ছলনাময়ী

ভালবাসার গল্প (ফেব্রুয়ারী ২০২৪)

আদনান খালিদ সাম্য
  • 0
  • ৫৯
আজ সন্ধ্যে ঠিক ৬ টার সময় বড়বাজারের রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথা ছিল,ফেসবুকে পরিচয়, তারপর এক রকম অনুভূতি, মেয়েটা বলেছিল তাকে,শোন,আমাদের এই সম্পর্কটা শুধু বন্ধুত্ব, এটা যেন অন্যদিকে না যায়, সাবধান থাকবি,সে ☺️আচ্ছা লিখে উত্তর করেছিল,কিন্তু,এতে সে এত রেগে যাবে সে চিন্তা-ও করেনি,সে বলেছিল,এতে ইমোজি মারার কি হলো, সে সরি বলে কাটিয়ে গিয়েছিল কোনমতে,এই ধমক খাবে সে আশা করে নি,এই মেয়েটা আসলে কে,সে তার নাম বলেছে,প্রিয়া,আজ দেবী দুর্গার মুর্তীর সামনে হাত জোড় করে,চেয়েছিল,মেয়েটি যেন নামের মতই সুন্দর হয়,কিন্তু এবার বেড় হতে হবে,৫:৪৫ বেজে গেছে,বের হতে হবে তাড়াতাড়ি, মেয়েটি বলেছে,সেই রেস্টুরেন্টে সে ছোট স্কার্ট পড়ে আসবে,কালো রঙের, আচ্ছা বেড় হবার সময়,তার দিদি চেচিয়ে উঠল,অমু,কোথায় যাস,সে বলল,দিদি একটু বাইরে যাব,আধা ঘন্টার মধ্যে চলে আসব,আসি দিদি,রেস্টুরেন্টে পৌছানোর পর,সে কাউকে দেখতে পেল না,খালি রেস্টুরেন্ট,কারও পায়ের আওয়াজ শুনে কিছুটা ঘাবড়ে গেল,সে একটা বড় ফুলদানির পিছনে লুকিয়ে গেল,সেখান থেকে উঁকি মেরে দেখল একটি মেয়ে এসে ঢুকেছে,ভগবান জানে,এটা সেই মেয়েই কি না,অন্য কেউ তো হতে পারে,অন্ধকারে কিছু ঝলমল করছে,কিন্তু ও তো বলেছিল,কালো রঙের স্কার্ট পড়ে আসবে,মেয়েটি বসল,মনে হল অস্থির হয়ে আছে,তখনই সে কাউকে ফোন করল,আর তার পকেটের ফোন বেজে উঠল,মেয়েটি নড়েচড়ে উঠে দাড়াল,বুঝতে পারল,ফুলদানির পিছনে কেউ আছে,সে বলল,তোকে বললাম,অপেক্ষা করতে আর তুই এখানে কি উঁকিঝুঁকি মারছিস, বাইরে আয়,সে বাইরে এলো, মেয়েটির সাথে গিয়ে বসে গেল,মেয়েটি একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে খুব ফিসফিস করে বলল,হাই,আমি অনন্যা,আমিই তোকে আসতে বলেছিলাম, অমু বলল,ও,তাই,তখন অনন্যা বলল,শোন,আমাকে কিন্তু নাম ধরে ডাকা চলবে না আজ থেকে, দিদি থাকবি,অমু বলল,কেন,তুমি মেয়ে,দিদি বলে কেন ? মেয়েটি বলল,কেন মেয়ে বলেই কি তোর মনে হয় তোর চেয়ে বয়সে ছোট হব,বরং তুই আমার ছোট্ট ভাই,আমি পরের মাসে এসএসসি দেব,আর তুই পড়িস টেনে, তোর বয়স ১৫ আমার ১৭, তো বড় কে হল?? অমু কিছুটা লজ্জিত হল,বলল,ওপস,সরি,আসলে যখন আমি বয়সে বড় মেয়েদের দেখি তখন আরকি,এই আরকি,মেয়েটি জিজ্ঞেস করল,কি?অমু বলল,লজ্জা লাগে,অনন্যা বলল,আজব ছেলে রে তুই,আচ্ছা যা হোক,অনন্যা দাঁড়িয়ে গেল,কিছুটা ঝুকে সে অমুকে দেখতে লাগল,একদম তার চুল থেকে শুরু করে চিবুক সহ ধরে ধরে চেক করল,তারপর তার চিবুক টিপে দিয়ে বলল,বাহ,তুই তো খুব কিউট,এই সময়টাতে অমুও খেয়াল করল,অনন্যার চোখের মণি নীলচে-সবুজ, আর চুল গোলাপি, সে অবাক হল,তখন অনন্যা বলল,এদিকে দেখ,তোর গালটা তো লাল হয়ে গেছে,আচ্ছা যা হোক,কি খাবি,অমু উত্তর দিল,কিছুনা,তখন অনন্যা বলল,এক চড় দেব,কিছু না কেন,একটা পেস্ট্রি তো খেতেই হবে, অনন্যা ওয়েটারকে ডাক দিল,অমুর ইচ্ছে না থাকা সত্তেও তাকে পুরো একটি পেস্ট্রি খেতেই হলো, কারণ অনন্যা ছাড়বে না,তারপর যখন সে দেখল ২৫ মিনিট পার হয়ে গেছে, জলদি বাসায় যেতে হবে যে,নইলে কপালে দুখ আছে, সে তারাতাড়ি উঠে দাড়াল,এবং বলল,অনন্যাদি যেতে হবে, দিদি বকবে না হলে, বলে সে চলে গেল, আর বাসায় গিয়ে দেখল,আজ খুব বেশি গরম পড়ে গেছে, যা একেবারে অসহ্য হয়ে গেছে,তখন সে ফুলহাতা শার্টটা খুলে ফেলল,তার পরিবর্তে সাদা রঙের প্লেইন টি শার্ট পড়ল, ট্রাউজার টা খুলে পড়ল ছোট একটা কালো রঙের হাফ প্যান্ট, তারপর সে বিছানায় শুয়ে গেল,তবে অনন্যার স্বৃতি তাকে ঘুমোতে দিচ্ছিল না, অনন্যার চোখ শুধু তার সামনে ভেসে ভেসে উঠছিল,সে মাথা দোলাতে লাগল,এমন সময় তার খেয়াল হলো, দিদি তাকে দেখছে,সে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে কাথা দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল,তার খেয়াল হল,দিদি তার পাশে বসেছে , দিদি কাথাটা নামিয়ে তার চোখ বেড় করল,যা জলজল করছে,আবেগে ঝলমল করেছে, সে চলে গেল,তবে এই প্রতিজ্ঞা করল,এর কিছু একটা হয়েছে,আজ দেখেই ছাড়ব,সে পাশের ঘরে গিয়ে ডাক দিল,অমু এই রুমে একটু আসবি, অমু এলো,কারন তার দিদিকে সে অমান্যা করে না,আর করবেও না,সে গেলও,দিদি বসতে বলল,সে এত জায়গা থাকা সত্তেও তার দিদির কোলে বসল দিদি তাকে জড়িয়ে ধরল,আর বলতে লাগলো, কিরে দুস্টু ছেলে আজ মনেহয় বেশি গরম লাগছে,আর কদিন ধরে খুব প্লেয়ফুল মোডে আছিস দেখছি,এত চঞ্চলতা, কারণ কি!!! সে পালিয়ে যেতে ছুট দিল,তবে দিদি তার ডান হাত ধরে ফেলল, সে চেচিয়ে উঠল, দিদি,এসব কি,দিদি বলল,তোর মধ্যে ইদানীং খুব প্লেয়ফুলনেস নোটিশ করছি,কী হয়েছে তোর,আজ ছাড়ব না,বলে সে এক দড়ি নিয়ে তার কোমরে বেধে ফেলল,আর গ্রিলে আটকে রাখল,বলল,বল,কি হয়েছে,অমু বলল,আমার বাধন খুলে দাও আগে,বলছি,দিদি উত্তর দিল,না,তুই পালাবি,বেড়ালকে সবসময় বেধে রাখতে হয়,সে বলল,দিদি আমি একজনকে ভালোবেসে ফেলেছি, আমি ভালবেসেফেলেছি,এই শুনে অনন্যা তাকে ছেড়ে দিল,যা,নিজের মত থাক,এখন আবার তার ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার কথা,সে বেড়িয়ে পড়ল, আর অনন্যার কল এল,বাসার বাইরে বাগানে দেখা করতে বলেছে,আবার সে নাকি ব্যাস্ত,এসএসসির ফর্ম তুলতে হবে, অমু এক ছুটে নগ্ন পায়েই বেড়িয়ে পড়ল,সেখানে তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কথা কিছু হলো না,শুধু হল,কেমন আছিস ইত্যাদির জিজ্ঞাসা হলো, বাসায় ফিরে অমু দেখল,দরজা খোলা বাইরে কিছু জুতো, গুনে দেখল ২৪ টি মানে ১২ জোড়া,সবগুলোই মেয়েদের, ঢুকতেই জিজ্ঞেস করল তার দিদি,কই গেছিলি,সে উত্তর দিল,এই বাইরে একটু,কারা এসেছে,দিদি উত্তর দিল,ওরা আমার সব বান্ধবী, আচ্ছা,সে গিয়ে উঁকি মেরে দেখল,সবাই,তারই রুমে বসে আছে, দেখে সে রেগে গেল,এখন এদের চেল্লানতে এক দন্ড টেকা যাবে না,আর এই আড্ডা শেষও হবে না,আর এদের এখনই আসা চাই!!! একেতো গরম,তার জন্য আবার তার পোশাকের এই হাল,তারউপর আবার এক হপ্তা ধরে হয়েছে গ্যাস্ট্রিক,আর এখন এরা হাজিরা দিচ্ছে,যত্তসব আজব আজকালকার মেয়েরা, তখন একজন খুব শান্ত দেখতে মেয়ে তাকে ডাক দিল,এইযে বাইরে কে,উকি দিচ্ছিস কে,ভিতরে আয়,অমু আর কি করবে,সে ভিত্রে গেল,ভিতরে যেতেই সে বলল,আমি চলে যাই,তোমাদের ডিস্ট্রাব হবে,তখন মেয়েটি বলল,কি রে,একটু বস,চলে যাবি,সে উত্তর দিল,আসলে আমি এখানে থাকতে পারবো না,আপনারা মেয়েমানুষ, লজ্জা লাগে,আবার এক হপ্তা ধরে খুব বেশি গরম, দেখছেন আমার কাপড়, তার উপর আবার একটু গ্যাস্ট্রিকও হয়েছে,এতে আপনাদের সমস্যা,আমারও লজ্জা,তাই থাকতে চাচ্ছিনে আরকি,কিন্তু তবুও তাকে বসতে বলল,আর প্রশ্ন শুরু হল,তোর নাম কি,বয়স কত,কোন ক্লাসে পড়িস,কোন স্কুল,বাবা মা কে,বেচে আছে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি, এতে অমু বিরক্ত হয়ে গেল,সে চলে যেতে লাগলো, এমন সময় একটি মেয়ে তার হাত ধরে টেনে তাকে কোলে বসিয়ে নিল,আর চেপে ধরল,আর বলল,এই,এক জায়গায় স্থীর হয়ে বসতে পারিস নে,বিড়াল কোথাকার,একটা মেয়ে বলল,কাঠবিড়ালি যেমন তরতর করে গাছে উঠে পরে,এদেরকে আমরা সাধারণত তুরতুরি বলে থাকি,এতো দেখছি সেইটাই,এতে অমু আরও বেশি লজ্জা পেয়ে গেল, সে ছুটে চলে গেল,আর বিছানায় এসে শুয়ে পড়ল,একটি মেয়ে জিজ্ঞেস করল কি হল,বাচ্চাটি কোথায়, একজন মজা করে বলে ঊঠল ঘুমিয়ে পড়েছে বোধহয়, আরেকজন চেচিয়ে উঠল, ঘুমিয়ে পড়েছে না ভাব ধরেছে,আরেকজন চেচিয়ে উঠল, এই তিলকি দেখে আয় তো,আরেকজন বলল,যাচ্ছি,তখনই পায়ের আওয়াজ শোনা গেল,অমু কিন্তু সত্যিই ভাব ধরেছিল,তার বিছানার সামনে আয়না,তাকে দেখা গেল এক বোরখা আর হিজাব পড়া মেয়ে আসছে,শুধু তার চোখটি দেখা যাচ্ছে,কি সুন্দর চোখ তার,সে এসে নিজের মুখটা বের করল,পিপাসা পেয়েছে একটু পানি খেতে হবে তার,তার চেহারা দেখে অমু যাচ্ছেতাই অবাক হয়ে গেল,একদম খুব সাদা একটা মেয়ে,যার চোখ সবুজ,নামের সাথে চেহারার মিল আছে বলতে হবে,ঠিকই, ঠোঁটের কোনায় একটা কালো রঙের তিল মাথায় কালো রঙের টিপ, ঠোঁট লহুর মত লাল,মেয়েটি কিচ্ছু বলল না,চলে গেল,গয়ে বলল,ঘুমোচ্ছে,সত্যিই, বলা মাত্র অমু ঘুমিয়ে গেল,সত্যি সত্যি,এখন কেউ এসে চেক করলে,সুন্দরী তিলকিদি কে কত অপমান সহ্য করতে হবে!!!!!তাই সে ঘুমিয়ে গেল,পরদিন অনন্যা জরুরি ডেকেছে, সেখানে গিয়ে দেখে সেই রেস্টুরেন্টে সে বসে আছে, সেও গিয়ে বসল,আর বলতেই, বল,কি খাবি, উত্তর কিচ্চচ্ছুটি না,অনন্যা বলল,আরে না,কিচ্ছু খা না,প্লিজ,আচ্ছা দাও,নুডলস খাব,তাড়াতাড়ি, অনন্যা নুডলস আনতে বলল,৫ মিনিটে নুডলস হয়ে এল, অমুর সামনে সাদা রঙের বাটিতে নুডলস এল,নুডলস তার পছন্দসই খাবার,সে খাওয়া শুরু করল,আর খাওয়ার মাঝে উম,উম ইয়াম,ইয়াম শব্দ করতে লাগল,এতে নিশ্চিত হয় খাবার ভালো ছিল, অনন্যা জিজ্ঞেস করল,কেমন, সে উত্তর দিল,আই রিয়েল্লি খান্ট সেয় হাউ ইয়াম্মি ইট ওয়াজ(আমি সত্যি বলতে পারি না এটা কত মজাদার ছিল)অনন্যা বলল,রিয়েলি(তাই) অমু উত্তর দিল, ইয়েস,ইট ওয়াজ সো মাচ ইয়াম্মি(হ্যা,এটি খুব বেশি মজাদার ছিল) অনন্যা বলল,ইট সিমস দ্যাট,ইউ আর শাই ফর সামথিং(মনে হচ্ছে,তুমি কোন কারণে লজ্জা পেয়ে আছ) অমু বলল,নো,হু সেইড(না,কে বলল),অনন্যা বলল,ওয়াট ডু ইউ থিন্ক,ইউর চিকস আর সেয়িং দ্যাট,ইট ইস ব্লাসিং(কি মনে কর,তোমার গালগুলো বলছে সেগুলো লাল হয়ে রয়েছে,অমু বুঝতে পারলনা,যে সে লজ্জা কেন পেয়ে আছে, সে কাটিয়ে গেল,এই বলে,দিদি,সরি,অনন্যাদি,আমি আসছি,আর অনন্যাও তাকে আটকালো না,সে বলল,যা,তোকে আটকানো ঠিক হবে না,অমু জলদি বেড় হতে গেলো, তখনই অনন্যা ডাক দিল,কাছে আয়,কাছে আসলে অনন্যা তার নিজের কান ধরে বলল,সরি,একদিন আমি বলেছিলাম,এটি মানে আমি বলেছিলাম,যে এটি শুধু বন্ধুদের মত থাকেই,আমি সত্যিই তোকে ভালবাসি,অমু ফিসফিসিয়ে বলল,আমিও,তখন অনন্যা বলল,তবে তুই,আজ রাত ৪ টা থেকে ৫ টার মধ্যে খুব ছোট পোশাক পড়ে,মানে বাগানে যা পড়ে এসেছিলি,সেটা পড়ে আসতে পারবি,আমি থাকব সেখানে,তখন অমু বলল, আমিও তোমার নিকট কিছু চাই,দিতে পারবে,অনন্যা বলল,যা চাও তুমি, অমু বলল,আমি তোমার সবগুলো চুল চাই,আজ থেকে এক মাস যেন আমি তোমার মাথায় চুল না দেখি,অনন্যা বলল,এই ব্যাপার, এ আর এমন কি,চুল কাটতেই হত,আজ ছোট্ট ভাই আর আমি একসাথে ন্যাড়া হব,নো প্রবলেম, সেদিন রাতে অমু এসে দেখল,অনন্যা সত্যিই মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছে,আর সাথে একজন ন্যাড়া ছেলে,সেও ঠিক তার মত ড্রেস পড়ে আছে, অমুকে দেখেই অনন্যা বলল,সরি,ছোট্ট ভাইটাকে রেখে তো আসতে পারি না,আর জিদও ধরেছিল,তাই নিয়ে এলাম,তোরা একই ক্লাসে পড়িস, অপু কথা বল,ওর নাম অমু,দুজন হাত মেলাল,দুজনেই কিছুটা লজ্জা পেয়ে ছিল,আর কারণ আপনারা জানেন,দেখা হলো, রাত ৬ টা বেজে গেল কোন ফাঁকে কেউ জানে না,অনন্যা বলল,শুনলাম, তোর আর তোর দিদির মাথায় বেশ উকুন আছে,অমু বলল,হ্যা,অনন্যা বলল,কাছে আয়,তার চুলগুলো হাতাতে হাতাতে বলল,কি সুন্দর, মনে হয় খুব তেল দিস,অমু বলল,হ্যা,অনন্যা রহস্যময় একটা হাসি হাসল,বলল,কাল এই সময় দেখা করিস আবার,করতেই হবে,নতুবা!!!!!!……..৷।।।।। অমু জলদি এক ছুটে বাসায় ফিরে গেল,দিদি জানতে পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে, সে তাড়াতাড়ি গিয়এ দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেল,সেদিন সকালে, দিদি তাকে বলল,চল,সেলুনে যাই,চল,চল,সেখানে গিয়ে সে বার্বারকে বলল,দাদা,আমার চুলটা একেবারে কেটে দিন তো,বড্ড উকুন ধরেছে,নাপিত তার (অমুর) দিদিকে তার নিজ চোখের সামনেই ন্যাড়া করে ফেলল,আর তারপর তার পালা,তার মনে পড়ল, যে অনন্যা তার চুলগুলো দেখে হেসেছিল কেন হেসেছিল,আজ আবার দেখা করতে হবে,কি লজ্জা,কি লজ্জা,সেই রাতে সে বেড় হল,৪:৫০ বাজে,ঘুটঘুটে অন্ধকার,কিচ্ছুটি দেখা যায় না, সে চুপচাপ হেটে হেটে আসছিল,অনন্যাকে দেখতেই সে দৌড় দিল,আর তখনই একটা দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় সে অনন্যার পায়ের কাছে ছিটকে পড়ল,অপু এটি দেখে ভয়ে কাদো কাদো হয়ে গেছে, অনন্যা অমুর কাছে আসল,সে তখন রক্তে মাখামাখি, বলল,অমু,ইউ আর সো মাচ কিউট,আমি কবে মারা গেছি,তবে তা দুর ঘটনা ছিল,তাই আয়ু এক মাস থাকতেই আমি মারা পড়ি,এই এক মাস ভগবান আমাকে ধরনীতে থাকতে বললেন,আর তোকে দেখে পছন্দ হয়ে গেল,ফোনে যোগাযোগ করলাম,আজ এক মাস শেষ হল,তোকে দেখামাত্র আমি প্রতিজ্ঞা করেছি,তোকে ছাড়া স্বর্গে যাব না,তখন সে অমুর চিবুক ধরে বলল,লক্ষীটি, রাগ করিস না,আমাকে ভালোবাসিস না তুই,অমু ম্লানমুখে জিজ্ঞেস করল,তাহলে তিলকি কে,উত্তর এল্ল,আমারও দিদি,যে মারা গেছে,তাকে তার বন্ধুরা দেখতে পেত,আর বন্ধুদের ভাই বোনেরা,আজ একসাথে থাকতে বাধা নেই,অনন্যা বলতে লাগল,তোকে দেখে মনে পড়ে গেল,

“তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করে
বিচিত্র ছলনাজালে হে ছলনাময়ী
নিজ ধন নিয়ে যায় সে যে আপন ভান্ডারে
অনায়াসে পারিছে সে ছলনা সহিতে
সে পায় তোমার নিকট
শান্তি,অক্ষয় অধিকার “
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।
ভালো লাগেনি ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
ডায়মান্ডা সান ভালো হয়েছে। চমৎকার।
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

ভালোবাসা জিনিসটা আজব যে কারো সাথে হয়ে যায়,আজকের এই গল্প,এক টিনেজ ছোট্ট ছেলের সাথে একটি মৃত মেয়ের,সম্পর্কটা ভালোবাসার

১৬ আগষ্ট - ২০২৩ গল্প/কবিতা: ৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪