সঞ্জয় আজ হাইকোর্টের কাঠ গোড়ায় দাঁড়িয়ে। আজ দীর্ঘ ছমাস তার বিরুদ্ধে যে মামলার শুনানি চলছিল তার আজ শেষ দিন। আজ জজসাহেব কিছুক্ষণ বাদেই তার সাজা ঘোষণা করবেন। তার বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে সেটি হল তার চার বছরের পুত্রকে কণ্ঠ রোধকরে মারার অপরাধ।
তার পুত্র সৌম। সৌমর মা সুচরিতা।সৌম যখন একবছরের তখন সঞ্জয় -সুচরিতার ডিভোর্স মামলা স্যুট হয় কোর্টে। সেই মামলা ছমাস চলে নিষ্পত্তি হয়। তখন একবার কোর্ট ঘর করেছিল সুচরিতা। ছোট্ট সৌম কে তার মার কাছে রেখে। এখনও সেই কোর্ট ঘর করে তার পুত্রের ঘাতক বাপের শাস্তির নিষ্পত্তি করে তবে তার মনের শান্তি হবে।
কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী সৌমকে তার বাবার কাছে মাঝে মাঝে পাঠানো হতো। যদিও সৌম তার মাকে ছেড়ে যেতে চাইতো না , তবুও সৌম্যর বাবা সঞ্জয় তার পিতার অধিকার ফলাতো। একদিন দুদিন রেখে আবার তার মার কাছে ফেরত পাঠাতো।
সুচরিতা শিক্ষিত। সে ডিভোর্স হয়ে যাবার পর একটা চাকরি খুঁজে নেয়। তার ছেলে কে মানুষ করতে নিজের খরচা চালাতে। ঠিক ঠাক ভাবেই চলছিল ।
কিছুদিন থেকে সঞ্জয় সুচরিতাকে বলেছিল, আগে যা হয়েছে তা ভুলে সুচরিতা আর ছেলে কে নিয়ে সে আবার ঘর করতে চায়।
সুচরিতা বলেছিল impossible.
কারন সে জানে সঞ্জয় তেমন ভালো কোন কাজ কর্ম করে না, তাই সে এখন সুচরিতাকে খাতির করে ডাকছে। ওখানে গেলেই সে আবার সুচরিতার ওপর অত্যাচার চালাবে। আগে ঐ মারধোর অত্যাচার চালাতো বলেই সুচরিতা ছেলেকে নিয়ে মার কাছে চলে আসে। আর সেই থেকেই তার লড়াই শুরু।
ছেলে কে যে তার বাবা এই ভাবে মারবে বা মারতে পারে সুচরিতার কোন ধারণা ছিল না। তাই সে বিশ্বাস করে ছেলে কে তার বাবার কাছে পাঠাতো।
আসলে সঞ্জয় যেহেতু সুচরিতা কে ফেরাতে পারে নি তার কাছে, তাই সুচরিতার ওপর প্রতিশোধ তুলতে সৌমকে গলা টিপে মারে।
কোর্টে প্রথমে সঞ্জয় একথা না স্বীকার করলেও এই কথাটা সঞ্জয় সুচরিতা কে বেশ দাপটের সাথে বলেছিল। সুচরিতা যখন সঞ্জয় এর সঙ্গে নতুন করে ঘর করতে অস্বীকার করেছিল তখনই সঞ্জয় তাকে শাসিয়ে ছিল এর শোধ সে নেবে। সে কোর্টে এই কথাটার স্বীকার করে নেয়।এই কথাটা সুচরিতা জানতো। এবং কোর্টে এর বয়ানও দেয়। কিন্তু কোর্টে যতক্ষণ না প্রমাণ হচ্ছে যে সৌমর কণ্ঠ রোধ করে আসামী সঞ্জয়ই মেরেছে , এবং সেই কথা আসামী কে দিয়ে কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া না হচ্ছে ততক্ষণ তা গ্রাহ্য নয় আইনের চোখে। তাই এত দিন ধরে মামলা চলছে। তবে এইবার সব ঘটনা পুলিশের investigation এ প্রমাণ হয়েছে । সেই দিন কি কি হয়েছিল তা সবিস্তারে সে নিজে বলে কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়ে ।সেইযে তার ছেলে কে গলা টিপে হত্যা করে এটাও সে মেনে নেয় । আর তার স্বীকারোক্তির বয়ান অনুযায়ী জজসাহেব তাঁর রায় দেবেন একটু পরেই। হ্যাঁ, পাঠক যা ভেবেছেন তাই।সঞ্জয়ের আজ মৃত্যু দণ্ড ধার্য হবে, এটাই কোর্টে বলাবলি হচ্ছে। জজসাহেব কিছুক্ষণ পরে এজলাসে এসে এই রায়টিই দেবেন। ‘পাপ বাপ কে ছাড়ে না’ ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।