নিয়তির খেলা

একাকীত্ব (জুন ২০২১)

Dipok Kumar Bhadra
  • 0
  • ৪২
বিশাল বাড়ীতে এখন একাকীত্ব জীবনযাপন করছেন খগেন কাকাবাবু।বাড়ীতে বড় বড় গাছ কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে অতীতের স্বাক্ষ হয়ে।একসময় খগেন বাবুর খুব দাপট ছিল।এলাকায় তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তির কোন কমতি ছিল না।জমিদার বংশের জন্ম তাঁর। গ্রামের প্রায় সবাই তাঁকে খগেন কাকাবাবু বলেই সম্ভোধন করেন।
এক সময় হিন্দুরা একচ্ছত্র আধিপত্ত বিস্তার করেছিল।নিরীহ লোকদের অহেতুক হেনেস্থা করত তারা।খগেন বাবুও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।
খগেনবাবুর পিতা একজন জমিদার ছিলেন। তাঁরই একমাত্র আদরের সন্তান খগেন বাবু।এখন জমিদারী না থাকলেও সারা জীবন আত্ম অহংকারের বেড়াজাল ভেদ করতে পারেন নি তিনি।কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস তাঁকে আজ নিংসঙ্গ করে রেখেছে।
এক সময় খগেনবাবু পিতার জমিদারী দেখাশুনা করতেন।তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে।লেখাপড়ায় ছেলে খুব ভাল ছিল না। কোন রকমে বি এ পাশ করেছে। তার ইচ্ছা বাবার মত বেকার জমিদারি জীবনযাপন করবেন না।তাই একটা চাকুরী নিয়েছেন শহরে। বড় লোকের ছেলে হওয়ায় একজন বড়লোকের মেয়েকেই বিয়ে করেছেন। ভালই চলছে তাঁদের দাম্পত্য জীবন। চাকুরী ক্ষেত্র একটি বড় শহরে। ইতোমধ্যে তাদের একটি সন্তানও হয়েছে।চাকুরী এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি সর্বক্ষণ।গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও কাজেন ঝামেলায় যাওয়া হইয়ে উঠে না।খগেনবাবুর মেয়ে একজন ডাক্তার।তিনি বর্তমানে কানাডা থাকেন।একজন ডাক্তার ছেলের সাথেই তাঁর বিয়ে হয়েছে।
খগেনবাবুর স্ত্রী হঠাৎ মরা যাবার পর এখন বাড়ীতে তিনি একাকীত্ব জীবনযাপন করছেন। এখন আর জমিদারি নাই।অসহায় জীবনযাপন করছেন তিনি।
বাড়ীতে আগে অনেক কাজের লোক থাকত। এখন আর নাই। খগেনবাবু অভাবে পড়লেই জমি বিক্রি করে জমিদারী ভাবে চলতেন। এখন জমাজমিও বেশী নাই।অভাব যেন তাঁকে তিলে তিলে গ্রাস করছে।
ছেলে মেয়ে শুধু খোঁজ খবর নেয় এই টুকুই।
যখন খগেনবাবুর টাকা পয়সা ছিল তখন অনেক বন্ধুই আসত তাঁর কাছে । এখন কেওই আর আসে না বলা চলে।
জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও যতদিন খগেনবাবুর অর্থ ছিল তখন লোকেরও অভাব ছিল না বা অসহায়ও বোধ করতেন না তিনি।
স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পাশের গ্রামের এক সাধারন পরিবারের মেয়ের সংগে বিয়ে ধরেছিল জনৈক এক মাতব্বর।কিন্তু ছেলে মেয়েদের বিরোধিতার কারনে তা আর হয়ে উঠে নাই।
এখন তো বয়স হয়েছে তার উপর আবার অর্থের অভাব চলছে।
একাকীত্ব জীবন যে কত কষ্টকর তা খগেনবাবু হারে হারে উপলব্ধি করতে পারছে এখন ।দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা যেমন মানুষ বুঝে না,খগেনবাবুরও ঠিক তেমনি হয়েছে।
বাস্তবতা অনেক কঠিন একটা জিনিস।
কেউ কেউ মুখোমুখি হয় স্বার্থপর এই বাস্তবতার।
মানুষের জীবনে বাস্তবতা থেকেই শিক্ষা নিতে হয় এবং কিছু বাস্তবতাই জীবনে চলার পথ দেখিয়ে দেয়। বাস্তবতাই পারে মানুষের ভিতরের রুপকে প্রকাশ করতে।
আবার বাস্তবতা কারো কারো জীবনে বিধংসী হয়ে দাঁড়ায়।
ঠিক তেমনি কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি আজ খগেনবাবু।
জীবনের রং বড় বিচিত্র, কখনো লাল কখনো নীল। কখনো মুক্ত পাখির মতো। কখনো আবার চুপসে যাওয়া ফুলের মতো। হারিয়ে যায় কত চেনা মুখ। থেকে যায় শুধু অনাবিল সুখ অথবা দুখ।
মানুষ সব হারিয়ে যখন শেষ আশ্রয়স্থল পরিবারের কাছে যায়। তখন সেখানেও পদে পদে অবহেলিত হয়।
কোথায় যাবে এখন খগেনবাবু ? তাঁর যে পরিবারও নেই।
প্রতিনিয়ত ভাবনার করিডোরে অতীতের স্মৃতিগুলো ভেসে উঠে।
একদিন বিকালে একাকী বাগানে বসে খগেনবাবু অতীতের স্মৃতিচারণ করছেন।
এমন সময় এক গেরুয়া বসন পড়া একজন আগন্তক তাঁর কাছে আসলেন।
“কি চিন্তা করছেন ,খগেনবাবু?“ বললেন আগন্তক।
হঠাৎ তাঁর নাম ধরে ডাকতে দেখে তো অবাক হয়ে গেলেন খগেন বাবু।
“হাঁ, না, মানে, আমাকে বলছেন? বললেন খগেন বাবু।
“হাঁ, আপনাকেই বলছি। ক‘দিনের জন্য এ পৃখিবীতে এসে এতো কি চিন্তা করছেন? এ জগতে কে কার? এসেছেন একা, চলে যেতে হবেও একা।এটাই ধ্রব সত্য । এই বাস্তবতা সবাইকে মেনে নিতে হবে।“ বললেন আগন্তক।
“আপনি কে? আপনি কি করে বুঝলেন আমার মনের কথা? এ পৃথিবীতে একাকী বেঁচে থেকে লাভ কি? আর কিভাবেই বা বেঁচে থাকা যায়?“বললেন খগেন বাবু।
“ আপনি নিজের পরিবর্তন শুধু আপনি নিজেই করতে পারেন অন্য কাউকে লাগবে না। তবে হয়ত এমন কিছু পরিস্থিতি আসে যেগুলো মানুষকে পরিবর্তিত হতে বাধ্য করে। পরিবর্তন মানুষের জীবনে একদিনে বা এমনি এমনি আসে না।চাল চলনে ভুলের কারনেও অনেক সময় আসে।
যা আপনার এসেছে।“ বললেন আগন্তক।
“তাহলে কি আমার এই একাকীত্ব জীবনের জন্য আমিই দায়ী?“ বললেন খগেনবাবু।
“ আপনার চালচলনের এবং ভুলের কারণেই আজ আপনার এই পরিনতি। এটাই আপনার প্রাপ্য ছিল ।এটা একধরনের শাস্তি বলতে পারেন।“বললেন আগন্তক।
এই কথা বলে আগন্তক চলে গেলেন।
খগেন বাবু বাগান থেকে উঠে এসে সন্ধ্যার কর্ম শেষে রাতের খাওয়া খেয়ে বিছানায় শুতে গেলেন।
বিছানায় শুয়ে সেই অতীতের কথা মনে পড়ে যায় খগেন বাবুর।ছোট বেলায় ছেলে মেয়েদের সাথে কত হই হুল্লোরই না করতেন।তাছাড়া অবৈধভাবে টাকা খরচ করতেন ইত্যাদি ইত্যাদি....।
যুবক বয়সে তিনি খুব সুন্দর ছিলেন। ছাত্র জীবনে তিনি লেখাপড়া কমই করতেন।মেয়েরা অনেকেই তাঁর পিছু নিতো।কিন্তু খগেনবাবু ওগুলো পাত্তা দিতেন না।
কিন্তু ঝর্ণা নামের একজন গরীবের মেয়ে খগেন বাবুকে খুব ভালবাসত স্কুল জীবন থেকে।মুখে বলার সাহস ছিল না।মেয়েটি একাকীই বেশী থাকত। কারো সাথে তেমন মেলামেশা করত না। সব সময় খগেনবাবুর কথাই ভাবতো।কিন্তু খগেনবাবু ঝর্ণাকে কোনই পাত্তাই দিতেন না।
ঝর্ণা সাধারণ পরিবারের একজন মেয়ে। তাই তার অভিভাবকরাও খগেন বাবুর সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে বলতে কোনদিন সাহস পায়নি।
আজ অবধি ঝর্ণা বিয়েও করে নাই।তার ইচ্ছা ছিল বিয়ে করলে খগেন বাবুকেই বিয়ে করবে। কিন্তু সামাজিক ভাবেও তা হয়ে উঠে নাই।
ঝর্ণার বাবা মা এখন আর বেঁচে নেই। সে এখন তার একমাত্র ভাই নরেশের কাছেই থাকে। দেখতে তেমন খারাপ ছিল না ঝর্ণা । অনেক বিয়ের প্রস্তাব আসলেও সে রাজী হয় নাই। এখন ঝর্ণাও নি:সংঙ্গ জীবনযাপন করছে।
একাকীত্বের জ্বালায় মাঝে মাঝে অস্থির হয়ে যায় ঝর্ণা। কিন্তু কি করবে,সারা জীবনই তো একলাই কাটলো। এখনও সে খগেন বাবুকে ভালবাসে। কিন্তু এখন তো আর বিয়ের বয়স নেই। তবুও ঝর্ণা ভুলতে পারে না খগেন বাবুকে।

খগেন বাবুর স্ত্রী মারা যাবার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু একসময় খগেন বাবুর ছেলে মেয়ে অমতের কারণে বিয়ের নামটি মুছে দিতে হয়েছিল খগেন বাবুকে।
তবে এখন ছেলে মেয়েরা অনুভব করছে ,খগেনবাবু একাকী জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটাতে হলে তার একজন সংঙ্গী প্রয়োজন ।
ছেলে মেয়েও তাদের কাছে বাবাকে নিয়ে যেতে পারছে না,এমনকি বাবার কাছে এসে দেখাশুনাও করতে পারছে না।
খগেন বাবুর ছেলে মেয়ে এতোদিনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, বাড়ীতে তাঁদের বাবার দেখাশুনা করার জন্য একজন লোক দরকার।কিন্ত এতোদিনে অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে।
এ সময় কে দেখবে বা কেনইবা দেখবে তাঁদের বাবাকে?

কিছুদিন পর খগেনবাবুর ছেলে বাড়ী এসে বাবাকে বাসায় নিয়ে যেতে চাইলে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন যে কোত্থাও যাবেন না তিনি।
তিনি তাঁর পিতৃ নিবাসেই থাকবেন। খগেনবাবুর ছেলে গ্রামের লোকজনের সাথে পরামর্শ করতে লাগলেন এ বিষয়টি সুরাহা করার জন্যে।
খগেনবাবুর বন্ধুসুলভ একজন মাতব্বর বললেন, “পাশের গ্রামের ঝর্ণা নামের একজন মেয়ে আছে। আজ অবধি সে বিয়ে করেনি। কেন বিয়ে করেনি তা আমরা জানিনা। মেয়েটি খগেন বাবুর সম বয়সীই হবে।মেয়েটি একাকীই জীবন যাপন করছে তোমার বাবার মত হলে প্রস্তাব দিয়ে দেখা যেতে পারে।“
খগেনবাবুর ছেলে বললেন,“ তাহলে আপনিই একটু বলে দেখেন না বাবাকে ? রাজি হয় কি না।“
“ আচ্ছা এ বিষয়টি নিয়ে ঝর্ণার ভাই-এর সংঙ্গে আলাপ করে দেখতে হবে।“মাতব্বর বললেন।
খগেনবাবুর ছেলে দুইদিন বাড়ীতে থেকে এ ব্যাপারে মাতব্বরের উপর দযিত্ব দিয়ে চাকুরী ক্ষেত্রে চলে গেলেন।
কয়েকদিন পর মাতব্বর খগেন বাবুর মতামত নিয়ে ঝর্ণার ভাই এর সংঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন।
“ ঝর্ণা যে কি করবে তা তো আমি বলতে পারব না।ঝর্ণার সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত।“ বলল ঝর্ণার ভাই।
ঝর্ণাকে বিষয়টি যখন জানানো হলো,তখন ঝর্ণা শুনে তো অবাক।
“পরিনতি মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে ? এখন কি আর বিয়ের বয়স আছে? এটা কি সম্ভব?“ ভাবছে ঝর্ণা।
তবে দেরী হলেও এখনো একাকী জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটানোর জন্য একটা বন্ধন দরকার বলেও ঝর্ণা মনে করে।। তাও আবার তার সেই অতীতের মনের মানুষটির সাথে। এ যে নিয়তির খেলা।ঝর্ণা এগুলো মুখে না বললেও কথাটি অন্তরে খোঁচা দিচ্ছে অবিরত।
একসময় যে ঝর্ণাকে প্রত্যাখান করেছিল, আজ আবার সেই ঝর্ণাকে জীবন সাথী হিসাবে গ্রহন করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে? বিষয়টি অবাক লাগছে ঝর্ণার কাছে।মনে মনে রাগও হচ্ছে ঝর্ণার।
রাগে ও বিষাদে ঝর্ণার শরীরে এক ঝড় বইতে লাগল। জীবনে বিয়েই আর করবে না সাফ জানিয়ে দেয় ঝর্ণা ভায়ের কাছে।
মনে মনে একাকীত্বের অবসান চাইলেও রাগে ঝর্ণা কথাটি বলে।
ঝর্ণার ভাই মাতব্বরকে না সূচক বাণী শুনিয়ে বিদায় করেন ।
মাতব্বর ,খগেন বাবুকে কথাটা জানিয়ে দেন।
বিষয়টি শুনে খগেনবাবু রাগে গর গর করতে থাকে।
“যে একসময় আমার পিছু নিত।আমাকে ছাড়া বুঝত না। সেই কি-না আজ ...........।“ ভাবছে খগেন বাবু।
একাকীত্ব জীবনের অবসানের জন্যই খগেন বাবু এই বিয়েতে রাজি হয়েছিল। খগেনবাবু তো ঝর্ণার কোনদিনই প্রেমে পড়ে নাই। তাই ঝর্ণার এই অভিমানের কথা বুঝবে কেমনে?
এদিকে ঝর্ণারও ঘুম হারাম হয়েছে এই বিয়ের প্রস্তাব আসার পর থেকে।তার মনে সর্বদা যেন সেই অতীতের প্রেমের বাঁসি বাজছে।স্বপ্নেও ভাবে নাই যে সে আবার সেই পুরোনো প্রেমের টানে আটকে পড়তে পারে যার জন্যে একাকী জীবনের অবসান হবে।
“ আবার একটু ভেবে দেখ্ না,ঝর্ণা ? আমার সংসারে থাকলে আমিতো তোকে খেতে দেবই। এটাই তো বড় কথা না। মানুষ কিন্তু সমাজবদ্ধ জীব। মানুষ কিন্তু একাকী জীবন যাপন করতে পারে না। তাই মানুষের সংঙ্গীর প্রয়োজন। এতোদিন কেন যে বিয়েতে রাজি হচ্ছিলি না তা জানি না।তবে ভবিষ্যতে তোর একজন সংঙ্গী প্রয়োজন।প্রস্তাবটা যখন এসেছে তখন আর একবার ভেবে দেখ্ বোন।“ বললেন ঝর্ণার ভাই।
ঝর্ণা সারা রাত বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করল। পরদিন সকালে এ বিয়েতে রাজির ব্যাপারে নিজ অভিমত ব্যক্ত করল ঝর্ণা।
অবশেষে তাদের মন্দিরে গিয়ে বিয়ে হল। খগেনবাবু এবং ঝর্ণার একাকীত্ব জীবনের অবসান হলো।
এখন তারা সুখে সংসার করতে লাগলো।
অতীতের সেই একাকীত্ব জীবনের কষ্টের কথা নিয়ে মাঝে মাঝে দু‘জনে যখন আলাপ আলোচনা করে তখন কেওই আর অস্রু ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। তাদের কাছে একাকীত্ব জীবন ছিল এক জ্বালাময়ী কষ্টের জীবন।
এভাবে এতোদিন পর যে দুজনের মিলন হয়ে একাকীত্বের জীবনের অবসান হবে তা ভাবলে অবাক লাগে। এ যে নিয়তির খেলা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মাইদুল সরকার যাক খগেন বাবু একাকীত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। গল্পটা পড়ে ভাললাগলো।
hrchowdhury খুব সুন্দর উপস্থাপনা
riktas মানুষ কিন্তু একাকী জীবন যাপন করতে পারে না। তাই মানুষের সংঙ্গীর প্রয়োজন।
Koushik Kumar Guha অসাধারন- ভোট দিলাম।
ফয়জুল মহী অনবদ্য শৈল্পিক সৃষ্টি ,

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

মানুষ একাকী জীবনযাপন করতে পারে না। তাই তার সংঙ্গীর প্রয়োজন। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। গল্পটিতে খগেনবাবু ও ঝর্ণার শেষ বেলা হলেও মিলনের মধ্যদিয়ে একাকীত্ব জীবনের অবসান হয়েছে।এটা নিয়তির খেলা।গল্পটি একাকীত্ব সংখ্যার সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ ।

২০ মে - ২০২০ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪