আরিফ এক মধ্যবিত্ত তরুণ। তার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে বড় কিছু হওয়া, পরিবারকে সচ্ছল করা, সমাজে সম্মান পাওয়া। কিন্তু প্রতিদিনের বাস্তবতা তাকে ঠেলে দিত ক্লান্তির দিকে। চাকরির ইন্টারভিউতে বারবার ব্যর্থ হওয়া, বন্ধুদের এগিয়ে যাওয়া, পরিবারের চাপ—সব মিলিয়ে সে নিজের ভেতরে গড়ে তুলল এক গভীর শূন্যতা।
রাতের পর রাত সে ভাবত—
“আমি কি সত্যিই অযোগ্য?
আমার স্বপ্ন কি শুধু মরীচিকা?”
এই প্রশ্নগুলো তাকে আরও হতাশ করে তুলল। ধীরে ধীরে তার ভেতরের আলো নিভে আসছিল।
শহরে ছিলেন একজন প্রবীণ দার্শনিক শিক্ষক সাদেক স্যার। তিনি যুবকদের সাথে আলাপ করতেন, তাদের জীবন নিয়ে কথা বলতেন। সবার কাছে সাদেক স্যারের কথা শুনে আরিফও একদিন সাহস করে তার কাছে যায়।
আরিফ বলল—
“স্যার, আমি আর কিছুতে বিশ্বাস করি না। বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। আমার কাছে জীবন শুধু এক অন্তহীন অন্ধকার।”
সাদেক স্যার শান্তভাবে তাকালেন তার দিকে।
“আরিফ, তুমি কি জানো হতাশা আসলে কী?”
আরিফ মাথা নাড়ল।
স্যার বললেন—
“হতাশা হলো একটি আয়না। এটি তোমাকে তোমার সীমাবদ্ধতা দেখায়, কিন্তু একই সাথে একটি শিক্ষা দেয়—
মানুষ যদি কেবল সাফল্যেই ভরসা করে, তবে সে ভেঙে যাবে। কিন্তু যদি সে ব্যর্থতার ভেতর অর্থ খুঁজে নেয়, তবে সে আরও শক্তিশালী হবে।”
আরিফ বলল—
“কিন্তু স্যার, আমি কিভাবে এই অন্ধকার থেকে বের হবো?”
স্যার উত্তর দিলেন—
“তুমি তোমার চিন্তাকে বদলাও। হতাশাকে অভিশাপ ভেবো না, বরং এটিকে শিক্ষক ভেবো। ব্যর্থতা তোমাকে নতুন পথ খুঁজতে শেখায়। নদী যদি একটি পথ বন্ধ দেখে, তখন সে অন্য পথে বয়ে যায়। তুমিও তাই করো।”
আরিফ ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করল। সে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করল, কিন্তু এবার সে ফলাফলের চেয়ে প্রক্রিয়ায় মন দিল। সে নতুন দক্ষতা শিখল, ছোট কাজ দিয়ে শুরু করল, এবং ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল।
এলাকার মানুষ একসময় আরিফকে দেখত একজন হতাশ তরুণ হিসেবে, কিন্তু পরে তারা দেখল—সে অন্যদেরও সাহস জোগাচ্ছে।
সে বলে—
“হতাশা তোমাকে ডুবিয়ে দিতে পারে, আবার তোমাকে গড়তেও পারে। এটি নির্ভর করে তুমি কীভাবে তাকে ব্যবহার করবে।” মানুষের জীবনে হতাশা অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু তা কখনো শেষ নয়। হতাশা আসলে নতুন শক্তি অর্জনের সুযোগ।
যদি আমরা এটিকে শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ করি, তবে ব্যর্থতার ভেতর থেকেই জন্ম নিতে পারে এক নতুন জীবন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
“হতাশা তোমাকে ডুবিয়ে দিতে পারে, আবার তোমাকে গড়তেও পারে। এটি নির্ভর করে তুমি কীভাবে তাকে ব্যবহার করবে।” মানুষের জীবনে হতাশা অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু তা কখনো শেষ নয়। হতাশা আসলে নতুন শক্তি অর্জনের সুযোগ।
যদি আমরা এটিকে শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ করি, তবে ব্যর্থতার ভেতর থেকেই জন্ম নিতে পারে এক নতুন জীবন।
২২ জুলাই - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
৩১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।