পথের সাথী

বন্ধুত্ব নাকি ছলনা (নভেম্বর ২০২৩)

দীপঙ্কর বেরা
  • ৫১
স্কুল থেকে ফেরার পথে বন্ধ চায়ের দেকানের বাঁশের বেঞ্চটাতে ষষ্ঠ শ্রেণীর তনুজা অনেকক্ষণ বসে আছে।
সব বান্ধবীরাই প্রায় চলে গেছে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছে। নিজের লজ্জা চেপে রেখে তনুজা সবাইকে একটা কথাই বলেছে, "তোরা যা, আমি পরে আসছি।"
শীতের গ্রাম্য রাস্তা। প্রায় সন্ধ্যে হয়ে আসছে তবুও রাস্তাটা ফাঁকা হচ্ছে না। মায়ের চিন্তার কথা ভেবে তনুজাও উদ্বিগ্ন! কিন্তু এতটা পথ যাবে কি করে?
দশম শ্রেণীর ছাত্র অলোক, তনুজার সামনে সাইকেলটা নিয়ে দাঁড়ালো।
- কি রে? বসে আছিস। বাড়ি যাবি না?
- এই যাব। তুই এগো, আমি পরে যাচ্ছি।
অলোক সাইকেল থেকে নেমে তনুজার পাশে গিয়ে বসল। বলল - আমরা একসঙ্গে ফিরব, তোর অসুবিধা নেই তো?
না - - আসলে - - মানে - তনুজার এই রকম টান দেওয়া কথায় অলোক রসিকতার ছলে বলল - কি কেউ আসবে মনে হচ্ছে? নতুন প্রেম?- বলেই ঠেলা দিল।
বেঞ্চ থেকে একপ্রকার প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে তনুজা নিজের কামিজ ধরে পেছনে টানতে লাগল।
সাদা কামিজে লাল রক্তের দাগ চোখ এড়াল না অলোকের। মনে পড়ে গেল, বছর খানিক আগে ভর দুপুরে খাওয়ার সময় ওর দিদির এরকম হতেই ওর মা দিদিকে বোঝাচ্ছিল মেয়েদের এরকম স্বাভাবিক জীবনের কথা। আর এখন তাই ওর দিদির মত তনুজা লজ্জায় আড়ষ্ঠ হয়ে আছে।
মায়ের কথাগুলো মনে করে অলোক মনে মনে বলল - এই ব্যাপার! কি করা যায়?
লোকজন এখনও রাস্তায়। আড়চোখে ওদের দুজনকে দেখছে। অলোক এদিক ওদিক খুঁজে একটা বিস্কুটের ছেঁড়া কার্টুন দেখতে পায়। প্যাকেটটা সাইকেলের কেরিয়ারে রেখে তনুজাকে ডাকল - আয় এখানে বস। কোন চিন্তা নেই। আমি আছি।
এত দেরী করে ঘরে ফিরতেই তনুজার মা ঝাঁপিয়ে পড়ল - কি রে কখন স্কুল ছুটি হয়ে গেছে আর এই ছোঁড়ার সঙ্গে কি করছিলি শুনি?
আরও অনেক কথা শুনে অলোক তখনকার মত পড়িমরি করে সাইকেল ফেলে দিয়ে ছুটে পালায়। রাতে তনুজার কাছে সব শুনে তনুজার মা বলে - লজ্জা, ভয়, ভুল ধারণা, মেয়েদের নিয়ে বেশি ভাবনা এবং ছেলেদের দোষ দেওয়া আমাদের কত কি বদলে দেয়। কালকে অলোককে একবার ডেকে আনবি। তোদের দুজনের জন্য একটু পায়েস করব।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Muhsin Ahmed অল্প কথায় দারুণ একটা গল্প। মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
বিষণ্ন সুমন গল্পে মেয়েদের গোপন ব্যপারটা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লাগলো।
ফয়জুল মহী খুব সুন্দর অনুভব চমৎকার লিখেছেন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

স্কুল থেকে ফেরার পথে বন্ধ চায়ের দেকানের বাঁশের বেঞ্চটাতে ষষ্ঠ শ্রেণীর তনুজা অনেকক্ষণ বসে আছে।

২৬ মে - ২০২০ গল্প/কবিতা: ২৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪