যে দিন সিরাজ-উদ- দৌলা হয়েছিলেন পরাজিত
বাংগালীর জন জীবনে নেমে এসেছিলো অসহায়ত্ব
দেশ গিয়েছিল বিদেশিদের হাতে
লেখা আছে তা ইতিহাসের পাতাতে ।
শুরু হয়েছিলো ভাগকর শাসন কর নিতি
দারিদ্রতা সঙ্গি হয়েছিলো দিবানিশি ।
দেশীয় কল কারখানা বন্ধ হয়েছিলো বেকার অনেক কারিগর
কতই না কষ্টে তারা দিন করেছিল পার ।
ছিয়াত্তরে মনন্তর হয়েছিল, ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহি
এর মাঝে রয়েছে আরো অনেক কাহিনী ।
অল্প সঙ্খ্যক লোক পেয়েছিল জমিদারি - অনেক জমির মালিক
অসহায়ত্বের সংখ্যা বেড়েছিল অধিক ।
বর্গি এসেছিল খাজনা নিয়েছিল
করেছিল কত নির্মম অত্যাচার
অমন দিন যেন হে আল্লাহ! আসেনা কারো আর ।
বায়ান্নতে হয়েছিল ভাষা অন্দোলন,বাঙ্গালী সুখ পেল কোথা ?
বদেশীরা কেড়ে নিতে চেয়েছিল মায়ের মুখের ভাষা ।
শাসন নামে শোষন করত সেই বিদেশি হায়েনার দল
বংগ বন্ধু বুঝেছিলেন তাদের ছল ।
১৯৭১ -এ তাই ডাক দিলেন স্বাধিনতার
সাড়াও পেলেন বাঙ্গালি জনতার ।
পাক বাহিনি ভেঙ্গে দিয়েছিল বাড়ি ঘর পুড়েছিল দোকান পাট
রাস্তা ব্রিজও ভেঙ্গেছিল সব একাকার
রক্তে ভিজিয়েছিল রাজপথ বুদ্ধিজিবিদের করেছিল হত্যা
কেড়েনিয়েছিল অনেক মা বোনের লজ্জা
দুইশত বছরেরো অধিক আমার দেশ ছিল পরাধিন! যাতা কথা নয়!
ছিল বড় অসহায় ।
আজ আমরা স্বাধিন জাতি ফিরে পেয়েছি সহায়ত্ব
ধরে রাখতি যেন পারি স্বাধিনতার মহত্ব ।
কবিতাটি ইতিহাস নিয়ে লেখা । বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ইংরেজদের হাতে পরাজিত হলে বাঙ্গালী জন জীবনে যে অসাহায়ত্ব দেখা দিয়েছিল তাই এ কবিতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।