বৃষ্টি বাদলের স্মৃতি

বৃষ্টি বাদল (জুলাই ২০২৩)

পার্থ সোম
  • 0
  • ৪৯
আকাশে বেশ মেঘ করেছে।বিরক্ত হয় রোহিত।আজ বৃষ্টি না হোক।বৈশাখ মাস,বৃষ্টি তো আর একা আসবে না হয়তো সঙ্গে ঝড়ও নিয়ে আসতে পারে কিন্তু তা হলে যে মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় রোহিত রয়েছে তা যদি বানচাল হয়ে যায়?এজন্যই বৃষ্টি কখনো বেশ বিরক্তিকর।
ফোনটা বেজে ওঠে তখনই।ওপাশ থেকে ফারাজ বলে"ঠিক চারটায় বের হবি বাসা থেকে।অলোক ফার্মেসির সামনে আসবি।"
এখনো এক ঘন্টা। মনে প্রানে সে কামনা করে এর মাঝে ঝড় বৃষ্টি যেন না শুরু হয়। মাঝে মাঝেই জানলা দিয়ে আকাশের দিকে উঁকি মারে। নাহ্ তেমনই আছে।
ওয়ারড্রব থেকে সুন্দর একটা শার্ট বের করে। এই শার্ট টা পরলে তাকে বেশ মানায়। বিশ মিনিট আগেই সে বের হয়। বাতাসে কেমন ভেজা ভেজা গন্ধ মাঝেমধ্যে বেশ জোরে জোরে বইছে। মনের সুখে কালো মেঘগুলো ভেসে চলছে।

কিছুক্ষণ পরে কি ঘটবে তা কল্পনা করতে থাকে রোহিত। কখনো তার মনে হয় শুভ্রা যে কাজটি করেছে ঠিকই করেছে আবার কখনো মনে হয়, না সে অন্যায় করেছে। অলোক ফার্মেসির সামনে ফারাজ দাঁড়িয়ে।

" থ্রি কোয়ার্টার আরেকটা পুরানো টি শার্ট পরে বের হয়ে আসলি!একটা ভালো শার্ট পরে আসতিস" রোহিত বলে।
"কেন আমি কি বিয়ে করতে যাচ্ছি যে পাঞ্জাবি পায়জামা পরে সেজেগুজে আসবো।"
আসলেই তো । রোহিত ভাবে তারপর জিজ্ঞেস করে, "শুভ্রা আসবে কখন?"
"কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে।"
উত্তেজনাটা ফারাজের মধ্যেই বেশি। সেটা সে যথাসম্ভব দমন করে রাখার চেষ্টা করে চলেছে। যে কথাগুলো শুভ্রাকে আজ বলতে চায় সেগুলো বলতে পারবে তো? দুহাতের মুঠি শক্ত করে ফেলে সে।
সে বলবেই।
প্রায় দেড় বছর পর শুভ্রাকে দেখবে আজ ও।

কত স্মৃতি ওর শুভ্রার সাথে। সেগুলো যেন একের পর এক পাতা উল্টাতে থাকে। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তা বেশ ফাঁকা আজ। রাস্তাটা ডানে মোড় নিয়েছে সেখানে কলেজ।কতদিন তারা এ পথ দিয়ে হেঁটে কলেজে গিয়েছে ।

সেদিনও এমনই ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছিল। ফারাজ শুভ্রাকে চিনত কিন্তু তখনো কথা বলার সুযোগ হয়ে ওঠেনি ওর সাথে । ভাবতো কি বলবে। বাড়ি কোথায় কিংবা কোন স্কুলে পড়তে এসব জিজ্ঞেস করবে?

কিন্তু সেদিন তার কি মনে হলো কে জানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে যাওয়া শুভ্রা কে দেখে সে ছাতাটা খুলে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে শুভ্রার মাথার উপর ধরেছিল। শুভ্রা প্রথমে অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিল তারপর হেসে ফারাজকে বলেছিল "এইটুক বৃষ্টিতে আবার ছাতা লাগে নাকি!"

রোহিত ফারাজকে কনুই দিয়ে খোঁচা মারে
"ওই দেখ অটোতে শুভ্রা। রাস্তার ওধারে থামল অটোটা। শুভ্রার সাথে লম্বা একটা ছেলে। ছেলেটাকে কি যেন বলল শুভ্রা। ছেলেটা ওর কথায় মাথা নেড়ে পাশের কফিশপে ঢুকে গেল।

শুভ্রা রাস্তা পার হল।
রোহিত কে দেখে হাসার চেষ্টা করে বলল," ভালো আছো?"
রোহিতের মুখ যেন কেউ চেপে ধরেছে। কোন কথা বলতে পারল না। হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল। শুভ্রা এবার ফারাজের দিকে একটা সুন্দর ছোট লাল বাক্স এগিয়ে দিল। কোন কথা না বলে ফারাজ সেটা খুলল।

পান্না বসানো একটা সোনার আংটি। আংটিটা ফারাজই শুভ্রাকে জন্মদিনে পরিয়ে দিয়েছিল।

" আর সেই রূপার চেইনটা কোথায়? "
বেশ ঝাঁঝের সুরে বলে ফারাজ।
"হারিয়ে ফেলেছি। "
"কী! হারিয়ে ফেলেছ! ভাবলাম ওটা আমার বাড়ির কুকুরটার গলায় পরাবো। তা আর হলো না"
শুভ্রা একবার রোহিতের দিকে একবার ফারাজের দিকে চাইল। কি উত্তর দেবে বুঝে পেল না। অপমানে ওর চোখে জল এলো। ততক্ষণে জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।
আর কোন কথা না বলে চলে গেল সে।

রোহিত সঙ্গে ছাতা এনেছিল ছাতাটা খুলতে খুলতে ফারাজকে বলল "ওকে এসব না বললেও পারতিস।"
ফারাজ উত্তর না দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এগিয়ে চলা শুভ্রার দিকে চেয়ে রইল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী লেখা আরো গোছালো দরকার এবং আরো ভাবনা যোগ করতে হবে৷ তবে চেষ্টা করেছেন এতেই স্বার্থক। শুভ কামনা রইল
mdmasum mia আরেকটু বড় হলে বেশ হতো গল্পটা।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বৃষ্টি বাদল ও বিচ্ছেদ বেদনা

০৯ ডিসেম্বর - ২০২২ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪