আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে পাষাণ মহিলাটি হচ্ছে আমার মা!
আমি যখন রাতে একা ঘুমানোর সময় ভয়ে কুঁকড়ে যাই,
মা! মা! করে চিৎকার করতে থাকি,
আমার মা ভুলেও আমার কাছে ছুটে আসেনা,
আমায় জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়না।
আমি দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে আমার মা কখনো ফোন করে জানতে চায় না,
"আমি কোথায় আছি?
কেমন আছি?
কি খেয়েছি?"
বাড়ি ফিরে এলেও আমার দু'কাঁধে হাত রেখে কাছে টেনে বলে না, "এই দু'দিনে খুব রোগা হয়ে গেছিস"।
ইদানিং দেখছি মা আমার কোন আবদারও রাখে না।
এইতো সেদিন,
খুব ইচ্ছে করছিলো মায়ের হাতের ইলিশ ভাপা খেতে।
কই খাওয়ালো না তো নিজ হাতে রান্না করে।
সেদিন সারাটি দিন কেঁদেছি।
কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে,
গাল ফুলিয়ে,
রাগ করে নাওয়া-খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছিলাম।
তবুও আমার পাষাণ মায়ের হৃদয় গলেনি।
অবশ্য পাষাণ না হয়েও বা কি করবে?
সাত বছর ধরে কবরে শুয়ে আছে!
এখন হয়তো হাড় গুলোর হদিস ও ঠিক মত মিলবে না।
সাত বছর ধরে মা কে মা বলে ডাকতে পারিনা।
তাই ইদানিং মা শব্দটা ভীষণ অচেনা লাগে।
ভীষণ অচেনা........
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওবায়দুল্লাহ সালমান
কিন্তু এবারের বিষয় তো ছিল "প্রিয়ার চাহনি " তবু এ লেখাটিও বেশ প্রশংসনীয় হয়েছে। ভালোকে তো ভালো বলতেই হবে, কেননা সুন্দর হওয়াই তার ফিচার।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় মা। গল্পটি সম্পূর্ণ আমার মাকে ঘিরে লেখা হয়েছে ।
০২ এপ্রিল - ২০২২
গল্প/কবিতা:
১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।