এক
বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের এক মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান আমি লেখাপড়া শেষ করে যখন কোন চাকরি-বাকরি পাচ্ছিলাম না দিশাহারার মত পথ চলতেছিলাম কি করব কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। আমার মামা আমার ফুফাতো ভাই বোন ও বোনের পুত্র পুত্রবধূ সবাই আমেরিকাতে থাকে । আমার দিশেহারা অবস্থা দেখে মা একদিন মামার সাথে কথাবার্তা বলেন আমেরিকাতে। মামা বললেন ঠিক আছে তোমার ছেলের আমি ব্যবস্থা করছি তোমার টাকা পয়সার কোন প্রয়োজন পড়বে না আমি এমন একটা বিশ্বস্ত লোক খুজছি আর ও নিজের ভাগ্নে। মামা এরপর প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা করলেন পাসপোর্ট করার জন্য টাকা পয়সা দিলেন যেখান যা কাগজপত্র প্রয়োজন রেডি করতে আমাকে বুঝিয়ে বললেন আমি সেইভাবে কার্যক্রম চালিয়ে গেলাম। সবকিছু রেডি করতে আমার প্রায় এক বছর সময় লেগে গেল মা মামার সাথে মাঝে মাঝে প্রায় কথা বলেন। অনেকবারই আমাকে যশোর খুলনা ঢাকা করতে হয়েছে। যখন কাগজপত্রের অফিসিয়ালি কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেল মামা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাঠালেন সাথে সাথে যাতায়াতের খরচ তখন থেকে আমি স্বপ্ন দেখতে লাগলাম সাত সাগর ১৩ নদীর পারে আমেরিকায় পাড়ি জমানোর । মনের আয়নায় ভেষে উঠে দুই প্রান্তে দুই মহাসাগর এপারে আটলান্টিক ওপারে প্রশান্তর প্যাসিফিক পার্ক। সৌভাগ্য হলে প্রশান্তর সচ্ছ নীল পানিতে একদিন স্নান করতে পারব লাফালাফি সাঁতার কাটতে পারবো । হইলে মাছ ধরতে পারবো প্যাসিফিক পার্কের পিয়ারে। সেই শুভদিনের আশা প্রত্যাশায় বুক বেঁধে রইলাম।
আশা প্রত্যাশার মধুর মহেন্দ্রখন জীবনে এলো ।
আজ রাতে আমার ঢাকা টু লস এঞ্জেল এর ফ্লাইট। সর্বপ্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমার এক ফুফাতো ভাইয়ের সাথে ঢাকায় চলে এলাম। মা অসুস্থ তাই আনা হয়নি তিনি ঢাকা পর্যন্ত আসতে চেয়েছিলেন। মা ও আসার সময় আমার জন্য দোয়া করলেন । ছোট বোন কে খুব আদর করলাম তাকে দশ হাজার টাকা দিয়ে আসলাম বললাম সব সময় তোমাদের সাথে আমার যোগাযোগ হবে। দোয়া করো আমি যদি ওখানে গিয়ে নাগরিত্ব পেয়ে যায় তোমাদের একদিন আমি নিয়ে যেতে পারি। সকাল আটটার পূর্বে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছলাম। আমার এক বন্ধু এখানে চাকরি করে সে আমার সর্বপ্রকার সাহায্য করলো ফ্লাইট amirat নয়টা২৫ মিনিটে। ইমিগ্রেশনের ও চেকআপের সর্বপ্রকার ঝামেলার মুক্ত হয়ে আরো কিছু টুকটাক কাজ সারতেই ফ্ল্যাইটের সময় হয়ে গেল। ফ্লাইটে উঠার পূর্বে লস এঞ্জেল মামার কাছে ফোন করলাম ইতিপূর্বে মামার সাথে সবকিছু আলাপ করেছি। কিছুক্ষণের মধ্যে এলাউন্স করা হলো প্লেনের উঠার জন্য।
প্লেনে যেয়ে বসলাম। পেসেঞ্জার একে একে প্লেনে উঠছে। ত্রুরা সার্বিক সাহায্য করছে। জানালার পাশে আমার সিট পড়েছে। আমার পাশের সিটটা খালি। একটু পরে ই অত্যাধুনিকা একটি সুন্দরী মেয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো সে বলল Please think if you don't do anything this seat is what I can sit on। আমি একটু অস্বস্তি বোধ করলাম এবং বললাম Of course ma'am, if you have a seat, sit down. তারপরও সান্তনা মেয়েটি সিটে বসলো বলল Thank you very much।
উগ্র পোশাকে সজ্জিত নয় মোটামুটি ভদ্র পোষাক পরিহিত। একটু পরে মেয়েটির কথা শুরু করল Where are you going?
সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলাম Los Angeles Little Bangladesh।
মেয়েটি বললMy name is Arina zaman Arin Basa in front of Dhanmondi Lake in Dhaka. I'm going to Los Angeles too. I am glad to have you as my traveling companion. There is no one else with me this time. Your home district.
আমি বললাম Chittagong good, are you going to visit
এরিন বলল I came to visit. I live with Santa Monica's parents. আমি বললাম-
Your home is Dhaka Dhanmondi I mean, you are Bangladeshi, I thought you were a European or a citizen of a Western country তাহলে তো আপনি বাংলা বলতে পারেন
এরিন এবার বলল অবশ্যই আমি বাংলা পড়তে বলতে পারি মুচকি হাসলো।
আমি বললাম তাহলে বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা একে অপরের সাথে বাংলাতে কথা বলতে পারি। অবশ্যই এরিন সিদ্ধান্ত জানালো।
আপনি শান্তা মনিকাতে বসবাস করেন প্রশ্ন করলাম।
এরিন উত্তর দিল জি ওখানেই আমাদের বাসা ও ব্যবসা বাণিজ্য আছে দেখাশোনা করি।আমি ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটারে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছি। মা আব্বা ভাই বোন আছেন। আমাদের মিসিগান রাজ্যের ওয়ারেন এবং বাফেলো তেও বাসা আছে। আপনি কোথায় থাকবেন?
আমি বললাম লস এঞ্জেল লিটিল বাংলাদেশ ওখানে আমার মামার বাসায় মামা আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন তার ব্যবসা দেখাশোনা করার জন্য। তার অনেক বড় ব্যবসা-বাণিজ্য আছে।
উনি বললেন তবে তো আমার থেকে আপনার অবস্থান বেশি দূরে নয় ২৫ মিনিটের পথ দেখা হবে বারবার ইনশাল্লাহ।
হাঁ তকদিরে লেখা থাকে উত্তর দিলাম। প্লেন ছেড়ে দিয়েছে।
অনেক আশা প্রত্যাশার আমার এই যাত্রা এর পূর্বে কখনো আমি আমেরিকাতে যায়নি। আমি সম্পূর্ণ একা একা আপনাকে সফর সঙ্গী পেয়ে একই পথের সাথী হয়ে যেতে পারছি এটা আমার নিজের কাছে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
এরিন বলল আমিও এবার একা একা অনেকবার আমেরিকা টু বাংলাদেশ যাতায়াত করেছি তখন সাথে কেউ না কেউ থাকতো এবার একেবারে কেউ নেই তাই হয়তো আপনাকে সফর সঙ্গে হিসেবে পেলাম।মনোবল চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দূর পথে একাকী ভ্রমন মনের ভিতরে অসহায়ত্ব ও ভীততা সৃষ্টি করে।
আমি বললাম আপনি ঠিক বলেছেন। মনটা খুব খারাপ মার শরীর খুব একটা ভালো না তারপরও আদরের ছোট বোনটা আসার সময় খুব কান্নাকাটি করছিল। তাদের পাসপোর্ট ও যাবতীয় কাগজপত্র আমি করে রেখে এসেছি। মামা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অতিসত্বর তাদের জন্য ভিসা পাঠাবেন ভ্রমণ ভিসা।
আমার মামা একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন আমেরিকাতেও তিনি একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তার সাথে তার ব্যবসা-বাণিজ্য গুলো অধিকাংশ বাংলাদেশীরা দেখা শুরু করে।
ম্যাম সরি আমি শুধু বকবক করে যাচ্ছি নিশ্চয়ই আপনি বিরক্ত বোধ করছেন।
এরিন বললো আপনার কি তাই মনে হয় তাহলে নীরব থাকুন কারো কোন কথা বলার দরকার নেই দুজন পাথরের মত নিঃচল বসে থাকি।
না না তা কেন আচ্ছা চা বা কপি ওডার দিলে কেমন হয়। সাথে ঠান্ডা পানি ।
এরিন একজন বিমানবালাকে বললো Arrange for coffee and cold water for the two of us.Arrange for coffee and cold water for the two of us. বিমান বালা বললোsaid of course ma'am I am making arrangements now। কিছুক্ষণের মধ্যে কপি এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে গেল আমরা তা পান করলাম। এরিন হঠাৎ করে প্রশ্ন করল মা বোনের কথা বললেন ভাবীর কথা তো কিছু বললেন না ভাবি কান্নাকাটি করিনি? কি যে বলেন আপনি আমাকে আবার কোন মেয়ে বিয়ে করবে বিয়ে করলে তো ভাবি কান্নাকাটি করবে জীবনে বিয়ে-শাদী কখন হবে না। তাছাড়া বিয়ে-শাদী করিনি ভালই আছি। মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়াতে পারবো। আপনাকে শাড়ি পরলে অসাধারণ দেখাবে শাড়ি কি কখনো পরেন আপনি ?ম্যাম আপনার হাসবেন্ড কি করেন?
এরিন বলে শাড়িটা খুব কমই পরা হয় কেমন যেন জড়তা লাগে। আর হাসবেন্ডের কথা বলছেন
আমার হাজব্যান্ড মারা গেছে তারপরে আর বিবাহ করিনি আর ইচ্ছাও নাই।
আমি প্রথম এরিনের মুখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম এরিন সম্ভবত একটু লজ্জিত হলো। স্বগত নিজেই প্রশ্ন করলাম এরিন কি সত্যিই বলছে সত্যিই তার স্বামী মারা গেছে বিশ্বাস করতে যেন কষ্ট হচ্ছে।
এরিন আমার মনের ভাষা হওয়ত বুঝতে পেরেছিল বলল আমি আপনার সাথে একটু বড়িয়ে বলে নি প্রকৃত ঘটনা আমি আমেরিকান একটা মুসলিম ছেলেকে ভালোবাসতাম তাকে বিবাহ করতে চেয়েছিলাম পারিবারিকভাবে সবকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিবাহের দিনও পড়েছিল সেটা ছিল ক্যালিফর্নিয়াতে। আমরা একই সাথে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সাথে আমার বিবাহ হয়নি। তার সাথে আমার একটা পবিত্র সম্পর্ক ছিল কোন রকম খারাপ শরীয়ত বিরোধী কোন সম্পর্ক ছিল না।তারপর অনেক লং হিস্ট্রি এই পর্যন্তই থাক আর এই জন্যই বললাম আমার স্বামী মারা গেছে।
প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে কেউ কাউকে দেখে বুঝতে পারেনা কার মনে কত কষ্ট যাই হোক আল্লাহ আপনাকে মঙ্গল করুন নিশ্চয়ই একদিন আপনার সুখের দিন আসবে সেই দোয়াই করি।।এরিন বললো আপনার মুখের বাণী যত শুনেছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি আপনি এত সুন্দর করে কথা বলতে পারেন। আপনার পাশে সিট না পড়লে হয়তো বুঝতে পারতাম না আপনাকে। আমাদের কথা বলার মাঝে বিমান অনেক এগিয়ে এসেছে। একটার দিকে আমাদের লান্স এলো একটা ছোট ব্যাগ দিয়ে গেল আমরা লান্স সেরে নিলাম। টিভি স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে আমরা ঢাকা থেকে কতদূর এসেছি এবং কোন দেশের উপর আছে কত ফুট উপরে আছি।যহর নামাজের সময় ঘনিয়ে এলো। আমি ওয়াশরুমে ওযু এস্তেঞ্জার সেরে প্রেয়ার রুমে যেয়ে সুন্নত নামাজ পড়ে নিয়ে অন্যান্য মুসল্লিদের সাথে কছর নামাজ আদায় করলাম। এবার সিটে এসে প্রয়োজনীয় প্রতিদিনকার আমল করতে থাকলাম। মনে হল এরিন ঘুমিয়ে পড়েছে।আর কথা বললাম না।
দুই
তিনটার দিকে ফ্লাইট দুবাই বিমানবন্দর ল্যান্ড করলো। এরিন ইতিমধ্যে আমাকে বলল চলুন আমরা দুবাই এসে গেছি। আমরা প্লেন থেকে নেমে দুবাই বিমানবন্দর টার্মিনালে প্রবেশ করলাম। অফিসিয়াল ফর্মালিটিজ মেন্টন করে আমরা বের হয়ে গেলাম আমাদের কানেক্টিং বিমান ৭.৩০মিনিটে। এরিন ভ্রমণের ব্যাপারে খুবই স্মার্ট কোন রকম সংকোচ নেই।এবার ও মোবাইল বের করল এবং কোথায় যেন ফোন করলো বলল ভাইয়া আমি দুবাই টার্মিনাল অবস্থান করছি তোমার গাড়িটা তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দাও। এখন থেকে ৫ ঘণ্টা পর আমাদের লস এঞ্জেলসের ফ্লাইট
ওপার থেকে শব্দ ভেসে এলো ঠিক আছে আমি এখনো গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি সরাসরি বাসায় এসে রেস্ট নিবি।এরিন বলল ঠিক আছে ভাইয়া আমি মাখদুম ক্যাফের সামনে অবস্থান করছি এরপর সে মোবাইল রেখে দিল। এখান থেকে ১০ মিনিটের পথ আমার চাচাতো ভাইয়ের বাসা আমরা এখন বাসায় যাব রেস্ট নেব কিছুটা খাওয়া-দাওয়া করব কয়েকটা শপিং করব কিছুটা ঘোরাঘুরি করব তারপর নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা বিমানবন্দর চলে আসবো। দুবাইয়ের মাটিতে নেমে আমি কয়েকবার দুরুদ শরীফ পাঠ করলাম যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাত তবুও আরবেরই একটি অংশ আমার রাসূলের পবিত্র জন্মভূমি চোখ দিয়ে দরদর করে পানি ঝরে পড়ল। কিন্তু আমি এরিনকে তা বুঝতে দিলাম না। আমি বললাম ঠিক আছে আপনি যান আমি টার্মিনালের অপেক্ষা করব আমি তখন যেতে পারি না আপনার সাথে গেলে আপনি বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন কে আমি কেন আমাকে সাথে নিয়ে যাচ্ছেন?
এরিন সত্যিই আশ্চর্য তো হলো আমার দিকে চেয়ে সে বলল আপনি আমার সাথে যাবেন না কি বলছেন এসব আমি তো এমন আশা করিনি তাহলে আমারও যাওয়া হবেনা আপনাকে রেখে আমি যেতে পারি না।
ঠিক আছে চলুন যাওয়া যাক আমি বললাম। আশেপাশে চারি সাইটটা তাকিয়ে দেখছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি এলো এরিনের গাড়ি ও ড্রাইভার দুটি পরিচিত। ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে আমাদের কাছে এসে দাঁড়ালো এরিনের দিকে তাকিয়ে বলল। কেমন আছেন ম্যাম এবার অনেকদিন পর এলেন আসুন।
এরিন বলে ভাল আছি তুমি ভালো আছো তো?
জি ম্যাম আসুন। এরপর আমরা প্রাইভেটকারে যেয়ে উঠে বসলাম পাশাপাশি সিটে বসলাম ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিলাম।
এরিন বলল আমরা এখন ডাইরেক্ট বাসায় যাব ওখানে গোসল করব খাওয়া-দাওয়া করব বাকি কিছু কাজ আছে।
মাত্র 10 মিনিটের ভিতরে আমরা বাসার সামনে আসলাম ছয় তলা ভবন নিচের তিনতলা পর্যন্ত শপিং মার্কেট চারতলাতে এরিনের ভাই থাকে
আমরা গাড়ি থেকে নেবে, লিফটে করে চার তলায় পৌঁছালাম। গেস্ট রুমে গিয়ে বসলাম।এরিনের ভাই ভাবির সাথে পরিচয় হলো আমি সালাম বিনিময় করলাম আপনারা কেমন আছেন? ভাই এবং ভাবি দুজনে উত্তর দিলে ভালো আছি এরিনের দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালো
এরিন খুব চতুর মেয়ে ও ভাই ভাবীর মনোভাব বুঝতে পেরে দ্রুত বললো আমার বন্ধু আমরা একসাথে লস এঞ্জেল যাচ্ছি। আমরা সহযাত্রী।
এবার আমি একটু ফ্রেশ করলাম ভাইয়া আমার নাম মিনুর খাঁন বাসা চট্টগ্রাম। ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে লস এঞ্জেল যাচ্ছি মামার ওখানে থাকবো।
ঢাকা থেকে আমরা একসাথে এসেছি এবং একই সাথে একই বিমানে পাড়ি দিব।
ভাবী খুব এক্সপার্ট বলেন আপনারা কাপড়-চোপড় চেঞ্জ করুন গোসল ছেড়ে ফ্রেস হয়ে নিন আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।
ভাই বললেন হ্যাঁ এরিন যাও এরিন ভাইয়ার একটু পাশে নিয়ে যেয়ে নিম্নসরে কিছু বলল। ভাবী পাশের একটি রুমে দরজা খুলে দিলেন বললেন এই রুমে
আপনি রেস্ট নিবেন এখন গোসল সেরেনিন।এর পর আমরা পৃথক ওয়াস রুমে যেয়ে গোসল ওযু সেরে বের হয়ে এলাম ।এরিন ও তদ্রুপ করেছে। কিছুক্ষণের ভিতরেই আমাদের ডাইনিং টেবিলে ডাকা হল খাবার প্রস্তুত। খাবারের আয়োজন দেখে
আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম।
ভাবী বললেন উঠ' দুন্বা' সবি আছে ইনশাল্লাহ হ্নদয় ভরে খেয়ে নিন আর জীবনে কখনো আপনার সাথে দেখা হবে কিনা হবে বলতে পারি না।
ভাইয়া বললেন এরিনের বন্ধু আপনি। আমাদেরও বন্ধু। ভাবী খুবই আন্তরিক। তাদের ছেলে মেয়ে দুটো আমাদের টেবিলে বসেছে অবশ্য কথা বলছে না ছোট ছোট। শুধু আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে মেয়েটা। এরিন নিজ হাতে পরিবেশন করছে।
যাহোক এরপর আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমার রুমে এলাম এরিন এসে বলল আপনি রেস্ট নিন আমি ভাবীর নিয়ে নিচে যাচ্ছি। একটু জরুরী কাজে। এরিনের হাতে ফিতা দেখলাম। ড্রেস চেঞ্জ করে ট্রাউজার পরে আছি। আমার কোট প্যান্ট জুতো বাইরে একটা আল্নাই রাখা আছে।
আমি বললাম ঠিক আছে জান।
প্রায় দুই ঘন্টা ঘুমালাম এই দুই ঘন্টা পরে এরিন ফিরে এলো বলল উঠুন যেতে হবে দুবাই শহর কিছুটা ঘুরে ফিরে তো দেখতে হবে নাকি বলেন।
আমি বললাম আপনার দয়া।
এরিন ভাবী কে ডাক দিল ভাবী একটা ব্যাগ হাতে প্রবেশ করল। ব্যাগ খুলে সবকিছু বের করল একটা প্রিন্স কোট প্যান্ট একটা সু ও একটি গোল্ডেন চেনের ঘড়ি। এরিন বলল আপনি এগুলো তাড়াতাড়ি পরে নিন। আমি কোন কিছুই বুঝতে পারছিলাম না ভাবী বললেন এগুলো সব আপনার বান্ধবীর ইচ্ছা।এরিন তুমি দ্রুত ড্রেস করে নাও মাত্র দুই ঘন্টা সময় আছে।
এরিন ও ভাবী ঘর থেকে ছেড়ে গেল আমি ভাবছি এরিন এসব কি শুরু করল। এত অল্প সময়ের ভিতর কোথা থেকে কি করে ম্যানেজ করল বুঝতে পারছিলাম না আমি পোশাকগুলো পরে নিলাম। আল্লাহ আমাকে সক্ষম দিলে আমি একদিন প্রতিশোধ নিতে পারব। এরপর আমি এসে বসলাম এরিন ড্রেস কমপ্লিট করে এলো। এরিনকে দেখে আমার বিস্ময়ের সীমা রইল না। অতি মূল্যবান একটি শাড়ি পড়েছে এবং গলায় খুব বড় গোল্ডের নেকলেস দেখলাম তাতে অনেক গুলো ডায়মন্ডের পাথর চিকচিক করছে। একে অপরের দিকে অনেকক্ষণ চেয়ে রইলাম।
ভাইয়া এসে বললেন এরিন আপনার বন্ধুত্ব অটুট রাখতে চেয়েছে । এখনই যাবে না একটু পরে যাবে
এরিন বলল এখনই বেরোবো শহরটা কিছুটা ঘুরে যেতে চাই।
এরপর আমরা গাড়িতে এসে বসলাম ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিল। এরিনের কথামতো ড্রাইভার গাড়ি চালানো। চলতে চলতে দেখলাম গাড়ি থেকে কোথাও নামেনি। পাঞ্জুরাম বুর্জু আল আরব শপিং মল মিউজিয়াম সী বিচ এগুলো দেখে আমরা বিমানবন্দর এলাম ড্রাইভার ভাইকে আমি কিছু বকশিশ দিলাম ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল আমরা বিমানবন্দরের অফিসিয়াল ফর্মালিটিজ মেন্টন করে লস এঞ্জেল বিমানের অপেক্ষায় রইলাম। যাত্রী রুমে পাশাপাশি বসে আছি। এরই মধ্যে একটি বয়স্ক ছেলে সামনে এল এসেছে ছেলেটিকে ডেকে বলল The younger brother can give us some pictures The boy said of course I can give you your mobile
এরিন তার মোবাইলটা ছেলেটি হাতে দিল এরিন আমাকে নিয়ে বিভিন্ন পোজে বিভিন্ন স্টাইলে অনেকগুলি ছবি তুলল ছেলেটি ছবিগুলো সব তুলে দিল। আমি কোন মন্তব্য করলাম না।
একটু পরে বিমান এল লস এঞ্জেলসের যাত্রীদের বিমানে ওঠার জন্য এলাউঞ্চ করা হলো আমরা বিমানে উঠলাম ঠিক আগের মতই পাশাপাশি সিটে বসলাম।
বেশ কিছুক্ষণ পরে বিমান ছেড়ে দিল। এরিন বলল আমরা এখন আটলান্টিক মহাসাগর পার হচ্ছি। আমি এরিনের কাছ থেকে বাইনোকুলার নিয়ে চোখে লাগিয়ে নিচের আটলান্টিক সাগর দেখতে দেখলাম সে এক অপূর্ব দৃশ্য জীবনে ভোলার নয়।
ঘুম আসছিল এর পর রাতে ডিনার এল ডিনার সারলাম যথা সময়ে নামাজ পড়ে নিয়েছি।আবার ঘূম।এরিন আমার হাত ধরে ঘুমিয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা পর আমরা লস এঞ্জেলসে পৌঁছলাম। অ্যালাউন্স করা হলো। প্লেন ল্যান্ড করলো।
আমরা বিমান থেকে নেমে এলাম। সর্বপ্রকার অফিসিয়াল কার্যাদি সমাপ্ত করে বাহিরে বেরিয়ে এলাম। আমি মামার কাছে ফোন করলাম মামা বললেন গাড়িটা চলে গেছে তুমি চলে এসো ড্রাইভারের সাদা ক্যাপ মাথায় আছে এবং গাড়ির সামনে বাংলাদেশের একটা পতাকা আছে দেখলে যাতে চিনতে পারো। আমি ক্যালিফোর্নিয়াতে এসেছি আমার বাসায় পৌঁছাতে বারোটা বাজবে। আমি বললাম ঠিক আছে মামা আমি গাড়িটা খুঁজে বার করছি। এদিকে এরিনের গাড়ি এসে হাজির। মামার গাড়ি খুঁজে পেলাম। এরিন বলল আপনি কোথায় উঠবেন এবং আপনার মোবাইল নাম্বার আপনার মামার মোবাইল নাম্বার সবকিছু আমাকে দিয়ে দিন। আর এই কার্ডটা রাখুন এতে আমার সব ঠিকানা আছে। কাগজ কলম বের করে ঠিকানা গুলি লিখে এরিনকে দিলাম। মামার ড্রাইভার এসে বলল আপনি কি মিনুর খাঁন কামরান স্যারের ভাগ্নে। আমি বললাম হ্যাঁ ভাইজান।এরিন আমার ডান হাতটা ধরে একটি চুমু খেলো। ড্রাইভার এবং আমি হতবাক হয়ে গেলাম। দেখলাম এরিনের দুই আঁখি দ্বারা অশ্রু ধরছে। আমার অন্তরটা কোন এক অব্যক্তবেদনায় কেঁদে উঠলো। কোন কথা বলতে পারছিলাম না। এরিন বলল বাসাতে পৌঁছে যেয়ে ফোন করবেন। আমি বললাম জি ম্যাম আপনার কথা মনে থাকবে। স্বপ্নের দেশ আমেরিকাতে পদচিহ্ন রাখা এবং আপনার মতো একজন সহযাত্রী পেয়ে সত্যিই আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।এরিন বলল আমি আপনার সহযাত্রী ভাবছি না ।এর থেকেও বেশি কিছু----
আমি গাড়িতে যেয়ে বসলাম এরিন তার গাড়িতে যেয়ে বসলো। খোদা হাফেজ আবার দেখা হবে ইনশাল্লাহ দুজন দুদিকে গন্তব্য স্থানে রওনা করলাম।
তিন
ড্রাইভার ভাই গাড়ি চালাচ্ছে আমি বললাম আমার কিছু কেনাকাটা করতে হবে। ভালো একটা মার্কেটে গাড়ি রাখবেন। আপনার নামটা কি?
ড্রাইভার ভাই বললেন আমার নাম হাসান দেশের বাড়ি কুমিল্লা আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমি এখানে এসেছি। 'জ্যাকসন হায়ইটে' গাড়ি থামালো সেখান থেকে নেমে ভিতরে প্রবেশ করলাম
খেজুর' আঙ্গুর' আপেল' কমলা' নাশপাতি' চার প্রকারের মিষ্টি পাঁচ কেজি গরুর পাঁচ কেজি খাসির ঘর ৫ কেজি দেশি মুরগি মাংস প্যাকিং করে দিতে বললাম হাসানকে বললাম এগুলো গাড়িতে নাও।
হাসান ঠিক আছে ও ক্রয় করার সামগ্রীগুলো গাড়িতে তুলে নিল আমি বিল পেইড করে গাড়িতে উঠে বসলাম। হাসান গাড়ি ছেড়ে দিল আমি বললাম এখান থেকে আর কতদূর হাসান বলল ২ মিনিটের পথ। সামনে চৌরাস্তার মোড়ে দেখলাম লিটিল বাংলাদেশ আলেকজান্দ্রিয়া সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। আশেপাশে বাংলাদেশের ঢাকা শপিংমল চিটাগাং সেন্টার বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার এগুলো চোখে পরলো একটু পরে আমরা মামার বাসায় এলাম হাসান গাড়ির হর্ন বাজানো বাড়ির দারোয়ান গেট খুলে দিল গাড়ি প্রবেশ করল।
আমি বললাম হাসান ভাই গাড়ির মালগুলো সব নামাতে হবে আমারা কি এসে গেছি?
হাসান বলল হ্যাঁ ভাই আমরা এসে গেছি চলুন আপনাকে উপর রেখে তারপর যা কোথায় আমি করছি। এরপর হাসানের সাথে আমি সিঁড়ি উপরে উঠলাম। দেখলাম দরজা গেট খোলা পরিবেশ পরিস্থিতি দিকে আমার চোখ তো সানা বড়া হয়ে গেল। আমাকে দেখেই চারপাশ থেকে ছোট ছোট ফুল ছুড়ে মারল শুভেচ্ছা স্বাগতম অভিনন্দন অভিনন্দন আমেরিকাতে স্বাগতম লিটিল বাংলাদেশে স্বাগতম এই ধরনের কথাবার্তা শুনতে লাগলাম। আমি সবার উদ্দেশ্যে সালাম দিলাম আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহ বারকাতুহু আপনারা সবাই কেমন আছেন যেহেতু আমি এখনো কেউ কারো পরিচয় পাইনি দুটি মেয়েকে শাড়ি পরা দেখলাম আর একটি বয়স্ক মহিলার সম্ভবত উনি আমার মামী হবেন একটি বার বছরের ছেলেকে দেখলাম সম্ভবত একজন কাজের বুয়া আছেন। সবথেকে সুন্দরী মেয়েটির দিকে চোখ পড়তেই মেয়েটি আমার গলায় একটা ফুলের মালা পরিয়ে দিল এবং একটা প্রিসে কয়েকটা মিষ্টি দেখলাম একটি মিষ্টি আমার কাঁটা চামচে করে মুখে তুলে দিতে গেল। আমি মেয়েটির হাত ধরে ফেললাম অপূর্ব সুন্দরী গোলাপী রঙের একটি শাড়ি পড়া মেয়েটি ঠিক যেন এরিনের কপি আমি আর হতবাক হয়ে গেলাম একটি মেয়ে আরেকটি মেয়ের মত ঠিক কিভাবে হয় প্রায় ৪৫ সেকেন্ড মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম কোন কথা বলতে পারলাম না মেয়েটি আমার দিকে এক দৃষ্টি তাকিয়ে রয়েছে। এবার মুরুব্বী মহিলা বললেন খাও বাবা এটাই আমাদের মেহমানদারী নিয়ম। উনার কথা শুনে একটি মিষ্টি কামড়ে নিলাম। আমি বললাম আমি মিনুর খাঁন নিশ্চয় আপনি আমার মামী।
আমি বললাম মামী কেমন আছেন? আর ইনি কে? আপনার ছোট বোন। ইতিমধ্যে আমি মেয়েটির হাত ছেড়ে দিয়েছি। মেয়েটির মাকে জড়িয়ে ধরে বলল মা কি সব বলছেন উনি? তোমার মেয়েকে তোমার ছোট বোন বানিয়ে দিল।
এবার মামী আমাকে হাত ধরে কাছে টেনে আদর করলেন বাবাজি তোমার কথাই আমরা দুজনই লজ্জা পেয়েছি। দোষটা আমারই প্রথমে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ছিল। ও আমার ছোট বোন নয় তোমার ছোটকালের খেলার সাথী তোমার সেই প্রিয় আদরের ছোট বোনটি যাকে তুমি সবচেয়ে কাছে টানতে ভালবাসতে আদর করতে 'মারিয়া'
আমি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে ভীষণ লজ্জিত হলাম Ma'am I'm so sorry I didn't realize you forgave me I didn't want to embarrass you. মামী এবার বলেন মিনুর এরই মধ্যে দারোয়ান এবং হাসান গাড়ির থেকে মালগুলো উপরে আনতে শুরু করে দিয়েছে। চতুর দিক থেকে সোফা সেট সাজানো বড় বড় চারটি ঝাড়বাত বিভিন্ন রংবেরঙের লাইটিং এত বড় গেস্টরুম একত্রে ৫০ জন লোক বসতে পারবে। মামী বললেন বস তোমরা সবাই বস। এর মধ্যে হাসান দ্রব্য সামগ্রী এবং আমার লেগেছে ব্যাগ উপরে নিয়ে এসেছে। সবাই বসলে আমিও বসলাম আমার পাশে মারিয়া। পাশে ছোট ছেলেটি মামী বললেন মিনুর তোমার সাথে সবাইকে পরিচয় করে দি এটা যে আমার মেয়েটা তোমার বুঝতে তোমার বাকি নেই নাম মারিয়া আর তোমার পাশে ছেলেটি আমার ছোট ছেলে ওর নাম 'ইকবাল' আর ওই তোমার গাড়িতে করে আনল 'হাসান' আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ঐ মেয়েটি হাসানের স্ত্রী ও আমার আরেক চাচাতো ভাই মেয়ে ওর নাম 'রিনা' আর উনি আমাদের কাজের আপা ।
আমি সবাইকে অভিনন্দন জানালাম। ইকবাল কে কাছে টেনে আনলাম বললাম ভাইয়া কেমন আছেন আপনি বাংলা বলতে পারেন তো।Of course I can speak Bengali and I can also speak English. You can use whatever you like with me, brother
মারিয়ার মনের অবস্থা ভালো না বুঝতে পেরে ওর রিলাক্সের জন্য মামীকে বললাম মামী ছোটকালে মারিয়া আমাকে অনেক চিমটি কেটেছে। আমি যত ব্যাথা পেতাম ও তত খুশি হত আমার এখন সব মনে পড়ছে। আমি এর প্রতিশোধ নেব বলেই মারিয়ার হাতে একটি চিমটি কাটলাম। মারিয়া উ: আ: চিৎকার করে উঠলো ব্যাথা লাগছেআমাদের ছেলেমি দেখে সবাই খিলখিল করে এসে উঠল। তবে মারিয়া মনে হয় একটু লজ্জাই পেল। ইকবাল বলল ছোট কালে আপু আপনাকে যখন চিমটি কাটত তখন আমি কত বড় ছিলাম আমি আপনাকে চিমটি কাটিনি তো? মামী বললেন পাগল ছেলে আমার তখন তোমার জন্ম হয়নি ইকবাল বলে
ও তাহলে তো তখন আমি নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে ছিলাম এবার আবার হাসির রোল পড়ে যায় মারিয়াও হেসে ওঠে। হাসান বলল ফুপু এসব গুলো কি করব দেখেন আপনার ভাগ্নে কি করেছে। মামী বললেন মিনুর এত কিছু কেনার কি দরকার ছিল বল তুমি সবে মাত্র এলে না না এটা ঠিক হয়নি তোমার। রিনা আপা অর্থাৎ কাজের বুয়া তোমরা এ গুলি কিচেন রুমের পাশে নিয়ে যাও।
ওরা দ্রব্য সামগ্রীগুলো নিয়ে যেতে থাকলো। সামনের ট্রেতে তিন রকমের শরবত দেখলাম মামীন বললেন তুমি ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে আসবে তাই মারিয়া এই শরবত গুলি বানিয়েছে। মামী নিজেই আমাকে মুখে তুলে দিলেন শরবত বললেন এটা মধুর শরবত খাও বাবা। এক গ্লাস শরবত খেলাম।
ইকবাল বলল মা তুমি এক গ্লাস খায়িছো এবার আমি এক গ্লাস খাওয়াবো ভাইয়াকে। দুধের শরবত
ইকবাল আমার মুখে দিলে দিলো বললো ভাইয়া খান খুব মজা লাগবে। আমি কাউকে নিরাশ করলাম না ইকবালের দেওয়া শরবতটুকু খেলাম। মামী বললেন মারিয়া এবার কমলালেবুর শরবত খাওয়াবে।
আমি বললাম মামী পিপাসা লেগেছে সত্য কিন্তু তিন রকমের শরবত খেলে কোন সমস্যা হবে না তো।
মামি বললেন না না কোন সমস্যা হবে না। মারিয়া বলল মা দুধের শরবত আর মধুর শরবত খেয়েছে।
একই সাথে কমলালেবুর শরবত টা খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। আমি বললাম মামী কিছু বুঝলেন ম্যাম আমাকে শরবতটুকু নিজ হাতে খাওয়াতে চাচ্ছেন না। ঠিক আছে থাক সত্যি সত্যি যদি পেটে স্প্রিট হয় বিপদ।
মারিয়া আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
মামী বললেন মারিয়া তোমার ভাইয়াকে তুমি যে ঘর থাকার ব্যবস্থা করেছ সেই ঘরে নিয়ে যাও।
আমি বললাম সর্বপ্রথম আমাকে গোসল অজু করতে হবে নামাজ পড়তে হবে আমার খুব টায়ার্ড লাগছে আমাকে ঘুমাতে হবে আর বাংলাদেশ আমেরিকা টাইম আমি এখনো এডজাস্টিং করতে পারিনি এখন যেহেতু বাংলাদেশের রাত আমার প্রচুর ঘুম আসছে চলুন ম্যাম আমার ঘরটা দেখে দিন।
রিনা তোমার ভাইয়ার লাগেজটা ঘরে পৌঁছে দাও আর কাপড় চোপড় গুলো সুন্দরভাবে আলনাই সাজিয়ে দেবে কোন দিক থেকে কোন ত্রুটি যেন থাকে না।
ইকবাল সাথে সাথে ঘরে এলো ভাইয়া আপনার থাকার ঘরটা আপামনি যেভাবে সাজিয়েছে যেন বাসর ঘর ফুলে ফুলে সজ্জিত দেখুন ঘরের অবস্থা। আমি ঘরে যেয়ে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলাম। রিনা বললো সব আপা করেছে। রিনাকে বললাম আপা আমার ব্যাগের ভিতরে আরেকটা ব্যাগ আছে ওটা আলাদা রাখুন। কারণ ওই ব্যাগের ভিতর কিছু প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ও আমার নিত্য প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট ভিসা কাগজপত্র রয়েছে। আমার কথা মতো কাজ করলে রিনা।
চোখ ঝলসানো লিভিং রুমের সৌন্দর্য দেখে বললাম ইকবাল ভাইয়া এগুলো সব তোমার আপু করেছে?
এতক্ষণে মারিয়া বলল ও দুষ্টুটাকে আপনি জিজ্ঞেস করছেন কেন আমাকে জিজ্ঞেস করুন।
ইকবাল এবার রেগে যায় তুমি তো সত্যি সত্যি বাসর ঘর সাজিয়েছো একটা কাজী ডেকে নিয়ে বিয়ে করে ভাইয়ের সাথে থাকো? বলে খিলখিল করে হাসতে হাসতে চলে গেল।
ভাই তোমার কি বলে গেল ওরে দুষ্টু আমি তো বুঝতেই পারিনি এত দুষ্টু কথাগুলো আমি বললাম।
ও দুষ্টুর ভীষণ মাইর দিবো।
না না ম্যাম আপনি ওকে মারবেন না আপনি ওকে মারতে পারেন না আপনার ছোট ভাই কলিজার টুকরা। ও বলেছে তাতে কিছু মনে না করলেই হলো ।
আচ্ছা ঠিক আছে আপনি ওয়াশরুমে যেয়ে গোসল ওযু সেরে নামাজ পড়ে নেন। আলনাই নামাজের পাটি আছে এখন পড়বেন যহরের নামাজ। কিছুক্ষণ পরে আপনাকে আমি নিয়ে যাব লাঞ্চ করবেন
আমি বললাম কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়বো
মারিয়া দেয়ালের একটি কাবা শরীফের ছবি দেখিয়ে বলল ওই ছবিটা যে দেখে ওইদিকে ফিরে পড়বেন এ প্লান আমি করে রেখেছি। এরই মধ্যে মামা চলে এসেছেন আমার ঘরে প্রবেশ করলেন বললেন কই আমার ভাগ্নে আমি মামাকে সালাম করলাম মামার সাথে কোলাকুলি করলাম মামা বললেন কোন সমস্যা হয়নি তো!
আমি বললাম না মামা কোন সমস্যা হয়নি খুব ভালোভাবে এসেছি।
মামা বললেন তোমার আম্মু ফোন করেছিল। তুমি সম্পূর্ণ ফ্রেশ হয়ে আগে খাওয়া-দাওয়া কর তারপর তোমার আম্মুর কাছে ফোন করে বলে দাও আমি সুস্থ সুন্দরভাবে পৌছে গেছি।
জি মামা ঠিক আছে আমি এখনো গোসল সারিনি অজু করিনি নামাজ পড়িনি।মামা বললেন
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি ওযু গোসল করে নামাজ পড়ে নাও মারিয়া তূমি নামাজ শেষে খাওয়া-দাওয়া ব্যবস্থা করে দিও।
মারিয়া বলল জি আচ্ছা।
তাহলে আমি এখন চলি গোসল সেরে নাও।
সবাই ঘর থেকে চলে গেল আমি সম্পূর্ণ ফ্রেশ হয়ে নামাজ শেষে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে মার কাছে ফোন করলাম এবং পরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
চার
মাগরিব নামাজের পরে সবাই একত্রিত বসলাম চা কফি খেতে খেতে সবাই কথা বলতে লাগলাম। আমি আমার ঘর থেকে কাপড় চোপড়ের ব্যাগটি আনলাম সবাই উপস্থিত আছে এই সুযোগে ব্যাগ খুলে কাপড়-চোপড় গুলো বের করলাম এগুলো আমি বোম্বে থেকে কিনে এনেছি এখানে আসার একমাস পূর্বে।
সবাই তাকিয়ে থেকে আমার কার্যপ্রণালী দেখছে।
মামা এই ব্যাগটা আপনার পায়জামা পাঞ্জাবি। আর এটা মামির শাড়ি এই প্যান্ট শার্ট ইকবালের। এই শাড়িটা রিনা আপার। এই প্যান্ট শার্ট হাসান ভাইয়ের।
এই কাপড়টি মুরুব্বী আপামনির । আর প্যান্ট শার্ট গেট ম্যান ভাইয়ের। মামা বললেন ভাগ্নে তুমি এসব কি করেছো। আমি বললাম মামা এখনো শেষ হয়নি আর এইটা ম্যামের একটা শাড়ি সেট। মারিয়ার দিকে ব্যাগটি আগিয়ে দিলাম।সকলের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছিল।
ওদিন কার মত পর্ব শেষ হলো।
দুদিন পরে মামা বললেন তুমি এক সপ্তা রেস্ট নাও ঘোরাঘুরি করো হাসান মারিয়া তোমাকে আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে যাবে তোমার কাজ আমার সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তত্ত্বাবধায়ক করা আমার বিশ্বস্ত কোন লোক নেই তুমি আমার কর্মচারী নও তুমি আমার ভাগ্নে সবকিছু তোমাকেই দেখাশোনা করে নিতে হবে। তবে তোমাকে একটু বেশি সময় দিতে হবে ৩-৪ ঘন্টার জন্য প্রতিদিন প্যাসিফিক পার্ক ওখানে আমি একটি রেস্টুরেন্ট নিয়েছি যদিও লোকজন আছে তবুও তোমাকে ওখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় দিতে হবে এবং অন্যান্য বিজনেস প্রতিষ্ঠানগুলোকে রানিং দেখাশোনা করতে হবে কাগজপত্র গুলো তোমাকে দেখতে হবে হিসাব পত্র বুঝে নিতে হবে। কারণ মারিয়া সময় দিতে পারে না ও একজন ডাক্তার সার্জিক্যাল ব্রেইন স্পেশালিস্ট। শুধু তোমাকে রিসিভ করে নেবে তাই আজ ও বাসায় রয়েছে।
আমি বললাম আপনি যেভাবে দিক নির্দেশন দেবেন আমি ঠিক সেইভাবে কাজ করব।
এদিন আর কোনো কথাবার্তা হলো না।
দু সপ্তাহ পেরিয়ে গেল এরিন মাঝে মাঝে মোবাইল করে। আমিও তার সাথে কথাবার্তা বলি।
আমার মামার বাসার বর্ণনা দিলে আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে পাঁচ বিঘা জমির উপর বাসাটি সব্জি বাগান আপেল কমলা লেবু নাশপাতি খেজুর আঙ্গুর জয়তুন বিভিন্ন প্রকার ফল ফুল মামার বাড়ির বেষ্টনী ঘেরা। বাসার নিচেই গাড়ি পার্ক ১০ গাড়ি প্যাকিং করা যাবে। পাশের বাসা ছিল ইয়েমেন এবং ইন্ডিয়ান কিন্তু তারা মামার কাছে বাড়ি এবং জমি ক্রয় করে অন্যত্র চলে গেছে আর এই বর্তমান বাসাটি মামা নতুন করে বানিয়েছে।
বাগানে ঘোরাফেরা করছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে এরিন ফোন করল। আমি ফোন রিসিভ করলাম কেমন আছেন ম্যাম উপস্থিত উত্তর এলো আমি ভালো আছি। এই ১৫ দিনের ভিতরে আপনার সরাসরি সাক্ষাৎ পেলাম না খুব মনে কষ্ট পাচ্ছি।
আপনার কষ্ট আগামীকাল অবসান হবে ইনশাল্লাহ আমি বললাম
আমি আগামীকাল ১১ঃ০০ টার দিকে প্যাসিফিক পার্কে আসছি ওটাই আমার কর্মস্থান। ওখানে আপনার সাথে বিস্তারিত কথা হবে ইনশাল্লাহ
এরিন বলল সত্যি বলছেন? আপনি প্যাসিফিক পার্কে আসবেন? আমার বাসা থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের পথ সত্যই দেখা হবে?
হাঁ হবে আপনি কামরান রেস্টুরেন্টে ১১ঃ০০ টার পর পরই হাজির হয়ে যাবেন ওটাই আমার মামা রেস্টুরেন্ট। আর ওখানকার দায়িত্ব আমার দেখাশোনা করার। আগামীকাল আমি প্রশান্ত মহাসাগরে গোসল করব ছোটাছুটি করবো এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশা প্রত্যাশা
গোসলে কি আপনার সাথে আমি শেয়ার হতে পারি।
১০০% শিওর আমার মামাতো ভাই ১২ বছর বয়সি সাথে থাকবে মামাতো বোনটা চাকরি করে আসতে পারবেনা সে একজন সরকারি হসপিটালের ব্রেইন স্পেশালিস্ট।
আপনার মামাতো বোন ব্রেন স্পেশালিস্ট নাম কি আপনার মামাতো বোনের?
আমি বললাম ডাক্তার মারিয়া কামরান।
আমি কিন্তু সত্যিই আপনার অপেক্ষায় রইলাম।
আমি আপনার মোবাইলে মেসেঞ্জারে আপনার সাথে তোলা ছবি যেগুলো দুবাই এয়ারপোর্টে তুলেছিলাম সবগুলো সেন্ড করে দিয়েছি দেখেছেন তো? আমি বললাম দেখেছি তবে ছবিগুলো আমাকে গোপনে রাখতে হচ্ছে।
কেন ছবিগুলো গোপন করছেন কেন any problem
আসলে ব্যাপারটা আমি কাউকে জানাতে চাচ্ছি না।
আচ্ছা ঠিক আছে সাক্ষাতে আলাপ হবে।
অবশ্যই রাখতে পারি এখন ঠিক যেভাবে বললাম সেভাবে করবেন
ঠিক আছে
পরদিন হাসান ভাই আমাকে নিয়ে প্যাসিফিক পার্কে কামরান রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল এবং আমার দায়িত্ব সম্পর্কে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার কর্মচারী যারা আছে তাদের সবার সাথে পরিচয় করে দিল এর আগেই মামা কামরান রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারের সাথে আমার সম্পর্কে কথা বলে রেখেছেন। ইকবালের স্কুল থাকার কারণে সে আমার সাথে আসতে পারেনি। ম্যানেজার আমার বসার স্থান দেখিয়ে দিল। চতুর্দিকে গ্লাস বেষ্টনের ভেতরে একটি ভিআইপি রুম এটাই আমার অফিস।
আমি অফিসে বসলাম মনের আবেগ ধরে রাখতে পারছিলাম না জীবনে কত সাধনা কত আশা প্রত্যাশা আমেরিকাতে প্রথম এই চাকরিতে যোগদান করলাম। তাও প্রশান্ত সাগরের পারে প্যাসিফিক পার্কে। হাসান ভাই সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল তার পূর্বে বলল পাঁচটার দিকে আমি এসে আপনাকে নিয়ে যাব।
এদিকে আমি কর্মে যোগদান করে সবার সাথে টুকটাক কথাবার্তা বলে নিলাম। বললাম আজকে আমি প্রথম প্রশান্ত সাগরের পানিতে স্নান করব এসে লাঞ্চ করব। নামাজ ঐ রুমের ভেতর পড়া যাবে তো?
ম্যানেজার সাহেব বললেন স্যার আপনার রুমের পাশেই নামাজের স্থান করা আছে আপনি প্রথম এলেন স্নান করতে যাবেন একা একাই যাবেন ভয় করবেনা আপনার
আমি বললাম না না সমস্যা নেই আমার এর অভিজ্ঞতা আছে মনে মনে আমি এরিনের খোঁজ করছিলাম।
এরিন ঠিক সময় মত এসে হাজির হলো সাথে একটা ব্যাগ দেখলাম। এরিনকে ইশারায় জানালাম যেন কেউ কোন কিছু বুঝতে না পারে।
এরিন একটি কপির অর্ডার করে খেয়ে বিল দিয়ে দিল। আমি ম্যানেজারকে বললাম ভাইজান তাহলে আমি একটু ঘুরে আসি।
ম্যানেজার বললেন ঠিক আছে বেশি দূরে কোথাও যাবে না তাড়াতাড়ি চলে আসবেন।
এবার ইশারায় এরিনকে নিয়ে অনেকটা দূরে যেখান থেকে কামরান রেস্টুরেন্টের কোন লোকজন আমাদের দেখতে না পারে। এরিন আমার হাত জড়িয়ে ধরল বলল বিশ্বাস করুন আপনার সাক্ষাতের অভাবে আমি ভীষণভাবে কষ্ট পেয়েছি আমার কেন এমন হয়েছে আমি জানিনা।
এরপর এরিন ট্রাউজার সেট এবং আমারও একটি ট্রাউজার সেট গায়ে লাগিয়ে অনেক আশা প্রত্যাশা প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে নেমে পড়লাম। আমি আনন্দে খুব গোসল করলাম ঝাঁপাঝাঁপি করলাম সাঁতার কাটলাম। এরিনের গায়ে পানি ছুড়ে মারলাম। এরিন আমাকে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে পানিতে ফেলে দিতে লাগলো আর খিল খিল করে হাসতে লাগলো। দুজন দুজনার কত যে আপন কিভাবে এমন হলো বুঝতে পারিনি। অনেকক্ষণ গোসল করে ছোটাছুটি দৌড়াদৌড়ি করলাম। উপরে এসে কাপড় পাল্টে ফেললাম। এরিন বলল 5 মিনিটের পথ আমার বাসা আমার ওখানে লাঞ্চ করবেন দুপুরে।
আমি বললাম আজ নয় প্রতিদিনই তো এখানে আসবো একদিন লাঞ্চ করে নেব।
এরিন আমার হাত ধরে বলল এই মহা প্রশান্ত সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে আমি অঙ্গীকার করছি আমি সারা জীবন আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকবো । আপনি আমাকে উপেক্ষা করবেন না তো ভুলে যাবেন না তো? কেন এমন হলো কি করে এমন হলো আমি নিজেও কিছু জানি না শুধু জানি আপনি আমার চিরচেনা। আপনি আমাকে নিশ্চিত করুন আপনি আমার সারা জীবনের সাথেই থাকবেন।
আমি বললাম একটু ধীরে ভেবেচিন্তে সময় নিয়ে অগ্রসর হলে ভালো হবে। আপনাকে পাওয়া আমার জীবনের সৌভাগ্য। তকদীর কে আমি বিশ্বাস করি তকদীরে যা আছে তাই হবে। তবে আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন জীবনে কখনো আপনাকে আমি ঠকাবো না যদিও আপনাকে পাওয়ার যোগ্যতা নেই।
এরিন আমার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরল কখনো এই কথা বলবেন না প্রতিদিন আপনার সাথে সাক্ষাৎ হবে।
শত ব্যস্ততার মাঝে আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য আমি সময় বের করে নিব।
আমি বললাম আপনি এখন বাসায় যান আমি অফিসে ফিরছি ৫ টায় আমাকে হাসান ভাই নিয়ে যাবে ওখান থেকে লাঞ্চ সেরে নেব নামাজ পড়ে নেব ।
এরিন আমার কাঁধের উপর মাথাটা চেপে ধরলো।সাত জনমের তপষ্যাতেও এ সৌভাগ্য হয়না।
আমি চিরদিন শুধু তোমার
এরপর কাঁধে একটা চুমু দিল পর পরি খোদা হাফেজ বলে চলে গেল।
আমি আবেগে অজানা আনন্দে দুর্দান্ত আশান্ত প্রশান্তর উর্মি মালার মাঝে যেন হারিয়ে গেলাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী
ভীষণ ভালো লাগলো লেখাটি । মুগ্ধ হলাম পাঠে পড়ে l
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের আশা প্রত্যাশা থাকে। আশা প্রত্যাশা নিয়ে জীবন বেঁচে থাকে। কারো আশা প্রত্যাশা পূর্ণ হয় কারো বা হয় না।বিশেষ করে সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে আমেরিকাতে স্থায়ী নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করে জীবনে সবাই সুখ হতে চায়। সৌভাগ্য গুনে কারো কারো জীবনে সেই শুভ লগ্ন আসে। জীবন মধুময় হয়ে ওঠে।
১১ এপ্রিল - ২০২২
গল্প/কবিতা:
৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।