পরগাছার মানুষ

পরগাছা (আগষ্ট ২০২৫)

এম. আব্দুল কাইয়ুম
  • 0
  • ৫৬
শান্তিপুর। সেখানকার মানুষগুলো সবাই খুব পরিশ্রমী। কেউ কৃষক, কেউ মৎস্যজীবী, কেউবা মাটি দিয়ে হাঁড়ি-পাতিল বানাতো। কিন্তু এদের মাঝে একজন ব্যতিক্রম ছিল—তার নাম জহিরুল।

জহিরুল একেবারে পরগাছা মানুষের প্রতিচ্ছবি।
সে সারাদিন অলসভাবে গাছতলায় বসে থাকত,
বন্ধুদের ঘাড়ে চড়ে চলত শহরে,
বাবার জমি বিক্রি করে খেয়েছিল অনেক আগেই,
এখন গ্রামের লোকদের দয়ায় চলে তার জীবন।
লোকজন প্রথমে তাকে সহানুভূতির চোখে দেখত। ভাবত, হয়তো কোনো মানসিক কষ্টে আছে। কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই বুঝল—জহিরুল ইচ্ছাকৃতভাবে কাজ না করে শুধু অন্যের ঘাম খেয়ে বেঁচে থাকতে চায়।

একদিন গ্রামের কাজল চাচা বললেন,
“জহিরুল, তোমার হাত-পা ঠিক আছে, শরীরও শক্তপোক্ত—তুমি কেন কাজ করো না?”
জহিরুল হেসে বলল,
“চাচা, আমি তো সবার ভালোবাসা খেয়েই বেঁচে আছি। কাজ করার দরকার কী?”
এই কথায় সবাই হাসল, কিন্তু চোখে ছিল বিরক্তি।

হঠাৎ এক বছর গ্রামে দুর্ভিক্ষ নেমে এল। ফসল নষ্ট হল, নদীতে পানি কমে গেল, কাজের অভাব দেখা দিল। সবাই যার যার মতো সংগ্রাম করতে লাগল। কিন্তু জহিরুল তখনও বসে বসে ভাবত—“কে আমাকে খাওয়াবে?”
কিন্তু এবার কেউ এগিয়ে এল না।
সবাই বলল,
“তুমি তো পরগাছা, শুধু খেতে জানো, উৎপাদন করতে না। এবার নিজে কিছু করো।”

অনেকদিন না খেয়ে শেষে জহিরুল নিজের ভুল বুঝল। একদিন চুপচাপ গিয়ে গ্রামের এক বৃদ্ধ কৃষকের কাছে কাজ চাইল। কৃষক প্রথমে হেসে বলল,
“তুমি? তুমি তো কখনো মাটি ছুঁয়ো না!”
জহিরুল মাথা নিচু করে বলল,
“চাচা, এবার পরগাছা নয়, আমি হতে চাই মূল গাছের এক ডাল।”

কৃষক তাকে কাজ করার সুযোগ দিল।
সেই থেকে জহিরুল ধীরে ধীরে নিজের ঘামে রুটি খেতে শিখল।

সে মনে স্থির করলো যে- আমি পরিশ্রম করে আয় করবো। এবং জীবন যাপন করবো।
“পরগাছা হয়ে বাঁচা লজ্জার, পরিশ্রম করে বাঁচা গৌরবের”।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি গল্পের প্লটটা ছিল দারুণ। আর একটু গুছিয়ে লিখলে আরও ভালো হতে পারতো। তাড়াহুড়ো কোরে লিখেছেন মনে হয়। ভাল লাগলো ধন্যবাদ কাইয়ুম ভাই।
মেহেদী মারুফ অল্প কথায় অসাধারণ প্রকাশ। এটা একটা সতর্কবাণীও বলা যায়, পরগাছা হয়ে বেঁচে থাকাটাও ভীষণ লজ্জার। ভালো লিখেছেন..!

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

“পরগাছা হয়ে বাঁচা লজ্জার, পরিশ্রম করে বাঁচা গৌরবের”।

২২ জুলাই - ২০২৩ গল্প/কবিতা: ২৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী