বৃষ্টি বাদলায় জীবন

বৃষ্টি বাদল (জুলাই ২০২৩)

Mahfuza Koli
  • ৪৯
আমি একজন বাংলাদেশী। আমাদের সমাজব্যবস্থা খুবই অদ্ভুত। এখানের মানুষও খুবই অদ্ভুত। আর তাদের আচার -আচরণ আরো অদ্ভুত। সবাই শুধু একে অন্যের দোষ খুঁজে তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। ফলে আজ আমাদের জীবন এই বৃষ্টি বাদল তো এই পরিষ্কার আকাশ । আজ এই সমাজের একটি সত্য ঘটনার কথা বলি।

আমি আয়শা । সাভার থানা রোডের দক্ষিণ চারভাগে আমার বাসা। আমি এখানে আমার বড় বোন মাইশা,মা আর বাবার সাথে একটা তিনতলা বিল্ডিং এর নিচতলায় ভাড়া থাকি। আমাদের পাশের ফ্লাট ফাঁকা থাকায় মার গ্রামের এক ভাই ভাড়া নেন । তিনি , তার স্ত্রী ও তার দুই মেয়ে ইভা আর এশা । ইভা আমার বড় আর এশা আমার ছোট। শুরু থেকেই মামা বিভিন্ন কথা বলে আমার সাথে মজা করেন। আমার ওনার কথা ও কাজগুলো খুবই বিরক্তিকর লাগে। তারপরও কিছু না বলে চুপচাপ সব মুখ বুজে সহ্য করে যাই। যখন দেখলাম চুপচাপ থাকলে আরও বলে তখন আমিও মজার তালে ওনাকে বিভিন্নভাবে অপমান করা শুরু করি। কিন্তু আফসোস তিনি আমার অতি সূক্ষ্মভাবে করা অপমান বুঝতে পারেন না। অবশ্য এতে তার কোনো দোষ নেই ।দোষ আমারই ।আমি এমনভাবে অপমান করা মে কারো বুঝার উপায় নেই। এমন একদিন সন্ধ্যায় ইভা আপু আর মাইশা আপু বাইরে ফুসকা খেতে বের হওয়ার প্লান করে । দিনটি ছিল কোরবানি ঈদের কয়েকদিন আগে। আমার মা যেহেতু একজন টেইলার্স।তাই ইভা আপুরা চেয়েছিল আপুর জামা আমার মার কাছে বানাতে। তারা গ্রামে থাকতো আর আমার মা তাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় তাই তারা জামার মুজুরীর অর্ধেকটাও দিত কিনা সন্দেহ ছিল।তাই মা মামীকে বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে আপুর জামা দোকানে দেওয়াতে রাজি করান। আম্মু আর মামী বের হওয়ার আগে ইভা আপু আর আমার বোন বাইরে ফুসকা খেতে বের হতে চায়। তখন আপু রেডি হওয়ার জন্য কাপড় নিতে আমি রুমে আসে তখন আমি জানতে পারি। আমার বোন আমাকে একবারও বলল না মে আয়শা রাবি নাকি না। মামী তখন রেডি হয়ে আমার রুমে এসে আমায় রেডি না দেখে জিজ্ঞেস করেন আমি যাব না তখন আপু বলে আয়শা রেডি হ । তখন আমি রাগে দুঃখে যাব না বলি। মামী আর আম্মু দোকানে কাপড় দিতে বের হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে তারাও বের হয়ে যায়। আম্মু তখন বাসায় এসে দেখে আমি যাই নি তখন আমাকে আব্বুর সাথে বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হতে বলে। তাই আমিও রেডি হতে যাই ।আমি রেডি হতে হতে আপুরা ফুসকা খেয়ে চলে আসে। আমি রেডি হয়ে আব্বুর সাথে বের হওয়ার সময় মামা আসেন।তিনি এসেই আমাকে দেখে রাস্তার বখাটের মতো মুখ দিয়ে শব্দ করতে থাকেন। ফলে আমি অতিরিক্ত রেগে তাকে ঝাড়ু দিয়ে পেটানোর কথা বলি। আমার এই কথায় মামা রেগে যান। আমি নাকি তার সাথে বেয়াদবি করেছি। সবাই শুধু আমাকেই দোষারোপ করল।আম্মুকে আমি আগেও মামাকে নিয়ে অনেকবার ওয়আর্ন করছি। তারপরও সবাই আমাকে বকলো , কথা শোনালো । সবাই শুধু এক কথাই বললো মে আমি নাকি বেয়াদবি করছি। মামার কথা হোক সেটা ভালো অথবা খারাপ সবাই সেটা মজা বলে উড়িয়ে দেয়। তাহলে আমার কথাকে সবাই মজা কেন ভাবতে পারল না। কেন সবাই আমাকে খারাপ বানালো।এখানে কি একটিই কারণ যে মামা বয়সে বড় আর আমি ছোট। তাহলে তো রাস্তা-ঘাটে কেউ মেয়েদের উত্ত্যক্ত করলেও মানুষ বলবে যে দূর বোকা মেয়ে ওই ছেলেটা তোর বড় তাই হয়তো তোর সাথে মজা করছে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে একদিন ধর্ষকদের বয়স ধর্ষিতার থেকে বড় হওয়ায় শাস্তি না দিয়ে মজা বলা হবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

শান্ত পরিবেশকে উথাল পাতাল করতে তেমন বৃষ্টি বাদল হয় ঠিক তেমনই জীবনকেও উথাল পাতাল করতে জীবনেও বৃষ্টি বাদল হয় ।

২৫ ডিসেম্বর - ২০২২ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪