চোখের জল

অশ্লীল (এপ্রিল ২০২০)

শাহীনূর মুস্তাফিজ
  • ৩০
রফিকের বাবা মারা গেছেন ২ দিন হলো।ঘরে নীরব নিস্তব্ধতা।মা কাজ থেকে ছুটি নিয়েছে ৩ দিনের জন্য।যে বাসায় কাজ করেন তারা বলল,''মরা-বাঁচা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নাই।আমাদের বাসার কাজ করতে হবে।তাড়াতাড়ি না আসলে তুমি বিদায় হয়ে যাবে।''মা অনেক মিনতি করে ৩ দিনের ছুটি নিয়েছে।আত্নীয়স্বজন তেমন কেউ নেই।বস্তির মাঝে থাকে তারা।বস্তির এরা আসল, শ্বান্তনা দিয়ে চলে গেল। বাবার কবর দেওয়া শেষ।রফিক বারান্দায় বসে আছে।তার মা ঘরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।রাস্তার পাশে একটা ফুটপাথে কাপড়ের দোকান দিত রফিকের বাবা শামছু। ভালোই চলছিল।রফিক ক্লাস এইটে পড়ে। রফিকের বাবা অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। কিন্তু একদিন তার ঠেলার সাথে একটা কারের ধাক্কা লাগে।গাড়ির কিছু অংশ ছড়ে যায়।গাড়ি থেকে নেমে এক ভদ্রলোক কষে একটা থাপ্পড় মারলেন।অথচ দোষ উনার ছিল।হয়তো নেশা জাতীয় কিছু খেয়ে উলটাপালটা গাড়ী চালাচ্ছে।আর শামছুর ঠেলার সাথে ধাক্কা লাগে।কিন্তু বেচারা শামছুকে থাপ্পড় খেতে হল। লোকজন ভীড় জমাতে থাকে।শামছু সবাইকে সরে যেতে বলে।কারণ,সামছু জানে লোকটা কে?
লোকটা হচ্ছে শামছুর বড় ছেলে শফিক।আজ অনেক বড়লোক.৩ বছর আগের কথা ।শামছু মিয়া এলাকার সবচে ধনী ব্যাক্তি ছিলেন।শফিক যখন আট বছরের তখন তার ক্যান্সার ধরা পড়ে।ছেলেকে বাঁচাতে সব সম্পত্তি খুইয়ে ফেলেন।শফিক সুস্থ হওয়ার পর তাকে লেখাপড়া করানোর জন্য আমেরিকা পাঠান।এরপর তার কাছে টাকার পরিমাণ কমতে লাগল।কোনোরকমে চলতে লাগল শামছুর পরিবার।শফিক বিদেশ থেকে এল।কিন্তু কিছুই করতে পারেনি।একদম ফকির অবস্থা।উল্টো সেখানে মদ-গাঁজা নেশা করে শরীরে প্রচুর রোগ বাঁধাল।দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।ওদিকে শামছু মিয়ার কাছে এত টাকা নেই চিকিৎসা করানোর জন্য।অগত্যা নিজের একটা কিডনি ছেলেকে দিলেন।শফিক সুস্থ হলো।পরে এলাকার ড্রাগ স্মাগলিং,হিউম্যান ট্র্যাফিকিংইয়ে জড়িয়ে পড়ল।ছেড়ে দিল তার পরিবার।টাকার কাছে বিক্রি হয়ে ভূলে গেল তার পরিবারের কথা।শামছু মিয়ার অবস্থা শোচনীয়।পরে বস্তিতে চলে এলেন।অথচ এতদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে ভূগছেন ।কাউকে বলেননি এ কথা।তার মনে কোনো দুঃখ নেই। কিন্তু এই ছোট্র রফিকের চোখের জল কে মুছবে।অনবরত কাঁদছে বারান্দায় বসে।আমি রফিককে জিজ্ঞেস করলাম,''বাবা বেঁচে থাকলে বাবার কাছে কি চাইতে? সে হাউমাউ করে কেঁদে বলল,''আমি বাবাকেই চাইতাম''।তার কান্না দেখে আমি আর চোখের পানি আটকাতে পারলাম না।হাঁটতে হাঁটতে আল্লাহর কাছে একটাই দোয়া করতে লাগলাম,পৃথিবীর সব বাবা যেন চিরকাল বেঁচে থাকে সন্তানের হৃদয়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Md. Mainuddin গতানুগতিক সমাজের চিত্রই লিখেছেন। তবে, এটাকে আরো আকর্ষণিয় করতে পারলে ভালো হতো। অনেক শুভকামনা। লিখে চলুন সতত। ঘরেই থাকুন। নিরাপদে থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।
ফয়জুল মহী শিল্পসম্মত মনোভাবের প্রকাশ, ভালোই ।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এটি একটি বিরহ এবং কান্নার গল্প।জড়িয়ে আছে আবেগ আর ভালবাসা।

১৬ জানুয়ারী - ২০২০ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪