বাংলিশ বাংলা

বাংলা - আমার চেতনা (ফেব্রুয়ারী ২০২২)

জিলান
  • 0
  • ৬২
সকাল হতে না হতেই জীবিকার তাগিদে ছোটাছুটি। অনেকে ছোটে রাতের বেলায়। কর্মস্থলে আজকাল মানুষ বেশি সময় থাকে ভবিষ্যৎ চিন্তা করে।আমি কিছুটা ব্যাতিক্রম, বছরের অর্ধেক সময় ঘুরেবেড়ানো আর অর্ধেক কিছু না কিছু করে নিতে হয়। আমি অনেক মানুষের পরিবর্তনশীল রূপ দেখেছি। একটি ম্যাচ বাসায় থাকি। থাকি বললে ভুল হবে বিশ্রাম নিতে যাই বিনিময়ে মাস শেষে কিছু টাকা দিতেও হয়। সকলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলে আমি হয়তো পারি না।আমার ভালো লাগে রাস্তা ধরে হাটতে কিংবা কোলাহল পূর্ণ জায়গায় বসে পরিবর্তনশীল মানুষ দেখতে।
আমি যখন লেখাপড়া করছি, শুনেছি সবাই ঢাকা আসে স্বপ্ন পূরনের জন্য। বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হলে আমার চারপাশে আমি কাউকে পাইনি। অনার্স শেষের দিকে তখন হঠাৎ দেখি গ্রামে রনি ভাইয়ের দোকানে ইংরেজিতে প্রতিষ্ঠানাদির পরিচয় জ্ঞাপন করেছে (সাইনবোর্ড)। জিগ্যেস করলাম, "বাংলায় না দিয়ে ইংরেজি কেন?যে ইংরেজ আমাদের অত্যাচার করেছে। যারা শাসন এর নাকে জুলুম করেছে তাদের ভাষায় আমাদের পরিচয় কেন হবে।" রনি ভাই এক কথায় বললেন, "দাদা ভাই ঢাকা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি।আমপও শিক্ষত হয়ে এই কথা বলেন। ঢাকা গিয়ে দেখেন সব ইংরেজি তে,মানুষ কথাও বলে ইংরেজিতে" শুনে খুবই খারাপ লাগলো।এখন সেই প্রতিবাদ কোথায় যা ৫২তে ছিলো, ছাত্ররা কই সব চলো আবার আন্দোলন করি। এক দেশ এক ভাষা।আবার মিছিল হোক। কিন্তু কিছুই করার নেই। ইংরেজি ভাষার যে বইগুলো ছিল ছাত্রজীবনে পড়েছি কিন্তু তার ব্যবহার করার জন্য এদেশ নয়।এদেশের ভাষা আছে,এদেশ স্বাধীন তাহলে কেন পরাধীনতার ছোয়া।কোন না কোন ভাবে এদেশ এখন ও কি পরাধীন। হাজারো প্রশ্ন মনে!
অনার্স শেষ এর এক দিনের মাথায় আমি ঢাকা আসলাম। হাতে হাতে মোবাইল ফোন সকলেই ফোন ধরে সবার প্রথমেই "হ্যালো" বলছে। একদিন চা খাচ্ছি গলির মোরে হঠাৎ এক লোক ফোনে "হ্যালো" বলে কথা শুরু করলো।জিজ্ঞেস করলাম ভাই "হ্যালো" না বললে কি কথা শোনা যায় না কিংবা অন্য কোন সমস্যা। আমার কেন "হ্যালো" বলবো ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে আপনাদের কেন চলতে হবে।উত্তর যেন তার পকেটেই ছিলো বলে উঠলো এই মোবাইল ফোন টা বিদেশি, এই ফোনে দেশি ভাষা বলে কি লাভ। তাকে বুঝাতে পারলাম না। সব দোকানে বড় বড় ব্যানার এ ইংরেজি লেখা। বুঝতে পারলাম দেশ স্বাধীন হয়েছে, এদেশ কি ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছিল।
রাজু মামার টং এ একদিন বিকেলে চা খাচ্ছিলাম। দুই ভদ্রলোক আসলো। দাড়িয়ে চা খাচ্ছিলো আর নিজেরা ইংলিশ এ কথা বলছিলো। তারা যাওয়ার পরে রাজু মামাকে বললাম এরা কি কোন বড় অফিসার নাকি। তখন শুনলাম ছেলে দুইটা ইংলিশ মিডিয়াম এ পরে। তারা বিদেশ যাবে। ভাবলাম যাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা, ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নেই তারা বিদেশ যাওয়াই ভালো।দেশে লেখাপড়া করে দেশে কাজ করতে তাদের লজ্জা করে। দেশের উন্নয়ন এ কাজ করতে তাদের লজ্জা করে। বিদেশে গিয়ে দোকানে কাজ করতেও তাদের লজ্জা করবে না।এখানে দোকান এর মালিক হয়ে দোকানদারি করতে তাদের সম্মান এ বাজবে।
এভাবেই হাজারো মানুষ দেখি প্রতিদিন, তাদের মাঝেই যাচ্ছে দিন।সবাই তো আার বাংলাকে ভালোবাসতে যানে না। সত্য তিক্ততা পূর্ণ হলেও মেনে নিতে হবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী বেশ চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ করেছেন।অনুপম লেখায় মুগ্ধতা একরাশ।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

১৩ মার্চ - ২০২০ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪