কষ্টের কারাগারে সাজা পেয়েছি,
বহু শতাব্দী আগে ।
অবহেলা করে ঠেলে দিলে দূরে ,
বিরহের ব্যাথা ধীরে ধীরে জ্বলে ।
সুখ পাখিটি চলে গেছে বহু দূরে ,
কষ্ট গুলো রয়েছে হ্নদয়ের চারি পাশে –
কোন কিছুতেই সেখান থেকে মুক্তি পাইনা ।
বিনাদোষে অপরাধী হয়েছি বহু বার,
তবুও কি করুনা হয়নি তোমার ।
হবে বা কেন?
তোমার গৃহ অট্টলিকা-
আমার গৃহ খড-কুটায় ।
প্রণয়ে এসেছিলে প্রদীপ জ্বেলে,
যাওযার বেলায় আষাঢ়ের মেঘ জমালে ।
চোখের অশ্রুতে ফসল ফলানোর চেষ্টা করেছি বহুবার,
হ্নদয়ের আগাছা কিছুতেই দেয়নি ।
নির্শতে তোমার দেয়া অপবাধ মেনে নিয়েছি,
তবুও কি করুনা হয়নি তোমার ।
আমি তো চাষী নয়,
তোমার হ্নদয়ে প্রেমের বীজ রোপন করবো।
আমি মালি নয় সেই বাগানের পরিচর্যা করবো
তোমার হ্নদয়ের একখন্ড জমি –
আমাকে দাওনি !
আমার কি যোগ্যতা আছে ,
সেই জমিনের মালিক বলে দাবি করার ।
যে দিন তুমি সরি বলে চলে গেলে
সেই দিনও ভাবছি –
হয়তো একদিন ফিরে আসবে !
সেই আশা ভেঙ্গে দিয়ে ,
হঠ্যাৎ বিবাহের নিমন্ত্রণ পাঠালে !
বুকে চিন চিন করা ব্যাথা নিয়ে ছুটে গিয়েছি ,
চোখের অশ্র গুলো শুকিয়ে চৈত্রের মরুভূমি ।
অবাক দৃষ্টিতে তোমার আচরণ ভূঙ্গিমা দেখেছি ,
আর ভাবছি মানুষ বুঝি এমনি হয় ।
হাসি মুখে যখন কবুল বলে সম্মতি জানালে !
হ্নদয়ের আয়নাটা ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে
চরণের মৃত্তিকা গুলো প্রচন্ড ভাবেকাঁ পছে,
মাথাটা ভীষণ ভাবে ঝিমঝিম করছে ।
এর পর কি হলো কিছুই মনে নেই ।
হূশ ফিরে দেখি কোন এক হাসপাতালে ভর্তি
আজ তুমি চলে গেলে দূর থেকে দুরে,
জানি আর কখনো ফিরবেনা এই হ্নদয়ে ।
যদি কখনো কোথায় দেখা হয়,
না দেখার ভান করে–
অতি প্রয়োজনে তুমি থেকে আপনি ।
অতিতের স্মৃতি গুলো আজও মনে পড়ে,
ঘুমের রাজ্যে ভয় থেকে ভয়ানক হয়ে ।
চোখ মেললে দেখি সবিই কাল্পনীক ।
তুমি আমাকে যে সাজা দিয়েছো ,
জানিনা সেই সাজার মেয়াদ শেষ হবে কবে।
তোমার দেওয়া কষ্টের কারাগারে ,
আজ ও সেই সাজা ভোগ করতেছি ।