হয়তো সেদিন আমি সমুদ্রপাড়ে বসে থাকবো!
বয়স তখন ষাট,
সবুজ হারাবে তার রঙ!
গোধূলি লগ্নে উচ্ছল জলতরঙ্গে চলবে আমার
জীবনের সাথে সন্ধির ঘূর্ণয়ন,
চলবে নিঃসঙ্গতার সাথে বহু বছরের গোপন চুক্তি।
ঠিক এমন সময় হয়তো আধো আলোয়ারিতে কারও
অশরীরী ছায়া দেখে চমকে পিছন ফিরে তাকাবো,
একি! তুমি?
তোমায় দেখে অদ্ভুত জিঘাংসার চোরা স্রোতে ভেসে যেতে যেতে প্রশ্ন করবো-
এ-অবেলায় তুমি কোথা থেকে এলে?
তুমি বলবে-
আমি তো এখানেই ছিলাম! কোথাও যাইনি তোমায় ছেড়ে,
কপালে চার চারটে বলিরেখায় বিস্ময় ছড়িয়ে আমি বলবো
তবে এতদিন কেনো মেঘের কোলে রোদ হাসেনি?
জল পুকুরে পদ্ম ভাসেনি?
তমনিশিতে আলো ঢেলে পূজোর উঠোনে ফুল ফোটেনি?
তবে সেদিন কেনো পঁচে যাওয়া জীবন্ত লাশটি কেউ দেখেনি?
কেউ খোঁজেনি?
মৃদু হাসি ওষ্ঠে জুড়ে তুমি বলবে-
তখন ছিলো মেঘের বুকে বৃষ্টির ঢল
নিশি জাগরণে অশুভ ক্ষণ,
উঠোন কোণে ধুলিস্তুপে পড়ে ছিলে অবহেলায় দুটি মল।
অভিমানি আমি চোখ ভিজিয়ে বলবো-
তবে সেদিন যে শ্মশানে এমন পোড়া গন্ধ ছিলো?
তুমি বলবে-
দেহ পোড়া গন্ধটাই পেলে? মন পুড়েছিলো সেই কবে,
টের পাওনি বুঝি?
তারপর মন খারাপ করে আমার বুকের কাছটায়
শার্টের বোতাম ঠিক করতে করতে বলবে-
তোমার শার্টের দু'টি বোতাম নেই! দেখোনি বুঝি?
আমি বলবো -
বুকের ভিতর হৃদপিণ্ড নেই, কে দেখেছে বলো?
বিস্ময়ে মরে গিয়ে আমি তোমার চোখে তাকাবো
গাল বেয়ে অশ্রুকণা গড়িয়ে পড়বে গলে যাওয়া মোমের মতো ,
তুমি আলতো চুমোয় শুষে নিবে লবনাক্ত যত বিষাদ!
তারপর হাতটি টেনে আঙ্গুলের ভাঁজে আঙ্গুল গুঁজে বলবে
শ্রাবণ; প্রতিক্ষার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বলতে এসেছি-
খুব ভালোবাসি তোমায়! খুব!
আমার সাথে জীবনের শেষটুকু থেকে যাও!
বিনয়ের শত পৃষ্ঠা খামচে শেষ হতে হতে অতঃপর,
আমি তোমার বুকে মুখ গুঁজে দেবো স্বপ্নলোকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।