ভালবাসি তারে নিভৃতে

ভালবাসা (ফেব্রুয়ারী ২০২৫)

মাহাবুব হাসান
  • ১২৪
১.
পাঁচ বছর পর দেশে এলাম। মাকে শেষ দেখা দেখার জন্যে। আর হয়ত আসব না। দেশের সাথে সম্পর্কের যে শেষ সুতোটুকু ছিল সেটাও ছিঁড়ে গেছে।
আয়েশা! জীবনে এই মুখটা আর দেখতে চাই নি। দেখতে হলো। শেষবারের মতো আমার মায়ের মুখটা দেখতে এসেছিল। কিংবা হয়ত শেষবারের মতো আমাকে।
কী আশ্চর্য, এত বড় অন্যায় করার পরও ওর চেহারায় অপরাধবোধের ছায়াটুকু নেই!

২.
আমাদের পঞ্চপাণ্ডব গ্রুপের বাকি চার পাণ্ডব ঋজু, ওয়াহিদ, নাজিব আর হাবু। সবার মধ্যে হাবুই একটু বোকাসোকা কিসিমের। হাবীব থেকে হাবু, নাকি হাবা থেকে হাবু তা আমার অজানা। তবে ওর সাথে মিশতে কারো কার্পণ্য নেই। ওর পাত্তিওয়ালা বাপ একমাত্র ছেলেকে ডেইলি যে হাতখরচ দেয় তা আমরা পুরো মাসেও পাই না। হাবুর হাতখরচে ভাগ বসাই সবাই। ধার নিয়ে বেমালুম ভুলে যাই।
গ্রুপের একেকজনের সাথে একেক ক্লাসে বন্ধুত্ব। শুধু হাবুর সাথে আমার পরিচয় বাল্যকালের। অস্বীকার করব না, ওর সাথে এক্সট্রা খাতিরের বড় কারণ ওর হাতখরচের ভাগ!
ছেলেটা আমার খুব অনুগতও। সিগারেট কেনা থেকে শুরু করে হোমওয়ার্ক লিখে দেয়া কোনটাতেই না নেই। আমিও ওকে ইচ্ছেমতো ভাঙাই!
ওকে সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছে কলেজে ওঠার পর।
শরীরে টেস্টোস্টেরনের প্রবাহ আমাকে রোজ গার্লস স্কুলের গেটে দাঁড় করিয়ে রাখে। অনেকগুলো রং-বেরংয়ের পাখি, তারমধ্যে একটা পাখি খুব মনে ধরল। আয়েশা! ডাঙায় ওঠা জলপরী! একেই আমার চাই!
ওর পাণিপ্রার্থী সংখ্যায় নেহায়েত কম না। এরমধ্যে একদিন দেখি ওয়াহিদও সেই দলে ভিড়ে গেছে! ও জানত না আমি আগে থেকে আয়েশার পিছে পড়ে আছি। জানার পর অবশ্য আর ঘাঁটায় নি। ভদ্র ছেলে তো!
বাকিদের হটাতে ভালোই ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। প্রেমের পরীক্ষা যাকে বলে। সেই পরীক্ষায় ভালোভাবে পাস করলাম। ছয় মাস পিছে ঘোরার পর মন পেলাম আয়েশার। প্রায়দিনই একটা করে লাভ লেটার ধরিয়ে দিতাম হাবুর হাতে। হাবু আয়েশাদের প্রতিবেশী আর আমার প্রেমপত্রের পিয়ন।
আমি চিঠি পাঠাতেই থাকি, কিন্তু ওদিক থেকে জবাব নেই। তবু আশায় বুক বাঁধি- ছয় মাস ঘুরে মন পেয়েছি, চিঠি পেতে কতক্ষণ!
ঠিক তাই! ছয় মাসে পাক্কা একশটা প্রেমপত্র লেখার পর ওর থেকে পেলাম প্রথম প্রেমপত্র।

৩.
আয়েশা তখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে। আমার গ্রাজুয়েশন শেষ। সুন্দরী হওয়ায় অনার্সের শুরু থেকেই ওর জন্যে সম্বন্ধ আসতে থাকে, মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা মেয়ের জন্যে যতটা উঁচুঘর থেকে সম্বন্ধ আসে তার চেয়েও উঁচু ঘর থেকে। আয়েশা পড়ালেখার কথা বলে আটকায়।
অর্থবিত্তে আমরা ওদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে উপায় একটাই- খুব ভালো একটা চাকুরি জোটানো। সেই আশা দিয়ে দিয়ে আয়েশাকে এই পর্যন্ত রেখেছি। অবশেষে পেলাম কাঙ্ক্ষিত চাকুরি।
জয়েনিংএর দিন থেকেই শুরু হলো এক মাসের ট্রেনিং। সপ্তাহে ৬ দিন ৯টা-৬টা ক্লাস, প্রতি সপ্তাহে ইভালুয়েশন টেস্ট। টেস্টে ভালো করার ওপর নির্ভর করছে পোস্টিং, সার্ভিস কনফারমেশনসহ ভবিষ্যৎ অনেককিছু।
আমি আদাজল খেয়ে নামলাম। ক্লাস শেষে রাত ১১টা পর্যন্ত লাইব্রেরি-ওয়ার্ক; সব মিলিয়ে ভীষণ ব্যস্ত আমি।
ঢাকায় আসার পর আয়েশার সাথে কথা হয় নি। মুঠোফোনের যুগ না, কথা বলা ভীষণ ঝক্কির ব্যাপার। তাছাড়া এক মাসেরই তো ব্যাপার!
তবু একদিন ফাঁক বের করে ফোন দিলাম ওয়াহিদদের ল্যান্ড লাইনে। ওয়াহিদ দিলো আমার লাইফের সবচেয়ে শকিং নিউজ- আয়েশার বিয়ে হয়ে গেছে!
আমার মাথাটা খারাপ হয়ে গেল শুনে। কথাটা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। ফোন দিলাম রমজানকে। আয়েশার কাজিন। ও যা বলল তাতে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেল।

৪.
চলে যাবার সময় হয়ে এলো। দুদিন পর ফ্লাইট। দুপুরে খেয়ে শুয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙল বুয়ার গলার আওয়াজে
“একি ম্যাডাম কী করেন?... বললাম না বসেন, আমি ডেকে…”
“কী হয়েছে ফুলির মা?”
আমি চোখ ডলতে ডলতে দরজায় গেলাম। মুখোমুখি আয়েশা! ফুলির মা বলেছিল ড্রয়িং রুমে বসতে। কিন্তু আয়েশা সোজা আমার বেডরুমে চলে এসেছে।
“একি তুমি!”
“জরুরি কথা আছে”
“ঠিক আছে তুমি ড্রয়িং রুমে বসো, আমি ফ্রেশ হয়ে…”
“আমি বসতে আসি নি!”
“আচ্ছা ফুলির মা, তুমি যাও। (আয়েশা) এসো”
হতভম্ব ফুলির মাকে পাশ কাটিয়ে আয়েশা আমার বেডরুমে ঢুকল
“বসো”
আয়েশা বসল না। কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। আমি কী বলব বুঝতে পারছি না
“এতদিন পর… কেমন আছ?”
আয়েশা আমার সৌজন্যমূলক প্রশ্নের ধারে কাছ দিয়েও গেল না। মুখটা নিরেট পাথরের মতো শক্ত
“আমায় ধোঁকা দিলে কেন? আমি কি খুব বেশি কিছু চেয়েছিলাম?”
“এই প্রশ্ন তো আমি তোমাকে…”
আয়েশা আজ বলতে এসেছে, সে নিজের মতো বলেই যাচ্ছে
“কাজটা করার আগে একবারও ভাবলে না আমার কী হবে? আমার পরিবারের কী হবে?”
“মানে? আমি কী করেছি?”
“জানতাম এই ন্যাকামোটাই করবে! ইউ কাওয়ার্ড!”
আমার মুখের ওপর একটা খাম ছুঁড়ে দিয়ে আয়েশা গট গট করে বেরিয়ে গেল। আমি খামটা হাতে তুলে নিলাম। ভেতরে চিঠি আর একটা তামার রিং, যেটা আয়েশা একদা আমার অনামিকায় পড়িয়ে দিয়েছিল
“স্যরি, আসতে পারলাম না! চাকরিটা হয় নি। আমার মতো একটা বেকার ছেলে তোমার উপযুক্ত না। সম্ভব হলে ক্ষমা করে দিও”
চার বাক্যের চিঠি। সম্বোধনের জায়গায় সিক্স স্টার, ইতির পরে ফোর স্টার। Ayesha আর Abid- আমাদের নামের কোড। চিঠিতে আমরা কখনো আমাদের নাম লিখতাম না।
হাতের লেখা আমার, ট্রেডমার্ক কোডও আমাদের। কিন্তু চিঠিটা আমার লেখা না, হতেই পারে না! আয়েশাকে আমি কোনোদিনও এই চিঠি লিখি নি…

৫.
“রিমি! কতবার তোদের বলেছি গেট খোলা রেখে… একি আপনি!”
সাথী গজ গজ করতে করতে বাসায় ঢুকছিল। ড্রয়িংরুমে আমাকে দেখে চমকে উঠল।
গতকাল ওকে দুবার ফোন দিলাম, রিসিভ করল না। তৃতীয়বারে কেটে দিল। ঘণ্টাখানেক পর আরেকটা নম্বর থেকে কল দিলাম। ধরল। নাম বলার পর রং নাম্বার বলে কেটে দিলো।
আমাকে এভাবে এভয়েড করছে কেন এরা? এত রাগ কেন আমার ওপর?
জেদ চেপে বসল। পরদিন বিকেলে ওর বাসায় চলে এলাম।
“আমাকে এসব জিজ্ঞেস করবেন না। আমি কিছু জানি না”
“সাথী প্লিজ! তুমি ওর বেস্ট ফ্রেন্ড, আমি জানি তুমি সব জানো। এতগুলো বছর পর দেশে এসেছি শুধু মাকে শেষ দেখা দেখতে। কালই চলে যাব, আর কোনোদিন ফিরব না। তুমি আমাকে অনেক ফেভার করছ, শেষবারের মতো একটু ফেভার করো প্লিজ!”
সাথী সরু চোখে খানিকক্ষণ আমাকে দেখল
“সেদিন ওকে আসতে বলে আপনি এলেন না কেন?”
“আমি ওকে আসতে বলেছি? কোথায়, কেন আসতে বলব?”
সাথীর চেহারা দেখে বুঝলাম ও আমার কথা বিশ্বাস করছে না
“আপনি ওকে বলেন নি বাসা থেকে পালাতে? তারপর তো নিজেই এলেন না!”
“মানে? আমি ওকে পালাতে বলব কেন?”
“এবার নিশ্চয়ই বলবেন চিঠিটাও আপনি লিখেন নি!”
“অফ কোর্স!”
“তাহলে কে লিখল?”
“হাবু!”
“মানে?!”
আমি চিঠিটা দেখালাম। কলেজের প্র্যাকটিকেল খাতা দেখালাম। আরো দেখালাম আমার আঙুলে শোভা পাওয়া আয়েশার দেয়া রিংটা, যার অবিকল আরেকটা কপি চিঠির সাথে আছে। অথচ এই রিং আমি কখনোই আয়েশাকে ফিরিয়ে দেই নি।
আমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুই আমার পিঠে ছোরা মেরেছে! আয়েশাকে প্রায়দিনই চিঠি লিখতাম, এরমধ্যে দুয়েকটা হয়ত হাবু মেরে দিয়েছে। আয়েশা আর কয়টার খবর রাখে!
আমার হয়ে হোমওয়ার্ক আর প্র্যাকটিকেল খাতা লিখতে লিখতে আমার হাতের লেখা এতখানি কপি করে ফেলেছে যে খোদ আয়েশাও ধরতে পারে নি।
সব দেখেশুনে সাথীর চোখ বড় বড় হয়ে গেল
“ও মাই গড! এখন বুঝতে পারছি সবকিছু”
“কী? প্লিজ, চুপ করে থেকো না। বলো তুমি কী বুঝছ”
“আবিদ ভাই, আপনি এসব শুনতে চেয়েন না, নিতে পারবেন না”
“সাথী! আ’ম অলরেডি আ লুজার! আমার আর কিছু হারাবার নেই। তুমি যা জানো বলো”
অবশেষে সাথী মুখ খুলল। যা বলল তা এতদিন নাটক-সিনেমায় হতে দেখেছি। বাস্তবতা কখনো কখনো পর্দাকেও হার মানায়…

৬.
হাবু ছোটবেলা থেকেই আয়েশার প্রতি দুর্বল ছিল। কিন্তু আয়েশা ওকে কখনো পাত্তা দেয় নি।
যে হাবুকে এতদিন বোকাসোকা ভেবেছি তার পেটে এত প্যাঁচ! আমার চাকুরি পাওয়ার খবর ওকেই সবার আগে দিয়েছিলাম যাতে আয়েশাকে জানায়। হাবু বুঝে যায় এবার আমাদের মিলন ও আটকাতে পারবে না। তাই কঠিন চাল চালে ও।
সেদিন সন্ধ্যায় আয়েশাকে দেখতে আসার কথা ছিল। পাত্র আমেরিকান সিটিজেন, বিয়ের পর বউকে পড়ালেখা করাবে- আয়েশার বিয়েটা আটকানোর আর কোনো উপায় ছিল না। হাবুকে দিয়ে আমার কাছে মেসেজ পাঠাল। সেই মেসেজ আমার অব্দি আসে নি। কিন্তু আমার হয়ে রিপ্লাই পৌঁছে গেছে- “বাড়ি থেকে পালাও, আমি সব ম্যানেজ করে নেবো”
পাত্রপক্ষ আসার আগেই আয়েশা ঘর ছাড়ল। হাবুই সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, আমার দেখা না পেয়ে আয়েশা উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে একজন চিঠিটা দিয়ে গেল; “স্যরি, আসতে পারলাম না…”
আয়েশার স্বপ্নগুলো এক লহমায় গুঁড়িয়ে গেল। পাত্রপক্ষের সামনে অপমানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে ওর বাবা হার্ট এটাক করে বসল। সবকিছুর দায় আয়েশার!
বাবা মেয়ের মুখ দেখতে চাইল না। ফুফু বলল, “ল্যাংড়া-খোঁড়া যাকে পাও, মেয়েকে তার হাতে তুলে দাও!”
হাবু সেদিন বিধ্বস্ত পরিবারটির জন্যে ফেরেশতা হয়ে এসেছিল। স্ট্রেইট আয়েশার বাবার কাছে গিয়ে বলেছিল, “আয়েশা আমার জন্যেই ঘর ছেড়েছিল। আমি ওকে বিয়ে করতে চাই!”
হাবু বোকাসোকা হলেও ল্যাংড়া-খোঁড়ার চেয়ে ভালো বিকল্প! তার ওপর রিচ ফ্যামিলি। আয়েশার পরিবার হাফ ছেড়ে বাঁচল। আয়েশারও বিয়েটা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় রইল না।

হাবুর সাথে আয়েশার পালানোর খবর জানতাম। কিন্তু তার ভেতরে এতকিছু তা জানতাম না। আমি আক্রোশে ফেটে পড়লাম।
“হাবু আয়েশাকে প্রপোজ করছে ও আমাকে বলে নাই কেন?”
“আমি ওরে বলছিলাম আপনাকে জানাতে। ও বলছিল আপনার মাথা যে গরম! যদি শুনতেন হাবু ওকে জ্বালাচ্ছে তাহলে একটা সিনক্রিয়েট করে বসতেন। বাড়িতে সব জানাজানি হয়ে যেত। আপনার তখনো চাকুরি হয় নাই”
“আমার চাকুরি হইছিল তো! হাবু ওকে বলে নাই?”
“না তো!”
“ও আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড হয়ে এত বড় ক্ষতি করল! ওরে আমি খুন করে ফেলব”
“ভাইয়া, প্লিজ শান্ত হোন। মাথা ঠান্ডা করেন”
“অরে খুন না করা পর্যন্ত আমার মাথা ঠান্ডা হবে না!”
“ভাইয়া, বোঝার চেষ্টা করেন… দোষ করছে হাবু, ওদের ছেলের তো দোষ নেই। আপনাদের এই যুদ্ধের মধ্যে পড়ে একটা ফুটফুটে বাচ্চার জীবন নষ্ট হবে আপনি কি তা চান? আর আয়েশার হার্টের পেশেন্ট বাবার কথাও ভাবেন। মেয়ের কিছু হলে ওনার কী হবে?”
সাথীর কথায় যুক্তি আছে!
“সবকিছুর পরও আয়েশা ভালো আছে। ফুটফুটে ছেলে নিয়ে ওদের সংসার। সংসারটা ভেঙে দিয়েন না প্লিজ! এখান থেকে আপনার আর কিছু পাওয়ার নেই। আপনার ভালবাসায় খাদ ছিল না জানি। কিন্তু ভালবাসা তো কেবল দেয়ার নাম…”
রাগ-দুঃখের জমাট আবেগে আমার চোখ বেয়ে পানি গড়াল। মাথা নিচু করে ফেললাম।
“বাট… আই উইল টেল হার এভরিথিং। আপনার প্রতি ওর যে ঘৃণা, আজ জানলাম সেসব মিথ্যে। ওর সাথে কত বড় প্রতারণা করা হয়েছে… আয়েশাকে আমি সব বলব”
“না সাথী, না!”
“কেন?”
“আয়েশা সংসার করছে যতটা না হাবুকে ভালবেসে, তারচেয়ে বেশি আমাকে ঘৃণা করে। ওর ধারণা সেদিন আমি ওকে ধোঁকা দিয়েছি। যদি ও এখন সত্যিটা জানে তাহলে কি পারবে ওই সংসারে আর এক মুহূর্তও থাকতে?”
“তাই বলে আপনি কেন আয়েশার কাছে জনমভর দোষী হয়ে থাকবেন?”
“তুমিই না বললে ভালবাসা উজাড় করে দেয়ার নাম! আমি সেটাই করছি। সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি আমার প্রতি আয়েশার ঘৃণা আর এই চিঠিটা। আমাকে ঘৃণা করে ও যদি ভালো থাকে তাহলে সেটাই হবে আমার ভালবাসার দান”
সাথী একনজরে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। ওর দুচোখ বেয়ে নেমে আসছে অশ্রুধারা…
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মাইদুল সরকার চমৎকার ও বেশ জমজমাট একটা গল্প। যেন নাটক বা সিনেমা চোখের সামনে ভেসে উঠল।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

পাঁচ বছর পর দেশে এলাম। মাকে শেষ দেখা দেখার জন্যে।

৩০ সেপ্টেম্বর - ২০২৩ গল্প/কবিতা: ২৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী