মধুমতীর কাছেই একটা নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে।
ওখান থেকে মধুমতী দেখা যায়।আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর রেস্টুরেন্ট এর ভিতর একটা। মধুমতীও যেন এটারই অপেক্ষায় ছিল।
বিকেল পাঁচটা হবে তখন। ভিতরে গেলাম।ভিতর বাইরের চেয়েও বেশি সুন্দর। আর এমন এমন সব রান্না জীবনে চোখেও দেখিনি।পকেটে দুশো টাকা ছিল।আমি কিছু বলার আগেই যিনি রান্না করছিলেন তিনি আমাকে বসতে বললেন।বসলাম। কি অর্ডার করব ভাবছিলাম।কিন্তু ভাবারও সময় পেলাম না।মাঝবয়সী লোকটা আমার সামনে খাবার ভর্তি দুটো প্লেট নিয়ে আসল।ওর মধ্যে শুধু চকলেট কেকের একটা খন্ডই আমার পরিচিত ছিল।অন্য খাবারগুলো আমি চিনিনা।লোকটা আমাকে বলল," শুরু করো।"
আমি গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম।
লোকটা তখন ফ্রাইং প্যানে কিছু একটা ভাজছিল।খাওয়া শেষ করে মনে পড়ল আমার কাছে মাত্র দুশো টাকা আছে।কত টাকার খেয়েছি কে জানে।
ভয়ে ভয়ে লোকটার কাছে গিয়ে বললাম," কাকা বিল কত হয়েছে"
লোকটা বলল," দেড় হাজার টাকা।"
আমি কি বলব বুঝতে না পেরে হাবার মত দাড়িয়ে রইলাম।
লোকটা তার কাজে আবার মন দিলো।
দু প্লেট খাবার খেয়ে ফেলেছি!
নিজেই কিছু বুঝলাম না কখন শেষ করে ফেললাম।এত সুস্বাদু খাবার বানায় লোকটা। লোকটার চেহারা খুবই বাজে।
কুৎসিত যাকে বলা যায় তার উদাহরণ এই লোক।তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন," দাও বিল দাও আমি আজ চলে যাব।"
"আপনি একাই চালান এই রেস্টুরেন্ট?"
"এসব কথা তোমাকে বলতে পারব না তুমি বিল দিয়ে বিদেয় হও।"
লজ্জায় মুখ নিচু করে কোনোমতে বললাম "আমার কাছে এত টাকা নেই।"
লোকটাকে দেখে এবার ভয় লাগল।এমন ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।ঠিক তখনই চোখ মেললাম।বেশ কিছুক্ষণ পর বুঝলাম আমি খাটে শুয়ে আছি।জল তেষ্টা পেয়েছিল খুব।দুঢোক জল খেয়ে অবাক হয়ে গেলাম।
সত্যিই আমার পেট ভর্তি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ আজিজ
হা হা হা , আমরা ঠকে গেছি । ভেবেছিলাম এবার ধোলাই হবে ।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এটা একটা অদ্ভুত স্বপ্নের গল্প।
০৯ ডিসেম্বর - ২০২২
গল্প/কবিতা:
৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।