অরুণিমা,
কোন এক কাক ডাকা ভোরে তুমি এসেছিলে বাসন্তী রঙ্গের শাড়ি জড়িয়ে।।
হেমন্তের তখন মাঝামাঝি!
হেমন্তে যেমন আকাশের রঙ পাল্টায়, তেমনি আমার ধূসর জীবনে ও লেগেছিল রঙের ছটা।।
নবান্ন তখন ঘরে ঘরে;
পাকা ধানের গন্ধে মাতোয়ারা পুবালী বাতাস।।

অরুণিমা,
তুমি হয়তোবা খেয়াল করনি ;
গোধূলির রক্তিম আভা এসে যখন পড়ত তোমার ঠোঁটে, ইচ্ছে হতো চুমু এঁকে দেই;
কিন্তু ভদ্রতার ভারী শিকল পিছুটানে; আমি যে প্রেমিক হতে এসেছি খাদক নই।।
বাতাসে উড়তে থাকা তোমার কচকচে কালো চুলগুলোকে, ইচ্ছে হতো একটু ছুয়ে দিই ;
কিন্তু স্পর্ধা হতো না ; তাই মনের প্রখর চাওয়াগুলোকে গোপনেই কবর দিতাম।।
খুব ইচ্ছে হতো তোমার কোমল অঙ্গে, ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসার পরশ;
কিন্তু প্রেমিকার শরীর যে ছুতে মানা; মনের উদ্ভট চাওয়াগুলো তাই মনেই সংবরণ করে রেখেছি।।
ক্ষণ গুনেছি এই ভেবে,যদি কখনো জড়াই কর্তব্যের বন্ধনে;
তবে কাঙ্ক্ষিত চাওয়াগুলো পূর্ণতা পাবে ।
কিন্তু দুর্ভাগ্য অরুণিমা কখনো আমার হয় নি!!