অসহায় পিতা

অসহায়ত্ব (মে ২০২০)

Omor Faruk
  • ৫৯

সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি আজ কারো পিতা ,
যার কাঁধে ঝুলিয়ে রাখে হাজারে ও দায়িত্ব ।
যে কিনা দাপিয়ে বেড়াত দিগ -দিগন্তে ,
যার নামে নালিশের কমতি নেই ,
আজ সেই অন্যকে শাসন করতেছে ,
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি কারো পিতা ।
যে কিনা নিজে স্বপ্ন দেখতো-
আজ সেই অন্যকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ।
ঈদ পূজায় যার কিনা রং বাহরী পোষাক থাকতো ,
সেই আজ স্ত্রী পুত্রদের শখ পুরণ করে-
নিজেরটা কোন মতে পার করছে ।
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি আজ কারো পিতা ,
যেই ছেলেটি অলসতায় দিন কাঁটাতো -
সেই আজ কর্মে নিজেকে ব্যাস্ত করে তুলছে ।
যে ছেলেটি রোদ বৃষ্টি সর্হ্য করতে পারতো না,
সেই আজ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে-
সন্তানদের মুখে অন্ন তুলছে ।
যে ছেলেটি খেয়াল খুঁশি মতো চলতো ,
সেই আজ পরাধীনতার শিকলে বন্ধী ,
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি আজ কারো পিতা ।
যে ছেলেটি কারো কটু বাক্য সর্হ্য করতে পারতো না -
সেই আজ হাজারো কটু বাক্য সর্হ্য করে -সন্তানের কথা ভাবছে।
যার অর্থ উর্পাজনের উপর সকলে নির্ভরশীল ,
যে কিনা দুই হস্ত দিয়ে সকলকে আটকে ধরছে ।
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি আজ কারো পিতা ।
নিজের অর্থ সম্পদ দিয়ে যাদেরকে মনুষ্যের দলে ঠায় দিয়েছে ,
তারাই তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার পরিচয় দিয়েছে
-শিক্ষিত মানুষ মুর্খের ন্যায় আচরণ করছে ।
যে মানুষটি আসার জন্য সবাই তাকিয়ে থাকতো -
সেই মানুষটি আজ অবহেলায় দিন কাঁটাছে ।
যার চার পাশে ছিল জন কোলাহল,
সেই আজ র্নিজন বডই একা ।
যে ছেলেটি সন্তানের অসুখে র্নিঘুম প্রহর গুনছে ,
আজ সেই নিজের অসুখের ধুকে ধুকে মরছে ।
যেই ছেলেটি দুই হাত দিয়ে সকলকে আটকে ধরছে ,
তাকে আজ দেখার কেউ নাই ।
যেই ছেলেটি পকেট ভর্তি ছিল টাকা -
তার আজ পকেট ফাঁকা ।
যেই ছেলেটি যার হুংকারে সকলে ভীত হয়েছে -
আজ তার চিৎকার সকলের কাছে তিক্ত হচ্ছে ।
যাদের জন্য অর্থ সম্পদ ব্যায় করেছে -
তাদের কাছে আজ অবহেলা লাঞ্ছিত ;
যেই স্বপ্ন নিয়ে বাড়ী সাঁজিয়েছে -
আজ সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে রাস্তা নেমেছে ।
যে হাতে টাকা পয়সা হিসাব বিহীন ব্যায় করেছে -
সেই হাতে আজ কারো কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে ।
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি আজ কারো পিতা ,



আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এই কবিতার মাধ্যমে মানব সমাজে তিনটি চরিত্র তুুলে ধরা হয়েছে । 1.একটি শিশু ছোট কালো খবুই দুষ্ট ,যখন সেই কিশোরে পৌঁছে ,
তখনও বিভিন্ন কাজে অবহেলা অলসতা দেখায়, সেই কোন কিছুতেই কারো শর্ত মানতে নারাজ ,মন যেই দিকে যায় সেই দিকে ছুটে চলে । 2. একটি শিশু যখন যুবকে পরিনত হয়ে বিবাহ করে বা কোন কারনে সেই সংসারের দায়িত্ব গ্রহণ করে ,তখন সেই অতীতের সব কিছু ভূলে যায় ,নিজেই নিজেকে পরাধীনতার শিকলে বন্ধী করে । যখন সেই বাবা হয় তখন নিজের আনন্দ উল্লাস ত্যাগ করে শুধু ছেলেমেয়ের ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে এক সময় নিজের অর্জিত অর্থ সম্পদ ছেলেমেয়ের পিছনে বিলীন করে দিযে, নিজেকে সর্ব হারা করে ফেলে ।3. নিজেকে যখন সর্ব হারা করে একা হয়ে যায় ভাবে কখন ছেলেমেয়ে তার পাশে এসে দাড়াবে । তখন তার আদরের সন্তানরা বাবার পাশে দাড়ানোর বদলে বাবাকে বিভিন্ন ভাবে উপহাস করে , অসুখ-বিসুখে তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিলো করে অনেকে তো বাবাকে বাবা বলতে লজ্জা পায় ।
এক সময় দেখা যায় তার আদরের ছেলেমেয়েরা তাদের বাবা থেকে বিভিন্ন চালচাতুরের মাধ্যমে সব সম্পদ নিয়ে পরে বাবাকে রাস্তায় নামিয়ে নেয় । বাবা নামক যে মানুষটি তাদের আটকে ধরে রাখছিলো সেই মানুষটিকে দেখলে আজ তাদের লজ্জা লাগে তারা হয়তো ভুলে গেছে এই রকম পরিস্থিতি তাদের জন্য ও অপেক্ষা করতেছে ।

২৫ নভেম্বর - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ২৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪