী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল
“নাটক করো, নাটক? ওইটুকু মেয়ের সাথে… ছিহ!”
“আল্লার কসম ভাবীছাব, আমি উল্টাপাল্টা কিছু করি নাই। মাহী মিছা কইতাছে”

লতা জানে মাহী মিথ্যা বলে না। ওর স্পিচে প্রবলেম আছে। তবে ওর কোনো কথা বুঝতে লতার কষ্ট হয় না। আর ও মাহীকে ব্যাড টাচ সম্পর্কে ধারণা দিয়ে রেখেছে, এরকম কিছু না হলে ও কাঁদত না। লতা যে করেই হোক এই পরগাছাদের বাড়িছাড়া করবে, আসুক শফিক…

শফিক অফিসিয়াল কাজে ঢাকার বাইরে গেছে, আসবে পরদিন সকালে। লতা দরজা বন্ধ করে বসে রইল। মেহমানরা কী খাবে না খাবে তা নিয়ে সে মাথা ঘামাবে না। খালা কয়েকবার করে দরজায় নক করে গেছে।

“বৌমা, আমাদের খাবার দিবা না? খিদা লাগছে তো”
লাগুক খিদে। আজ লতা নিজেও খাবে না, ওদেরও খেতে দেবে না।

(৫)
অভিযোগের স্তূপ সাজিয়ে লতা স্বামীর ফেরার অপেক্ষায়। শফিক সাতসকালে ফিরল, কিন্তু লতা কিছু বলার অবকাশই পেল না। শফিক অগ্নিমূর্তি হয়ে আছে

“তুমি ওনাদের সাথে কী ঝামেলা করছ?”
“কী ঝামেলা করছি?”
“ওনাদের নাকি রাতে কিছু খেতে দাও নি? খালাজান অসুস্থ শরীর নিয়ে দরজায় নক করে গেছে, তুমি ওঠার প্রয়োজনই মনে করো নাই। এত স্পর্ধা পাইছ কোত্থেকে?”

শফিকের কথায় লতা ক্ষোভে ফেটে পড়ল

“তুমি আছ ওদের খাবার দাবার নিয়ে! আলতাপ যে আমার রুমে যখন তখন ঢোকে, বদনজরে তাকায়… শামছু যে তোমার বাচ্চা মেয়েটাকে…”
“যা মুখে আসতেছে তাই বলতেছ! আমি আমার কাজিনদের ভালো করে চিনি, ওরা এমন মানুষই না”
“ও! তাইলে আমি, মাহী- আমরা মিথ্যা বলতেছি?”
“অফ কোর্স! খালার চোখের সামনে এতকিছু ক্যামনে করে ওরা? কিছু হইলে খালা দেখত না? আসলে তুমি শুরু থেকেই ওদের ব্যাপারে নেগেটিভ, তুমি চাওই না ওরা এখানে থাকুক”
“আমাদের চাইতে ওরা তোমার কাছে বড় হয়ে গেল! এইসব অজাত-কুজাত…”

লতার অসভ্য গালিগালাজে শফিক মেজাজ ধরে রাখতে পারল না। লতার গালে কষে চড় বসিয়ে দিলো

“ইনাফ ইজ ইনাফ! তোমার অনেক বেয়াড়াপনা সহ্য করছি, আর না। এই বাড়ি আমার, এখানে কে থাকবে কে থাকবে না সেটা ডিসাইড করব আমি, নট ইউ! খালা আমার কাছে মায়ের সমান। ওনারা যতদিন প্রয়োজন এখানে থাকবে। তাতে প্রবলেম হলো তোমরা বেরিয়ে যাও”

ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শফিক বাসা ছেড়ে বেরিয়ে গেল। লতা গাল চেপে স্তব্ধ হয়ে বসে রইল। ও জানে খালার জন্যে শফিকের সফট কর্নারের কারণ- এতিম ভাগ্নেকে তিনি নিজের কাছে রেখে মানুষ করেছেন। শফিকের জীবনে ওনার অবদান অনেক। তাই বলে স্ত্রী-সন্তান ওর কাছে মূল্যহীন?

লতা এতদিন ভাবত ও এই সংসারে বটবৃক্ষ। কিন্তু এখন নিজেকে স্রেফ পরগাছা মনে হচ্ছে। অর্কিডের মতো! দৃষ্টিনন্দন, সুগন্ধ ছড়ায়; কিন্তু শেকড় মাটিতে প্রোথিত নয়। চাইলেই যাকে তুলে ছুঁড়ে ফেলা যায়।

লতার ঘোর এক সময় কেটে গেল। চোখ মুছে ব্যাগে নিজের আর মাহীর পরিধেয় কাপড়চোপড় ভরে মাহীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। ওকে ভেসপার পেছনে বসিয়ে একটানে বেরিয়ে এলো বাড়ির চৌহদ্দি থেকে। কোথায় যাবে এখনো ঠিক করে নি। পথে নামলে পথই পথ দেখায়…

(৬)
লতার শখের ছাদবাগানে শফিক বসে আছে স্মৃতির ঝাঁপি খুলে। এইতো, দুদিন আগে… লতার সাথে ঝগড়া, এবং তাদের চলে যাওয়া…

খবর পেয়ে ইলিয়াস ভাই ছুটে এসেছিল। গুলমোহর বেগমের বড় ছেলে। সেদিনই শফিক প্রথম জানতে পারে কেন ভাবী ওই ফ্যামেলিকে বাসায় উঠতে দেয় না। গুলমোহর বেগম আঁচলের নিচে একটা জ্বলজ্যান্ত পেডোফাইল পুষছে, অথচ সব জেনেশুনেও অন্ধ সেজে থাকে। আত্মীয়মহলে বদনাম করেন, বড় ছেলে-ছেলেবৌ ঘরে উঠতে দেয় না! কেন দেয় না তা তিনিও বলেন না, কেউ খোঁজ নিতেও আসে না।

সব শুনে শফিক আফসোসে ফেটে পড়েছিল- সেদিন যদি সে লতাকে বিশ্বাস করত, যদি পরগাছাগুলোকে বাড়িছাড়া করত, যদি নিজের পরিবারকেই সবকিছুর আগে রাখত, যদি… অসংখ্য যদির ফাঁকে হারিয়ে গেছে নিজের স্ত্রী-সন্তান।

শফিকের হাতে ল-১৮৫৪-২১৮৭ নম্বরপ্লেট। ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে লতার ভেসপাটা এতটাই গুঁড়িয়ে গেছিল যে স্মৃতিচিহ্ন রাখার মতো শুধু এই নম্বর প্লেটটাই বেঁচেছে। ছাদবাগানে হাঁটতে হাঁটতে সেটাই নেড়েচেড়ে দেখছিল। হঠাৎ তার নজর গেল কোনার বরই গাছটার দিকে।

গাছের চেয়ে পরগাছাই বেশি বাড়ে; মাত্র এক মাসেই কাটাদার গাছটাকে আষ্টেপিষ্টে ধরেছে শামছুর দেয়া স্বর্ণলতা। ক্রমশই নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ছে বরই গাছটা, লালচে পাতাগুলো তা-ই বলছে।

শফিক কোথায় যেন পড়েছিল, পরগাছা সবসময় অসহায় চেহারার হয়; কিন্তু সুযোগ পেলে সবার অলক্ষ্যে আশ্রয়দাতা গাছের পুষ্টি শুষে নিয়ে একটা সময় গাছটাকেই বিপন্ন করে ফেলে।

বরই গাছটার মতো শফিকও আজ বিপন্ন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মাইদুল সরকার আহা পরগাছা আত্মীয়দের জন্য েএকটি সুন্দর পরিবার ধ্বংস হয়ে গেলো। সুন্দর গল্প।
অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে গল্পটি পড়া এবং কমেন্ট করার জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আপনার জন্যে শুভকামনা রইল।
ফয়জুল মহী অনিন্দ্য সুন্দর লেখনী
মেহেদী হাসান মারুফ তবে আমার একটা ব্যাপারে জানার ছিলো। এই যে আপনার পুরো গল্পটা পড়লাম। কোথাও তেমন কোন বানান ভুল বা রিরাইটিং চোখে পড়লো না। আপনি আসলে কিভাবে গল্প জমা দেন। পিডিএফ ফাইলে নাকি সরাসরি লেখা পেস্ট করে। জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
এই সংখ্যার আগ পর্যন্ত আমি গল্প ওয়ার্ড ফাইল এটাচ করে সাবমিট করতাম। কিন্তু ওটাতে প্রবলেম হলো, প্যাারাগ্রাফগুলোর মধ্যকার স্পেসিংগুলো বাদ যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। প্যারাগ্রাফের গ্যাপ না থাকলে দেখার সৌন্দর্য কমে যায়, পড়তে গেলেও বিরক্তি আসে যদি লেখাটা বড় হয়। তাই এবার পরীক্ষামূলকভাবে পুরো গল্পটা সাবমিশন টেক্সট বক্সে কপি-পেস্ট করে সাবমিট করেছি। দেখতে পাচ্ছি যে প্যারাগ্রাফের গ্যাপগুলো এবারের স্টোরিতে আছে (কিছু কিছু জায়গায় অবশ্য এক্সট্রা গ্যাপও আছে, যেটা আমার সাবমিশনে ছিল না)। আরেকটা ব্যাপার হলো, আমি অনেককেই কমেন্টে বানান নিয়ে আপত্তি বা অসন্তোষ জানাতে দেখেছি। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমার ক্ষেত্রে এডিটরিয়াল স্পেলিং মিসটেক হয় নি। (অবশ্য কবিতায় আস্ত একটা প্যারা হাওয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছে)
ধন্যবাদ! উপকৃত হলাম আপনার এই মূল্যবান তথ্যের মাধ্যমে। আমি আসলে বানানের ব্যাপারে বেশ সচেতন। এমনকি আ-কার, এ-কারের ক্ষেত্রেও। কারণ এটা নিয়ে আমার বেশ খুঁতখুঁত স্বভাব আছে। সেখানে যদি দেখতে পাই ছোট একটা গল্পের মধ্য পুরো আস্ত একটা বানান ভুলের কারখানা, তখন আর মাথা ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমকে তথ্য দেওয়ার জন্য।
মেহেদী হাসান মারুফ অসাধারণ লিখেছেন। প্রথমে লতার ব্যবহারগুলো হীনমন্যতার মনে হলেও পরবর্তীতে মনে হলো লতাই ঠিক ছিলো। তবে আমাদের একটা জিনিস সবসময় মাথায় রাখা উচিত, আমরা যারা আত্মীয় হয়ে কারো বাসায় বেড়াতে যাই, আমাদের জন্য যেন তাদের বিরক্তির সীমা অতিক্রম না করে। ধন্যবাদ!!
জ্বি ঠিক বলেছেন! মেহমান স্ট্যাটাস ৩ দিনের বেশি থাকে না, এরকম একটা ধর্মীয় বিধান নাকি আছে, শুনেছি। কত প্রাসঙ্গিক এই বিধান তাই ভাবি! ধন্যবাদ কমেন্টে বিষয়টা পুনরায় মনে করিয়ে দেয়ার জন্যে।
ইমরানুল হক বেলাল গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। লেখকের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ। সময় করে গল্পটি পড়ে মতামত জানানোর জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

পরগাছা সবসময় নীরিহ চেহারার হয়, কিন্তু সুযোগ দিলে সেটাই পোষক গাছেরর পুষ্টি শুষে নিয়ে গাছটার জীবনকেই বিপন্ন করে ফেলে। উদ্ভিদ পরগাছার মতো মনুষ্য পরগাছারাও একই কাজ করে, যতক্ষণ না চূড়ান্ত ক্ষতি হয়ে যায় ততক্ষণ বোঝাই যায় না তাদের শোষণ ক্ষমতা কতটা। এমনই একটি পরগাছা পরিবারের গল্প নিয়ে এই লেখাটা।

৩০ সেপ্টেম্বর - ২০২৩ গল্প/কবিতা: ৩৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "প্লেন ক্র্যাশ”
কবিতার বিষয় "প্লেন ক্র্যাশ”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ আগষ্ট,২০২৫