স্বর্না দেবনাথের বিয়ের পর ঘর আলোকরে পুত্র এলো তারপর সরকারী চাকরিটাও জুটে গেলো। জীবনের প্রাপ্তিতে যোগ হলো নতুন নতুন পালক। ঢাকায় হেড অফিসে জয়েন করার পর চট্টগ্রামে বিভাগীয় অফিসে বদলী হওয়ার জন্য কত চেষ্টা, কত কষ্ট, কত তদবীর তারপর ছয় মাস পরে বদলীর আদেশ পত্র হাতে পেয়ে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই আনন্দ নিয়ে ঢাকা ছেড়ে পরিবার, পরিজন, ছেলে, স্বামীর কাছে চলে আসলো।
কর্ণেল হাট থেকে আগ্রাবাদ মোড়ে অফিসে যেতে রিক্সা ও বাস বদল করে যেতে হয়। সকাল বেলা উঠে সবার জন্য নাস্তা ও দুপুরের রান্না সেরে সংসারের আর সব সামলিয়ে কাটায় কাটায় নয়টায় কোনদিনও তার পৌছানো হয়না অফিসে। প্রতিদিন আধঘন্টা কিংবা এক ঘন্টা লেট হয়ে যায়।
বেসরকারী চাকরি হলে এতো দিন হয়তো রিজাইন লেটার হাতে ধরিয়ে দিতো। তার উপর অফিসের বস বেশ ভালো মানুষ তাই রক্ষা। কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করে স্বর্না। ছোট খাট ভুল ভ্রান্তি আস্তে আস্তে কমে আসলেও কম্পিউটারের টুকিটাকি সে তার সিনিয়র সহকর্মী মেহের সাহেবের কাছ থেকেই শিখছে প্রতিনিয়ত। দুজন একই রুমে বসে। প্রশাসনিক কাজগুলো তারাই করে। অনেকগুলো ফাইল নিয়ে কাজ করতে হয়। তার উপর দিন দিন সব কিছু অনলাইন হয়ে যাচ্ছে তাই অনলাইনে পারদর্শী হতে হচ্ছে স্বর্নাকে আর অফিস ও কলিগ থেকে সে সবরকম সাপোর্ট ও সাহায্য পাচ্ছে।
হেড অফিসে স্বর্না বলতে গেলে কোন কাজই করেনি। নতুন বলে তাকে কোন কাজ দেওয়াও হয়নি তাই সে অফিসিয়াল কাজ কর্ম বলতে গেলে কিছুই শিখেনি। প্রতিদিন নিয়ম করে আসা-যাওয়াই সার ছিল। হাতে-কলমে যা শিখার তা চট্টগ্রামের জোনাল অফিসেই সে শিখেছে। এ জন্য সে কৃতজ্ঞা মেহের সাহেবের কাছে। কারন তাকে যদি হিসাব শাখায় দেওয়া হতো তবে সে সেখানেও কিছু শিখতে পারতোনা। সেখানে নতুন যারা জয়েন করেছে তারা ছয় মাসেও বলার মত কাজ শিখতে পারেনি। ওখানের সব কাজ হিরন সাহেব নিজেই করে ফেলেন বাকিরা অলস বসে থাকে, গুলতানি মারে আর কে কখন কার আগে অফিস থেকে বের হবে সেই তালে থাকে।
মানুষের সুখ বোধ হয় বেশি দিন স্থায়ী হয়না। তাইতো স্বর্নার স্বামীর বদলীর আদেশ হলো ঢাকায়। ঢাকাতে যেতে স্বপন দেবনাথের মন সায় না দিলেও জীবন ও জীবিকার তাগিদে যেতে হলো। সবকিছু ভালই চলছিল। মাসে দু’একবার ছুটি নিয়ে চট্টগ্রামে ঘুরে যেতেন কিন্তু করোনা এসে সব লন্ড ভন্ড করে দিলো। লকডাইন শুরু হলে, অফিস থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারী হলো। অফিসের ভিতরেই সমস্ত কর্মীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। ছুটি-ছাটা নেই, মন খারাপ করে স্বপন ও তার সহকর্মীরা পড়ে রইলো দিনের পর দিন অফিস নামের বন্দিখানায়। আর তাদের বুকের ভিতর কষ্ট নামের কারাগারে দু:খ জমে জমে পাহাড় হচ্ছে।
স্বর্না দেবনাথের শ্বশুর নেই তার বিয়ের আগেই তিনি মারা গিয়েছেন। একমাত্র দেবরটি চাকরিসূত্রে কুমিল্লায় থাকে এখনও অবিবাহিত। বৃদ্ধা শাশুড়ির পক্ষে ছুটাছুটি করা অসম্ভব তাই দেবরের জন্য পাত্রী দেখতে স্বর্নাকেই ছুটতে হয়। ননদিনীর বিয়ে হয়ে গেছে থাকে বাকলিয়া। তিনি স্কুলের শিক্ষিকা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাপের বাড়িতে তেমন আসেনা। তাছাড়া ওর বর বেশি বেশি বাপের বাড়ি আসাটা পছন্দ করেনা বলে জুঁই তেমন আসেনা যদিও মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে মাকে দেখতে যেতে। নতুন এক কৌশল বের করেছে জুঁই। স্কুল থেকে আগে বের হয়ে স্বর্নার অফিসে গিয়ে ওর সাথে বাপের বাসায় চলে আসে। মা আর ভাইপো হৃদয়কে দেখে আবার তড়িঘড়ি চলে যায়। যাতে কেউ বুঝতে না পারে সে স্কুল থেকে অন্য কোথাও গিয়েছিল।
ননদিনী জুঁই ফুলের মতই শুভ্র সুন্দর। পারিবারিক ঝামেলায় বা সমস্যায় পড়লে জুঁই সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করে তার ভাবীকে। এ ব্যাপারটা স্বর্নার বেশ ভালো লাগে। তাই জুঁইয়ের সাথে তার সম্পর্ক বান্ধবীর মত।
স্বর্নার ছেলে হৃদয় । বয়স প্রায় চার বছরের কাছাকাছি, কথা বলে কম। ঈষারায় সবকিছু বুঝিয়ে দেয়। সকালে সে জাগার আগেই স্বর্না অফিসের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। কোন কোন দিন জেগে গেলে ছেলে মাকে বাসা থেকে বের হতে দিতে চায়না, কান্নাকাটি করে, জড়িয়ে ধরে রাখে। খেলনা কিনে নিয়ে আসবো বলে কোনমতে বেড়িয়ে আসে আর যেদিন বেশি জিধ ধরে সেদিন আর অফিসে যাওয়া হয়না। ফোন করে বস কিংবা সিনিয়র ভাইটিকে জানিয়ে দেয় শরীর ভালো নয় তাই আজ অফিসে আসতে পারবেনা।
অফিস থেকে বাসা আবার বাসা থেকে অফিস এই করে করেই দিন চলে যাচ্ছে। অফিসে এসে একটু জিরিয়ে হাতের কাজ শেষ করে শাশুড়িকে ফোন দিয়ে হৃদয়ের খোজখবর করা তার নিত্য দিনের অভ্যাস। একদিন প্রায় বারোটার দিকে ফোন দিয়ে জানতে চায়-হৃদয় ঘুম থেকে উঠে ঠিক মতো নাস্তা করেছে কিনা? শাশুড়ি বলে-ও তো এখনো উঠেনি।
-উঠেনি ! তো আপনারা দুজন কি করছেন। দুপুর হয়ে যাচ্ছে এখনো যদি না উঠান কখন নাস্তা খাবে ?
-উঠে যাবে।
শাশুড়ির ঠেলামারা কথায় প্রচন্ড রাগ হলো স্বর্নার নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলোনা। সে বলল- থাক আপনাদেও আর কষ্ট কওে ওকে উঠাতে হবেনা। আমি এসে সকাল, বিকাল আর রাতের খাবার এক সাথে খাওয়াবো। বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
ছেলে তার এখনো না খেয়ে আছে, হয়তো দুপুরেও খাওয়া হবেনা আর যে চাপা স্বভাবের ছেলে না খেয়ে থাকলেও দাদিও কাছ থেকে চেয়ে খাবার খাবেনা। চোখ ফেটে অশ্রু বেড়িয়ে এলো স্বর্নার। সে সহকর্মীর কাছ থেকে অশ্রু গোপন করতেই রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। এক বুক কষ্ট যেন বুকের ভিতর কোথথেকে এসে ভীড় করতে লাগলো।
পরে সহকর্মী যখন চানাতে চাইলো কি সমস্যা। তখন স্বর্না সব বৃত্তান্ত খুলে বললো।
তার দুই শাশুড়ির রহস্যও বেড়িয়ে এলো। নিজের বাচ্চার, শাশুড়ীর জ্বালাতো আছেই সাথে জুটেছে আবার খালা শাশুড়ি। শাশুড়ির খালাতো বোন কক্সবাজারের মেয়ে থাকতো চট্টগ্রাম শহরে। তার তিনকুলে কেউ নেই তাই এখন ঠাঁই হয়েছে স্বর্নাদের বাসায়।
দুই বৃদ্ধা মিলে সারা দিনভর কি যে করে বুঝে উঠতে পারেনা স্বর্না। সবকাজতো সেই সাত সকালেই শেষ কওে আসে সে নিজে । তারপর নাস্তা খাওয়া, দুপুওে স্নান করা, পূজা করা, খাওয়া এগুলো করতে করতেই নাকি তাদের বেলা শেষ হয়ে যায়, দিন শেষ হয়ে যায়। যখনই দুপুওে ফোন করে শাশুড়িকে খেয়েছেন কিনা জিজ্ঞেস করে, সবসময় উত্তর আসে- না এখনো খাইনি, কোন দিন বলে- এখনো স্নান করিনি আবার কোনদিন বলে পূজা শেষ হয়নি।
আসলে স্বর্নার শাশুড়ি সূচিবাইগ্রস্থ মানুষ। রাস্তার সাথে বাসা একটু পর পরই বাসায়, আসবাবপত্রে ধূল বালি পড়ে আর তাই একটু পর পর ঝারপোছ করা তার স্বভাব। আবার সময় মত ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা সিরিয়াল দেখা নিয়মে দাড়িয়েছে। এতে করে সময় অপচয় হয় প্রচুর তাই আর সময় মত কিছুই হয়ে উঠেনা দুই বৃদ্ধা নারীর।
মাঝে মাঝে আবার নিজেরাই এটা সেটা রান্না করেন যা তাদের খাওয়া বারণ সেটা করতে গিয়েও দেরি হয়ে যায় প্রত্যাহিক কাজে।
এইতো গত মাসের কথা। পেট খারাপ বলে স্বর্না শুধু নিরামিস করেছেন ওনাদের জন্য তাই দিয়েই ছেলে ও নিজেও খেয়েছেন কিন্তু অফিস থেকে ফিরে দেখেন মাছের মুড়িঘন্ট টেবিলে সাজিয়ে রাখা। টেলিভিশন নস্ট হয়ে যাওয়ায় ছবি আসেনা মনিটরে কিন্তু শব্দ শোনা যায়। সেই শব্দ শুনেই তার শাশুড়ি সিরিয়ালের মজা নিচ্ছেন আর তার অগোচরে ভাল মন্দ রেধে খেয়েই চলেছেন।
ঔষধ ঠিক মত খাচ্ছেনা তাই পেটের সমস্যাও সমাধান হচ্ছেনা । রাতে এই নিয়ে কথাকাটাকাটি হলো বউ শাশুড়ির মধ্যে। খালা শাশুড়ি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখে, সে নিজেকে ঝামেলায় জড়াতে চায়না। এমনিতেই পরের ঘাড়ের বোঝা হয়ে আছেন। স্বর্নার শাশুড়ি জানিয়ে দিলো-তার যেমন ইচ্ছে তেমনি চলবে, কারো ধার নিতে ধারতে যাবেননা।
স্বর্না বলে দিলো- আপনার যেমন ইচ্ছে চলেন কিন্তু আপনার গুণধর পুত্ররা যেন আমাকে দোষারোপ না করে যে আমার জন্য আপনার অসুখ ভালো হচ্ছেনা।
দূরে থাকার কারণে দুই পুত্রই মায়ের একটু অসুখ কি পেট ব্যাথা করলে শুনতে পাওয়া মাত্রই স্বর্নাকে চরম বিরক্ত করে ছাড়ে। ফোন করে বলবে- এই অক্ষনি মায়ের জন্য ডাক্তার আনো, বাজার থেকে ডাব নিয়ে আসো, ঔষুধ খাওয়াইছো, তরকারিতে বেশি তেল-ঝাল দিবেনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে তার বর ও দেবর ফোন করে যখন বলে তুমি মায়ের ঠিকমত যত্ম নিচ্ছনা বলেই পেটের ব্যামো সারছেনা। তখন স্বর্না রাগে দু:খে চুপ করে থাকে। শুধু একটা কথাই বলে-আমাকে দিয়ে যখন সেবা হচ্ছেনা তখন তোমরা দ’ুজনে এসে যা করার করো।
ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে জানালায় পাশে দাড়িয়ে পর্দাটা সরিয়ে রাতের আকাশের দিকে আনমনা তাকিয়ে থাকে স্বর্না। চারতলা বাসা থেকে রাতের তারাভরা আকাশ দেখা যায়, আজ তেমন জোছনা নেই। প্রচুর বাতাস আসছে হু হু করে। গাড়ি ও মানুষের ভীর কমে আসছে রাত্রির গভীরতার সাথে পাল্লা গিয়ে। সবই চলছে জগতে নিয়ম মেনে কিংবা নিয়ম ভঙ্গ করে কেবল তার বুকের ভিতরের কষ্ট কেউ দেখেনা, কেউ বুঝেনা।
নি:স্বার্থভাবে এই সংসারের জন্য এত খেটে কিনা শেষমেষ বদনামের ভাগীদার হওয়া। হায় ঈস্বর এই ছিল আমার কপালে। কষ্টের চোরা স্রোত বইতে থাকে তার বুকের যমুনায় আর চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু বিন্দু।
স্বর্নার বাবার বাড়িও কক্সবাজারে। গতরাতেই খবরটা পাওয়ার পর স্বর্না কোন কাজে মন বসাতে পারছেনা। তার বাবা- মাসহ পরিবারের সবারই করোটা পজেটিভ। সবাই হাসপাতালে ভর্তি। স্বর্না তাদের দেখতে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার স্বামী বলেদিয়েছে-করোনারম মধ্যে আমার ছেলেকে নিয়ে তোমার ওখানে যাওয়া চলবেনা, গেলে তোমরাও আক্রান্ত হতে পারো। তাছাড়া তুমি গিয়েতো কোন সাহায্য করতে পারবেনা তাই বাসায় থেকেই খোঁজখবর রাখো।
অফিস থেকে ছুটি নিয়ে রেখেছিলো কক্সবাজার যাবে বলে । ছুটি কোন কাজেই আসলোনা । যাওয়া হলোনা বাবা-মার কাছে। তাদের দু:সময়ে পাশে থাকা হলোনা। দাদা ও বৌদি, ছোট ছোট ভাইপো কউকেই কাছ থেকে দেখা হলোনা, ছোয়া হলোনা, আদর করা হলোনা। এই দু:খে নিজেকে খুব ছোট মনে হয় তার, একা মনে হয়, অপরাধী মনে হয়।
বুকের কষ্ট বুকে চেপে রেখে সে ফোনেই যোগাযোগ রেখে চলেছে কক্সবাজারে। প্রায় পনেরো ষোল দিন পর সুখবর পাওয়া গেলো। সবাই সুস্থ্য হয়েছে, বাড়ি ফিড়ে যাচ্ছে। বড় একটা পাথরের মত বোঝা যেন স্বর্নার বুক থেকে নেমে গেলো। কোন অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর খবর শুনতে হয়নি।
সে ভেবে পায়না সংসার মানেই কি নিয়মের বেড়া জাল, সংসার মানেই কি কষ্টের কারাগার। সব সংসারেই কি প্রতিদিন ঘটে চলেছে এমন মন ভাঙ্গার মত, হৃদয় ভাঙ্গার মত ঘটনা।
আসলে কষ্ট থেকে মানুষের মুক্তি নেই। বড় কষ্টতো আছেই। ছোট ছোট কষ্ট প্রতিদিন, প্রতিবার ভিন্ন ভিন্ন রূপে হানা দিচ্ছে মানুষের জীবনে আর তছনছ করে দিচ্ছে স্বর্নার মত হাজারো মানুষের সুখ ও বুক।
স্বর্না নিজেকে শান্তনা দেয়-কষ্ট নামের কারাগারে সবাই বন্দি, কারো বেশি কষ্ট কারো কম কষ্ট এই যা পার্থক্য। এইসব কষ্টকে পাশকাটিয়ে কিংবা এড়িয়ে যাবার সাধ্য মানুষের নেই।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
একজন নারী অফিস, চাকরি, সমাজ, সংসার সামলিয়েও যে কষ্ট বুকে চেপে থাকেন সারাজীবন ভর তাই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে।
২৪ আগষ্ট - ২০২০
গল্প/কবিতা:
৯৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪