রাহুলের জীবন একঘেয়ে। অফিস থেকে বাসা, বাসা থেকে অফিস—এই দৌড়ের বাইরে তার আর কিছুই নেই। তবু প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায়, অফিসের কাছের কফিশপে সে এক কাপ কফি নিয়ে অপেক্ষা করে। কিসের অপেক্ষা? নিজেও জানে না। হয়তো কারো, হয়তো শুধু নিজের একাকীত্ব কাটানোর।
তিন মাস ধরে সে প্রতিদিন সেখানে যায়। একই জায়গায় বসে। কফির ধোঁয়া আর বইয়ের পাতা ওল্টানোর মাঝে তার সময় কাটে। কিন্তু তার চোখের কোণ সবসময় দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে।
একদিন, ঠিক তখনই, দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে এক অপরূপ মেয়ে। লম্বা চুল, সাদা পোশাক, আর মুখে এক গভীর দুঃখের ছাপ। মেয়েটি এক কোণায় গিয়ে বসল, একটা বই খুলল, কিন্তু চোখ বইয়ের পাতায় নেই। রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
এরপর প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেয়েটি আসে। সে একাই বসে থাকে, তার চোখে যেন একরাশ বিষণ্ণতা। রাহুল ভেবেছিল কথা বলবে, কিন্তু সাহস পায় না। সে শুধু দূর থেকে মেয়েটিকে দেখে যায়।
একদিন, হঠাৎ মেয়েটির চোখে জল নামতে দেখে রাহুল আর নিজেকে থামাতে পারে না। সে তার টেবিলে গিয়ে ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করে, "সব ঠিক আছে তো?"
মেয়েটি মুখ তুলে তাকায়। তার চোখে কৃতজ্ঞতা আর একটু ভয়। তারপর মেয়েটি বলে, "তোমার প্রশ্নটা খুব দরকারি ছিল।"
সেই থেকে শুরু হয় তাদের কথা বলা। মেয়েটির নাম ছিল অনামিকা। তার গল্প ছিল, তার কষ্ট ছিল, আর তার ভাঙা স্বপ্নের কথা। রাহুল শুনত। আর এই শোনার মধ্যেই তাদের মধ্যে এক বন্ধন গড়ে উঠেছিল।
কয়েক মাস কেটে যায়। একদিন, অনামিকা এসে বলে, "তোমার অপেক্ষা কি শেষ হলো?"
রাহুল হেসে বলে, "তুমি কি জানো, আমি কিসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম?"
অনামিকা মৃদু হেসে বলে, "হয়তো আমার জন্য, ভালবাসার জন্য।"
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
অপেক্ষার শেষ প্রহরে ভালবাসা
হয়তো আমার জন্য, ভালবাসার জন্য।"
২২ জুলাই - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
১৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।