নিস্তেজ দেহ, বন্ধ চোখ,
জমে যাওয়া রক্ত, পাণ্ডুর মুখ...
হয়ত এভাবেই অযত্নে পড়েছিলো তার দেহখানি,
শেষবারের মতো তার পাশে বসে কেউ কাঁদে নি…
তারা বললো- সে আর আসবে না…
দায়িত্ব তাকে এমন যায়গায় নিয়েছে, সে আর ফিরতে পারবে না।
মা কিভাবে মেনে নিবে এমন কথা?
যাওয়ার আগে ছেলে বলেছিলো- আমি ফিরে আসবো।
করোনা একবার চলে যাক,
মহামারী একবার শেষ হোক,
তারপর হাসিমুখে তোমার কোলে মাথা রাখবো।
তা আর হলো কই?
ছেলে আজ নিরব- যেন মাকে কথা ভুলে গেছে সব।
বারবার জ্ঞান হারানো আর অবিরাম নোনতা ঝর্ণাধারা
মা আজ অসহায়, দিশাহারা।
যে অশ্রু ছেলে মুছে দিতো পরম যত্নে, গভীর মায়ায়
তাই আজ গড়ে পড়ছে কত অবহেলায়!
কবিতাটিতে ছেলের বিদায়ে মায়ের কষ্টেও কথা তুলে ধরতে চেয়েছি।