দেখো ?একদিন ফিরবো...

প্রত্যাশা (আগষ্ট ২০২২)

Shupto Shuha
  • 0
  • ১০১
সেদিনের পর আরো একদিন ফিরবো-
আমার ফেলে আসা বেলায় ,
আমার মায়ের কান্নায় বিদায় বেলায়,
অনেকদিন চেনা আদল না ছোঁয়ার সময়টায়।

দেখো ?একদিন ফিরবো-
আজকাল যে শহুরে কাকের দেখা মেলে এমন ,বিখ্যাত ব্যক্তির মতো!
কিন্তু দর্শণ ঠিকই?
চৌরাস্তার ডাস্টবিন আর হট্টগোলে!
বারান্দায় রোজ একটা ঘুঘু পাখি আসে,কখনো দোয়েল নিয়ম করে ,
পাশের বাড়িতে তখন রোজ
টিনের ফাঁকে ধোঁয়া ওঠে ,
বৃদ্ধ একলোক, রোজ নিয়ম করে ,
পাতা জড়ো করে ;আমার বাড়ির বাগান জুড়ে,কখনো কয়েক জোড়া ডালপালা,তারপর চলে যাবার বেলায় বলে-সংসারে তোমার আলো ফুটুক !

একদিন বলতে পারবো-
কেনো জানি,আমার কিছু সময় অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করে ,কিন্তু কথাগুলো গলা অবদি এসে আটকে যায় ।

হয়ত তুমি জানবে-
আচ্ছা তুমি কি জানতে পেরেছিলে বা চেয়েছিল ?কিম্বা জানতে চেয়েছো?
যখন তুমি রোজ নিয়ম করে,
ধুলো জড়িয়ে বাড়ি ফিরছো ,
মরুভূমি তোমার পথ ?
আমি তখন স্বাধীন মানুষ কি না?
রোদ নেই, ঝড়-বৃষ্টি নেই ,
উঁচু এক অট্টালিকার ছাদে,বিলাসিতা করি কি না ?নাকি মুখ গুঁজে ঘ্রাণ নেই !

প্রেম হবে তোমায় নিয়ে -
তোমার প্রেমাক্ষরে আঁধ ছেঁড়া চিঠিগুলোর প্রেম হবে।
আচ্ছা,তুমি তো চাইলে পারতে,
রজনীগন্ধা আর বকুল ঝরা উঠোন দিতে ?পারতে না ?
এই যে- ক্লান্তি তোমার বুকের পাশে -
ডেথট সী-এর নোনা জল চুয়ে পরছে চোখের পাশে,ঠোঁটে উপরে আর গলার ভাঁজের
ঠিক মাঝ খানটায়।
জানো?আনমনে বলতে হয় -তাল পাতায় শীতল হাওয়ার সুযোগ হতো ,একটা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দুপুরে কিম্বা মাঝ রাতে ?
যদি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত একটা ঘর পেতে,
না বেঁচে দিতে তোমায় ।

চোখ জুড়ে খেলবে সুখের বিশ্বনিখীল-
চোখের নিচে তোমার গভীর গোটা এক সমুদ্দুর, মনে হয়-চাইলে তো আহ্লাদ করে ঠোঁট জোড়া ছোঁয়াতে পারতাম ,যদি তুমি না চাইতে সুইডেনের বিশাল এক বাগান বাড়িতে আশ্রয়ের দাশ হতে!
সে-বেলায় আমাদেরও সংসার হতো ,
যেমনটি চেয়েছিলাম ?

রাতদুপুর এক করে ,তোমার কাঁধে মাথা রেখে,এই যেমন ধরো বাড়ি ধারায়-
আমার ঘরে ,একটা ছোট্ট মায়ার জন্ম হতো,

বুড়ি কাকির কথার মতো ....
হতে তো পারতো বলো ?
পারতো না ?

অথচ তোমার চোখে ঢেউ খেলছে -আটলান্টিক মহা সাগরের শীতলতা,
তুমি কি জীবন্ত আছো এখনও ?
গলা টিপে মারতে পেরেছিলে গোটা আকাশ জুড়ে থাকা মায়ার প্রতিচ্ছবি ?এখনও কি বেলা করে ভেতর পোড়াও ?সে গন্ধ কি নিকোটিনের চেয়েও তীব্র ??সে ও কি....
আর জানতে চাইবো না।

তুমি পা ফেলছো এগিয়ে আসছো যে?
আমার কাছে গ্রাম্য ঘ্রাণ নেই,আমিও এখন নিয়ম করে বেশ দামি শাড়ি কিনি,
সুতি শাড়ির ভাঁজ ভাঙি না,
আঁচলটা বেশ খসখসে !
তারপরও আমার আঁচল তোমার কপাল থেকে গলায় চাইছো?
বহু বছর পেরিয়ে গেছে বলছো?
বহুকাল পর মায়া করে কেউ আগলে নিলো আমায় ।বলে কি বোঝাচ্ছ?
আমার হাসি পাচ্ছে ,খুব অট্টহাসি !
আমার চার দেয়াল জুড়ে দম বন্ধ লাগছে আজকে চলি...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Dipok Kumar Bhadra অনবদ্ধ প্রকাশ।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

কবিতাটিতে মানব জীবনের প্রত্যাশা,মানুষ সব কিছুর পরও যেমন পিছু ফিরে দেখে,কখনো বেশ প্রত্যাশা নিয়ে চায় একদিন ফের হয়ত ফিরবে যা কিছু তার নাগালের বাইরে ছিলো?এই ফেরা হচ্ছে নিজেকে নতুন করে বদলে ফেলার পরেও নিজস্বটুকু ভেতরে যে বদ্ধ জানলার মতো ঘরকুনো থাকে ,এখানেও ঠিক তেমনই ।ফেলে আসা সময় তার প্রত্যাশায় ,সে আবার ফিরে পাবে মনোবল ,নিজস্বত ,নিজের ভেতরকার নিজেকে ।ধন্যবাদ !

০২ জুলাই - ২০২২ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পরগাছা”
কবিতার বিষয় "পরগাছা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুলাই,২০২৫