একখানা পাপড়ি, মেটে মেটে রঙ
কুঁকড়িয়ে গুটিয়ে আছে।
শুকনো খটখটে মাটির উপর
কুঁকড়িয়ে গুটিয়ে আছে।
রোঁয়া ওঠা ধুঁকতে থাকা কুকুরটা
ওর দিকে ভুলেও তাকায় না।
বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্মেও সঙ্গম-প্রয়াসী
ব্যর্থ যে কোকিল ডেকে ডেকে ক্লান্ত,
তার সুমধুর ডাক, কর্কশভাবে
পাপড়িটাকে আঘাত করে, যন্ত্রণা দেয়।
মেটে মেটে রঙা পাপড়িটা আরও একটু
গুটিয়ে যায়।
তার মেটেরঙা শরীরে আরও খানিকটা
মেটে রঙ ধরে।
একসময় সে ছিল টকটকে লাল, মখমলের
মতো নরম আর যৌবনের
অহংকারে টানটান, গর্বিত।
তার রক্তাভ দর্পে আসক্ত কীটেরা
আর পতঙ্গেরা, তোষামোদেই
থাকত ব্যস্ত সারাদিন।
তার সুবাস ছিল স্ত্রীলোকের হাতের নতুন
কফি-রঙা নেল-পলিশের গন্ধের মতো
তীক্ষ্ণ-মধুর প্রশ্রয়ে ভরা।
দৃষ্টি ছিল স্পর্ধিত।
আজ সে পরিত্যক্ত, জীর্ণ।
পচে যাচ্ছে তার সুঠাম গড়ন,
তার মন-মদির করা সুগন্ধ আর
চোখ ঝলসানো রঙ।
পিঁপড়েরা ভিড় করেছে চারপাশে।
ক্ষুদ্র এই জীবেরা,
কুরকুরিয়ে কবজা করতে চাইছে পাপড়িটাকে।
একসময়ের সম্রাজ্ঞী, এই
‘গোলাপ পাপড়ি’টাকে।
আজ পাপড়িটার দিকে চেয়ে “সুন্দর” বললেও,
সে সুন্দর হয়ে ওঠে না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।