করোনা ভাইরাস

ভয় (জুলাই ২০২০)

Omor Faruk
  • ৩৩
সবুজ শ্যামল এই ধরণীর বুকে,,
মানব সভ্যকে অজানা শত্রু গ্রাস করে ।
সেই শত্রুকে দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না ,
তাহার ভয়ে পুরো বিশ্ব আতষ্ক ।
এই তো দুই চার দিন আগে ও যেখানে-
কিশোর –কিশোরীদের উম্মাদ চলাফেরা ছিলো ,,
মদ জুয়ার আসর ছিলো লোক সমাগমে ভর্তি !
হোটেল শপিং মহল ছিলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ ।
বিনোদন মূলক পার্ক গুলো ছিলো অশ্লীলতার আশ্রয় কেন্দ্র ,
চোর বাটপারদের রাষ্ট্রের প্রতি বৃদ্ধ আঙ্গুলি ,,
আজ সবার মনে ভয় ভয় –
কে মরে কে বা কখন আক্রান্ত হয় ।
সেই মৃত্যুর নাম করোনা –
সেই আক্রান্তর নাম করোনা ।
নর-ঘাতক এই ভাইরাস পুরো পৃথিবীকে গ্রাস করে নিচ্ছে ,
মৃত্যুর মিছিল কিছুতেই থামছে না ।
বাঁচার তাগিদে লকডাউন হোম কোয়েন্টাইন স্বাস্থ্যবিধি ,,
করোনা দেখাচ্ছে বৃদ্ধ আঙ্গলি ।
আজ কোথাও মানব চিহ্ন নেই ,,
যেই মানুষ ছিলো প্রকৃতি নিয়মের ঊর্ধে ,
তারাই আজ প্রকৃতির কাছে অসহায় ।
যে যুগল বাঁচানো বলে একে অন্যের হাত ধরেছে ,
তারাই আজ একে অন্যকে ভূলে গেছে ।
যে মাতা কষ্ট করে সন্তানদের লালন পালন করেছে ,,
সেই মাতাকে করোনার ভয়ে রেখেছে জঙ্গলে ।
যে বাবা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে-
সন্তানদের ভরণ পোষণ করেছে ,,
তাহার লাশ বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করে ।
সমাজের যেই মানুষটি সবার উপকার করেছে ,,
তাহার জানাযা লোকের অভাব পড়ে ।
যে আলেম সর্বদা লোক জনকে মৃত্যুর কথা স্মরন করিয়ে দিতো ,
সেই আলেম আজ করোনা মৃত ব্যাক্তির জানাজা পড়াতে চায় না ।
যে ডাক্তারের চেম্বারে রোগীদের লম্বা লাইন ছিলো ,,
সেই ডাক্তার আজ করোনার ভয়ে পালাতক ।
যে হাসপাতাল গুলো রোগীদের কাছে পাওয়ার জন্য -
বিভিন্ন অজুহাত খোঁজ তো ।
সেই হাসপাতাল গুলো করোনার ভয়ে –
রোগীদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে ।
ধর্মীয় উপাসনালয় গুলো ছিলো হ্নদয়ের আকুতি,
সেই গুলো আজ তালা বদ্ধ ।
কুলি, দিন মজুর গুলো আজ অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে ।-

কলকার খানার যে শ্রমিক গুলো দেশের সম্পদ বলে উপাধী ছিলো -
তারা আজ দেশের বোঝা ।
যে দোকানদারের কাছে সময়ের কোন হিসাব ছিলোনা ।
তারা আজ সময়ের বাইরে বেচাকেনা করতে পারতেছে না ।
স্কুল কলেজের যে ছাত্র গুলো ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডায় মেতে থাকতো , তারা আজ করোনার ভয়ে গৃহবন্দী ।
যে পথ শিশুরা হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতো –
তারা আজ নিরুদ্দেশ ।
ভিক্ষুকেরা আজ ভিক্ষা করতে লজ্জা পায় ।
সারা পৃথিবী থম থমে পরিবেশ ,
সুবিধা ভোগীরা বিনা দোষে শ্রমিক ছাঁটাই করতেছে ।
মিডিয়া গুলো করোনা ছাড়া কোনো কথায় প্রচার করতেছে না ।
দেশের প্রশাসন গুলো আজ কোণ ঠাসা হয়ে পড়েছে ।
আজ বিজ্ঞানের উন্নত প্রযুক্তি আধুনিক অস্ত্র শস্ত্র –
অটল ধন সম্পদ কোন কিছু করোনা হাত থেকে বাঁচাতে পারতেছে না ।
সমগ্র বিশ্ব আজ নিরব নিস্তব্দ মৃত্যুপুরী ।
আজ রক্তের সম্পর্কের কেউ মারা গেলে –
প্রতিবন্ধীর মতো শুধু চেয়ে থাকি যেন আমাদের কিছুই করার নেই।
করোনা ভাইরাস আজ আমাদের যেন মনে করিয়ে দিতে চায় ,
এই ভুবেনশ্বর তোমাদের হুকুমে চলবেনা –
করোনার হুকুমে চলবে আজ থেকে এই পৃথিবীতে –
আমরা রাজত্ব করে বেড়াবো ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Omor Faruk ধন্যবাদ
Abu Umar Saifullah ভালো লিখেছেন ।
ফয়জুল মহী ভালো লিখেছেন । বরাবরের মত অসাধারণ ।
Omor Faruk ধন্যবাদ
এই মেঘ এই রোদ্দুর সুন্দর হয়েছে। আমার পাতায় আমন্ত্রণ

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

মহামারী মানব জীবনের একটি বড় সমস্যা । যে সমস্যা অনেক ক্ষমতাধর শক্তিশালী রাষ্ট্রকে কাবু করে, তাদের অর্থনীতিক অবস্থা দূর বল করে ফেলে, করোনা তার ব্যতিক্রম নয় ।পৃথিবীতে করোনার মতো অনেক গুলো মহামারী হয়েছে । পৃথিবীতে করোনা ভাইরাস এসে মৃত্যুর মহড়া মেতে উঠেছে । এসেছে মানব সভ্যতার কিছু বির্বতন সেই সাথে উশৃঙ্খল মানুষ গুলোকে শৃঙ্খলে আনতে বাধ্য করেছে । পৃথিবীতে করোনার ভাইরাসের কারনে অনেক ডাক্তার ,নার্স, গবেষক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মৃত্যু বরণ করে । কবি এই সময়ে গভীর ভাবে লক্ষ্য করেছেন যে,এই দূর সময়ে কিছু দায়িত্বশীল মানুষ এগিয়ে আসলে, ও বাকি মানুষ গুলো তাদের মনুষত্ব হারিয়েছে । মৃত্যুর ভয়ে ডাক্তার রোগীদের সেবা দিচ্ছেনা । সন্তান মাতাকে করোনার ভয়ে জঙ্গলে ফেলে দিচ্ছে । বাবার লাশ ছেলে মেয়ে হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করতেছে না । করোনার ভয়ে কেউ মৃত ব্যাক্তির গোসল দিচ্ছে না, জানাযা পড়াতে চাইতেছে না । করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে আত্মীয় স্বজন কেউ কোন ধরনের যোগাযোগ রাখতেছেনা । করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি জীবিত থেকে ও যেন মৃত লাশ । করোনার কারনে অনেক অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই দূর বল হয়ে যায় যে ,না পারতেছে কারো কাছে কোন কিছু চাইতে ,না পারতেছে নিচুমানের কোন কাজ করতে । যে মানুষ গুলো ,সব সময় কোন না কোন ভাবে অন্যের উপকার করেছে , সেই মানুষ গুলো যখন করোনা রোগে আক্রান্ত হয় ,তখন সেই মানুষ গুলো সমাজ ,পরিবার ,রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে যায় । কলকার খানার যে শ্রমিক গুলো দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রেখেছে ।আজ করোনা ভাইরাসের কারনে তারা তাদের চাকরী হারাচ্ছে ,তারা এখন দেশের বোঝা হয়ে গেছে ।

২৫ নভেম্বর - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ২৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪