চিত্তে দহন

স্বপ্ন (জানুয়ারী ২০২৩)

শাহরিয়ার ইউসুফ
  • ২৪৯
চিত্তে দহন বারেবার ক্ষত-বিক্ষত তবুও এইতো আমি,
ক্রন্দন যেথায় সে-তো বুঝিবার নেই কারো-ও উপায়;
বাহির যেমন সুবিন্যস্ত ভেতরও তেমন সেতো ঠিক মিথ্যে,
যাচ্ছেতো চলে সময় দিব্যি মিছে হাসিতে চাপা বেদনায় !!

সুখ না মিলুক এ জীবনে পেয়েছি তায় আকড়ে রয় যে আমায়,
কর্মের ফল ভুগছি যেন প্রতিনিয়ত অতীত শিক্ষা দিয়ে যায় !!

চাওয়া পাওয়ার এ ভুবনে হয়তো হলোনা কোনও স্বপ্ন পূরণ,
কপালের লিখন খন্ডাতে না পারে কেহ সব তাঁরই সমীকরণ !!

অবহেলায় কাটানো সেই সময়গুলি যখন ছিল খুবই মুল্যবান,
বাস্তবতা ছিলো তখন বুঝের প্রতিকূলে স্পষ্ট আজ তার প্রতিদান!!

আবেগে কথন উচ্ছ্বসিত যাপনে সিদ্ধ নয়-তো কারো জীবন,
আক্ষেপ জাগে বিরহ বাড়ে কবে হবে অবসান এ চিত্তে দহন?

হে প্রভু তুমি দাওগো নিস্তার এমন দূরূহতা সইবার সাধ্য আছে কার?
ধৈর্য আমার সীমা ছাড়িয়ে আজ প্রত্যর্পণ চাই তোমার প্রতি ভরসার!!



.........................
.........................
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মাইদুল সরকার দারুন ভাবনার প্রকাশ।
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩
নূসরাত জাহান ঊর্মি ভালো লেগেছে ভারী
ভালো লাগেনি ১১ জানুয়ারী, ২০২৩
ফয়জুল মহী অসাধারণ লেখায় সুন্দর প্রকাশ
মাসুম পান্থ - চমৎকার উপস্থাপন করলেন কবি। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বর্ণনাঃ-কবিতার সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ- আমার চিত্তে দহন কবিতায় স্বপ্ন পূরণের ব্যর্থতায় অন্তরে যে কষ্টগুলো পর্যায়ক্রমে বাসা বেধেছে সে বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে,এবং জীবন চলার ক্ষেত্রে বাস্তব কিছু চিত্র যা ঘটে যায় প্রায়জনের,সেসবি তুলে ধরা হয়েছে।এই কবিতা আমার ব্যক্তিগত জীবনের বাস্তব চিত্র হলেও,হয়তো অনেকের জীবনের সাথে মিললেও মিলতে পারে। মূলকথাঃ-স্বপ্নপূরণ না হওয়াটা যে কতটা বেদনাদ্বায়ক সেটাতো সেই বুঝে যার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।একজন মানুষের স্বপ্নের শেষ নেই।বিভিন্ন ধরনের স্বপ্নই দেখে প্রতিটি মানুষ।অপূর্ণ সেই স্বপ্নগুলো যখন বার বার আঘাত হানে হ্রদয়ে।এ যেন এক সীমাহীন কষ্ট,নিরবতায় অশ্রুহীন কান্না।বুকের ভেতরটা ভুমিকম্পের ন্যায় কাপিয়ে তুলে ঝড়, করে যায় ক্ষত বিক্ষত।সে এক কঠিন সংগ্রাম,আর সেই সংগ্রামী নায়ক স্বপ্নচারী।একটু একটু করে দেখা স্বপ্নগুলো যখন ক্রমানুসারে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় তখন তার মতো অসহায় যেন এ পৃথিবীর বুকে আর কেউ নাই।এমনটাই সে মনে করে তখন।এমন ভাবনা আসাটা ঐ মহূর্তে তার জন্য স্বাভাবিকও বটে।একটা মানুষের বাহির ঠিক যেমন স্বাভাবিক কিন্তু ভেতরটাও যে তেমনি হবে সেটা ভুল ধারনা মাত্র কারো কারো।অথচ,তাঁর ভেতরটা বেদনাময়।কারো কষ্ট হয়তো চেহারায় বা কোন দিক/বাচন ভঙ্গিতে প্রকাশ পায় আবার কেউ আছে এমন যে সব দিকেই সে ঠিক,দেখে মনেই হবেনা আদৌ সে কতটা ব্যথিত।তাঁর সময় ঠিক সময়ের গতিতেই চলে যাচ্ছে,অথচ বেচারা কষ্টে জর্জরিত,বুঝার উপায় নেই।ফিরে দেখা দিনগুলো যখন ভাবনাতে আসে তখন নিজের প্রতি রাগ হয় সেই সময়গুলো সেই দিনগুলো কিভাবে অবহেলা করে এসেছি,যেসবের মূল্য বুঝিনি। বাস্তবতা আদৌ কি জিনিস সেটা বুঝতে চেষ্টা করিনি কখনোই।সেই অতিতের দিনগুলি থেকে স্পষ্ট কিছু শিক্ষা পাওয়া যায় বর্তমানে।অপরদিকে কষ্ট যেন বন্ধু হয়ে রয়ে গেলো আমার।সেই যে এসেছিলো আমার মাঝে সেই রয়ে গেল। মাঝেমধ্যে ভাবি ভাগ্যে ছিলো না হয়তো তাই হয়নি কোন স্বপ্ন পূরণ।সব-তো কপালেরই লিখন,যা লিখে রেখেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা।যা খন্ডানোর সাধ্য কারোরই নাই।সব তাঁরই সমীকরণ।আমার ব্যর্থতার ব্যাপারে যদি বলি বা আমার ভাগ্য অসহায় ছিলো-তাই যদি বলি,তবে যা তিনি চেয়েছেন,যা ভালো বুঝেছেন তাই করেছেন।তা মেনে নিতে বাধ্য আমি।কিন্তু সে সান্ত্বনা যেন আমাকে সস্তিই দেয়না,আমার কষ্টের যেন শেষ নেই তবুও।মন যে কোন সান্ত্বনাই মানেনা।চেষ্টার তো কোন ক্রুটি ছিলোনা তবুও কেন এমন হলাম,আমার সাথেই বা কেন এসব হচ্ছে আমার প্রতিটা লক্ষ্যের ক্ষেত্রে?যেসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত দেহ ও মন আমার আজ প্রায়।বারবার আমাকে ভাবায় আমার অতীত, আমার স্বপ্ন।যা আমার প্রতিকূলে ছিলো এবং আছে সব সময়।সেসব যেমন ভাবায় তেমন যন্ত্রণাও কম নয়।আবেগ দিয়ে জীবন চলে না,আমরাতো আবেগে অনেক কিছুই বলি যেন সব হয়েই গেলো কিন্তু না তাতেই কোন ভালো ফল আশা করা যায়না।বাস্তবতা আর আবেগ কখনোই এক নয়।এই কথাটা আমরা অনেকে বুঝলেও মানিই বা ক'জন।আবেগ দিয়েই যেন জীবন চালানোর চেষ্টা করি প্রায় সময়,জীবনটাকে মনে করি উপভোগের মাত্র,কিন্তু না,এ ভাবনা মোটেও ঠিক নয়।এরকম কিছু ভ্রান্ত ধারণাই আমাদের জীবন চলার পথে কাল হয়ে দড়ায়।যা আমরা বুঝেও মেনে চলার চেষ্টা করিনা।অবশেষে পস্তানো ও আক্ষেপ ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।যা কষ্টে পরিনত হয়ে প্রতিটা ক্ষেত্রে বুকে অঘাত হানে,যা সইবার মতো নয়। জানিনা আমার কষ্টগুলো আমার থেকে কবে বিদায় নিবে।সেই অপেক্ষাও যেন আমার অন্য এক অস্থিরতা।তাই নিস্তার চাই মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট।ধৈর্য-তো কম ধরিনি তবুও পেয়েছি শুধু ক্রমানুসারে লাঞ্চনা অর যন্ত্রনা।অন্তত পক্ষে আমার ধৈর্য্যের বিনিময়ে হলেও অমাকে আমার প্রাপ্য প্রতিদান দেওয়ার প্রর্থনা জানাই মহান প্রতিপালকের নিকট।

১৩ ডিসেম্বর - ২০২২ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী