অশ্লীল বিনোদন

অশ্লীল (এপ্রিল ২০২০)

Omor Faruk
  • ৭৩৫

সোহেল মা বাবার একমাত্র সন্তান , সেই হিসাবে তার মা-বাবা শত কষ্ঠের মাঝেও ছেলের কোন আবদার কোমতি রাখে না ।
তার মা, তারা বেগম মাঝে মধ্যে ছেলেকে বকাযকা করলে ও , তার বাবা আবদুল হক তাতেও ক্ষেপে যায় ।
ছেলেকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ,ছেলে এক দিন অনেক বড অফিসার হবে ।তার আদরের সন্তান যেন তার মতো কুলি মজুর না হয় ।
সোহেলের বাবা অন্যের জমিতে ফসল ফলিয়ে যে টাকা পায় তা দিয়ে তাদের সংসার চলে ।
সোহেল সবেমাত্র কলেজে উঠেছে, আজ তার কলেজে প্রথম দিন ।
সোহেল : মা- আমি কলেজে যাচ্ছি ।
তারা বেগম : খাডা বাবা এই নেয় বিশ টাকা যাবার সময় তোর বাবা সাথে দেখা করে যাছ ।
সোহেল : আচ্ছা ঠিক আছে আমি গেলাম ।
আবদুল হক : কিরে এতো দেরী করে কলেজে যাচ্ছি যে ।
সোহেল : না বাবা ঠিক আছে, দেরী কোথায় কলেজে তো সকাল দশটা থেকে ।
আবদুল : ও আচ্ছা তোর মাকে বলে যাচ্ছি তো ।
সোহেল : হ্যা মা -বলেছে তোমার সাথে দেখা করে যাইতে ।
আবদুল : এই নেয় ত্রিশ টাকা, শুন মনোযোগ দিয়ে লেখা পড়া করবি ।
সোহেল : আচ্ছা ঠিক আছে আমি তাহলে গেলাম ।
জনৈক : কিরে এটা তোর ছেলে নাকি ।
আবদুল হক : হ্যা ছেলেটাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন সেই অনেক বড অফিসার হবে ।
তখন আমাকে আর কষ্ঠ করতে হবে না ,বসে বসে আমোদ র্পূতি করবো ।
জনৈক : দোয় করি আল্লাহ যেন তোর মনের আশা পূরণ করে ।
সোহেল যে কলেজে ভর্তি হয়েছে ,ঠিক একি কলেজে তার প্রাথকি স্কুলের বন্ধু মাসুদ ভর্তি হয়েছে ।
সোহেল কলেজ শেষ করে বাড়ি ফিরবে এমন সময় দেখে কলেজের এক কোনায় মাসুদ দাড়িয়ে একটি মেয়ের সাথে কথা বলতেছে ।
এমন সময় সোহেলের চোখ গেল মাসুদের দিকে সামনে গিয়ে দেখে মাসুদ।
সোহেল : আরে দোস্ত তুই এই কলেজে কবে ভর্তি হইছোস ।
মাসুদ : এই তো সপ্তাহ খানিক আগে তুই কবে ভর্তি হলি ।
সোহেল : কালকে , কত দিন পর তোর সাথে দেখা- মেয়েটিকে ।
মাসুদ : ওর নাম নাদিয়া , নাদিয়া ওর আমার বন্ধু সোহেল ।
নাদিয়া : আসসালামুইয়ালাইকুম কেমন আছেন ভাইয়া ।
সোহেল : ওয়ালাইকুম আসালাম ! আমি ভাল আছি আপনি কেমন আছেন।
নাদিয়া : আল হামদুলিল্লা আমিও ভাল আছি ।
সোহেল : কিরে বাডিত যাবি না ।
মাসুদ : না আমার বাডিত যাইতে দেরী হবে ।
সোহেল : আমি তাহলে চলে যাচ্ছি ।
মাসুদ : আমাদের সাথে থাক ।
সোহেল : না বেশী দেরী হয়ে গেলে মা বকা বকি করবে ।
মাসুদ : তুরো বেটা এতো বড হয়েছিস এখনো মা বাবাকে ভয় পাছ ,আচ্ছা তোর মোবাইল নাম্বারটা দেয় ।
সোহেল : আমি তো মোবাইল ব্যাবহার করি না ।
মাসুদ : কি বলিছ তুই মোবাইল ব্যাবহার করিছ তুই কি ভিন গ্রহের প্রানী নাকি ,
শুনিছি আজকাল ভিন গ্রহের প্রাণীরা ও মোবাইল ব্যাবহার শুরু করেছে, অবশ্যই তোকে এই বলে কোন লাভ নাই ।
মাসুদের কথা শুনে ভীষণ কষ্ঠ পেয়ে রেগে আগুন ,তাডাহুড়া করে বাড়ীত চলে আসলো কারো সাথে কোন কথা বলতেছে না, চুপচাপ বসে আছে এমন সময় তারা বেগম ।
তারা বেগম : কি রে মন খারাপ কেন ? কারো সাথে ঝগড়া করছ নাকি ।
সোহেল : তোমাদের বলে কোন লাভ আছে ,তোমরা তো আমার কোন কথাই শুনো না, সেই কবে থেকে বলছি
একটা মোবাইল কিনে দাও , আর আমার বন্ধুরা দামি দামি মোবাইল ব্যাবহার করে ।
তারা বেগম : আমাদের কি ওদের মতো টাকা পয়সা আছে রে বাপ ।
সোহেল : না আমি এতো কথা শুনতে রাজি না , মোবাইল না কিনে দিলে কাল থেকে কলেজে যাবো না ।
তারা : এমন অলক্ষনী কথা বলতে নাই বাপ , তোকে নিয়ে আমাদের কত স্বপ্ন , আমি তোর বাবাকে বলে দেখি কি করা যায় ।
সারা দিন কাজ কর্ম শেষ করে আবদুল হক বাডিত ফিরলো ।
আবদুল হক : এই যে বাজার গুলো রাখো আমার গামছাটা দাও , তুমি ভাত বাড়ো আমি হাত মুখ ধুয়ে আসি ।
আবদুল হক ,সোহেল, তারা বেগম এক সাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সোহেল ঘুমিয়ে পড়লো ,
আবদুল হক ও তারা বেগম ঘুমাতে যাবে এমন সময় ।
তারা বেগম : আচ্ছা আজ ছেলেটার মুখেন দিকে লক্ষ্য করেছন ?
আবদুল হক : কেন কি হয়েছে ?
তারা বেগম : আজ কলেজ থেকে ফিরে মন খারাপ আমি জিজ্ঞাস করলে বলে , ওর বন্ধুরা দামি দামি মোবাইল ব্যাবহার
করতেছে ওকে মোবাইল না দিলে ও কাল থেকে কলেজে যাবে না আমি বলি আমার হাতের বলা গুলো ব্ন্ধক রেখে
ওকে একটা মোবাইল কিনে দাও , আমার তো একটাই ছেলে ।
আবদুল হক : কিন্তু এটা তো তোমর বিয়ের বালা ,তোমার মায়ের স্মৃতি বলে কথা ।
তারা বেগম : এতো কিন্তু কিন্তু করো না ,যা বলছি তাই করো।
পরের দিন আবদুল হক তার বৌয়ের হাতের সোনার বালা বন্ধক রেখে ছেলের জন্য একটি স্মার্ট ফোন কিনে তার সাথে একটি সিম কাড নিয়ে একরাশ হাসি মুখে বাডিত ফিরলো ।
আবদুল হক : কই আমার বাপজান কই ।
তারা বেগম : ওর ঘরে শুয়ে আছে ।
আবদুল হক : এই নে , তোর স্মার্ট ফোন , পছন্দ হয়েছে ।
সোহেল : জ্বী বাবা আমার খুব পছন্দ হয়েছে ।
ছেলের মোবাইলের প্রতি এতো আর্কষণ দেখে তারা বেগম ও আবদুল হকের চোখ দিয়ে আনন্দের অশ্রু গডিয়ে পডলো ।
সোহেল নতুন মোবাইল পেয়ে বন্ধু বান্ধব অনেকের মোবাইল নাম্বার নিয়ে নিলো ।
এখন থেকে কে কখন কলেজে যাবে , কার কি সমস্যা বিভিন্ন বিষয় ফোন করে জেনে নেয় ।
আবদুল হক ও তার বেগম কয়েক দিন যাবত লক্ষ্য করেছে তাদের ছেলের কেমন যেন একটা পরির্বতন হয়েছে ।
তারা : কি রে তোর কি হয়েছে কয়েক যাবত তোকে দেখতেছি পডা লেখা আগের মতো নাই অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকছ , সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে পডে থাকছ ।
সোহেল : ও তুমি বুঝবে না , ।
তারা বেগম : হ্যা আমরা তো কিছুই বুঝিনা , তোরাই সব বুঝছ রাত অনেক হয়েছে ঘুমা।
আবদুল হক : ওকে ওর মতো থাকতে দাও ছেলেটার সাথে এতো প্যাচ করো কেন ?
তারা বেগম : প্যাচ করি কি স্বাদে এই ছেলে এক দিন তোমার মুখে চুনকালি দিবে, সেই দিন আমাকে কিছু বলতে পারবে না ।
আবদুল হক : আচ্ছা বলবো না , এইবার চুপ করে ঘুমাও তো ।
পরের দিন সকালে নাস্তা পানি খেয়ে সোহেল তার মা-বাবাকে বলে কলেজে গেল ।
সোহেল : আরে মাসুদ নাকি , কিরে দোস্ত কেমন আছিস ।
মাসুদ : তুই মনে হয় আমাকে নতুন দেখতেছোছ ।
সোহেল : তা অবশ্যই ঠিক না , তুই এতো রাগ করতেছোস কেন? আমি তো এমনিতে বলিছি ।
তোর গার্ল ফেন্ড কি নাম যে, ও মনে পডেছে নাদিয়া কোথায় সেই আজ আসে নাই ।
মাসুদ : ও ওর মামর বাডীত বেডাতে গেছে আমাকে বলেছে কয়েক দিন ওর মামার বাডীত থাকবে ,তাই কলেজে আসতে পারবে না ।
সোহেল : ও তাই , তোর কাছে ভালো গান আছে ।
মাসুদ : হ্যা আছে মানি একে বারে সানির নতুন আইটেম মোবাইল কিনছোস না কি? ,
সোহেল : হ্যা এটা কিনেছি ।
মাসুদ : বাহ বেশ সুন্দর তো এই দিকে যে সানির নতুন আইটেম দিয়েছি ।
সোহেল : সানি আবার কে ।
মাসুদ : তুই সানিকে ছিনিছ না , তাহলে দেখ ।
সোহেল : ওয়াও , ভীষণ হট ।
সোহেল মাসুদের কাছে থেকে কিছু সানির কিছু হট গান নিয়ে বাডিত ফিরলো । একটু সুযোগ ফেলে সেই গান ঘুমা দেখতে থাকে ।
ইদানিং তার কান থেকে হেড ফোন খুলা যায় না । যেখানে যায় ,হেড ফোন একটা লাগিয়ে রাখে ।
তারা বেগম : সোহেল ও সোহেল তুই কোথায় , কিরে তোরে ডাকতে ডাকতে আমার গলা ফাটা ফেলতেছি শুনতে পাছ না।
কানের ভিতর এটা কি সব সময় লাগিয়ে রাখিছ ।
সোহেল : কিছু না এটা হেড ফোন ।
তারা বেগম : সেটা আবার কি ,এটার জন্য মনে হয় তুই কিছু শুনতে পাছ না এটা এই দিকে দেয়।
সোহেল : দিতে হবে না , কি জন্য ডাকতেছো সেটা বলো ।
তার বেগম : ভাত পানি কিছু খাই হবে না , নাকি মোবাইল নিয়ে পডে থাকলে পেট ভরবে ।
সোহেল : আচ্ছা চল ।
প্রতি দিনের মতো আজ সেই কলেজে গেল শ্রেণীকক্ষে ঢুকবে এমন সময় মাসুদ ডাক দিলো ।
মাসুদ : সোহেল এই দিকে আয় ।
সোহেল : কিরে তোরা এই খানে বসে আছোছ যে , ক্লাস করবি না ।
মাসুদ : করবো আগে এই খানে বস , সানির যে গান দিয়েছি সেই গুলো কেমন ।
সোহেল : ভাল তোর কাছে আর আছে থাকলে দেয় ।
মাসুদ : আর তো নাই তবে তোকে এমন একটা সফটওয়ার দিচ্ছি তুই তোর ইচ্ছা মতো দেখতে পারবি, ডাউনলোড করতে পারতে পারবি ।
মাসুদ : তোর কাছে টাকা আছে ।
সোহেল : কেন কি করবি ?
মাসুদ : যা মোবাইলে টাকা রির্চাজ করে নিয়ে আয় তোকে একটা জিনিস শিখাবে ।
সোহেল মাসুদের কথা মতো টাকা রির্চাজ করে নিয়ে আসলো।
সোহেল : এই নে , কি দেখাবি দেখা ।
মাসুদ : প্রথম এটা টিপবি । তারপর এইখানে যাবি ।এর পর ডাটা চালু করবি তার এই খানে ঢুকবী এখন দেখ ।
মাসুদ সোহেল ইন্টারনেট থেকে কিভাবে অশ্লীল ভিডিও দেখা যায় ,সেটা নামানো যায় ইত্যাদি শিখালো ।
এরপর সোহেল ক্লাস না করে বাডিত ফিরলো । সেই এখন আগের মতো নাই সারাক্ষণ অশ্লীল ভিডিও তে মগ্ন থাকে ।
এই দিকে তার মা -বাবা কিছু বললে , ছয়, নয় বুঝিয়ে তাদের শান্ত না দেয় ।
সেই এখন রীতিমতো ক্লাস ফাঁকি দেয় , পডা লেখা মন বসে না বন্ধুদের সাথে আডা আর অশ্লীল বিনোদনে তার দিন কাটে ।
আস্তে আস্তে রাজনীতিবিদ ছেলেদের সাথে বিভিন্ন অপকর্মে জডিয়ে পডে এর পর হঠ্যাৎ এক দিন।
তারা বেগম : কিরে তুই যে, লেখা পড়া করিছ না, তোর দিন কি এইভাবে কাটবে , শুনেছি তুই নাকি বাজে ছেলেদের সাথে মিশ্রিছ ।
সোহেল : তোমাদেরকে এই সব কে বলে , বর্তমান যুগে কলেজে লেখা পডা করতে হলে কিছু রাজনীতিবিদ ছেলেদের সাথে চলা ফেরা করতে হয় ।
তারা বেগম : এমন কিছু করিছ না বাপ , যেন সমাজে আমাদের নাক কাটা যায় ।
সোহেল : তুমি নিশ্চিত থাক , ঐসব কিছুই হবে না ।
এইভাবে সোহেলের দিন গুলো ভালোই কাটতে লাগলো , এখন তার প্রভাবশালী বন্ধুরা আছে চলা ফেরাও অনেক খালি বদলে গেছে ।
তবে মা-বাবার কাছে গেলে ভেডা -বিডাল সেজে থাকে এর মাঝে হঠ্যাৎ এক দিন মাসুদের কল ।
মাসুদ : হ্যালো সোহেল তুই কোথায় ।
সোহেল : আমি তো ক্লাস করতেছি ।
মাসুদ : তাডাতাডি ক্লাবে আয় , আমরা বন্ধুরা মিলে একটা পাটির আয়োজন করেছি ।
সোহেল : তাই নাকি ।
মাসুদ : হ্যা তাহলে আর বলছি কি ।
সোহেল : তাহলে এখনি আসতেছি ।
এরপর তারা কিছু রাজনৈতিক আলাপ করলো , তারপর খাওয়া দাওয়া সাথে কিছু নেশা পানি ব্যাবস্থা ও করলো ।
অনুষ্ঠান শেষ করে যে যার পথে রনা দিলো । মাসুদ আর সোহেল তো মদ খেয়ে পুরো মাতাল দুই জনে মাতলামি করতে করতে রাস্তা পার হচ্ছে ।
এমন সময় ওদের কলেজে নিঝুম নামের একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছে ।
সোহেল : দোস্ত আমার মাথাটা কেমন যেন ঝিম ঝিম করতেছে ।
মাসুদ : হ্যা আমার ও এই রকম লাগতেছে ,দেখ দেখ রাস্তা দিয়ে একটা মাল যাচ্ছে ।
সোহেল : কই দেখি বাহ, মালটা তো সেই রকম ।
মাসুদ : চল আজকে ওকে আমাদের খাবার বানিয়ে নিই ।
সোহেল : কেউ দেখবে না তো কোথায় করবি ।
মাসুদ : না , আর দেখলেও আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারো সাহস আছে ।
মাসুদ : এই মেয়ে শুনো ।
কিন্তু মেয়েটি ফিছনে তাকাতে বুঝতে পেরেছে তাদের কলেজে দুই জন ছেলে মদ খেয়ে মাতলামি করতেছে।
তবে তাদের ছিনতেও পেরেছে সেই দাডাবে নাকি ফালাবে বুঝে উঠতে পারতেছে না ।
নিজের সর্বনাশের কথা ভেবে দিলো এক দৌড ,এমন সময় মাসুদ ও সোহেল দৌড দিলো তবে নিঝুম তাদের সাথে দৌডে পারলো না ,
এক দৌডে ধরে ফেললো ।
মাসুদ : ঐ মাগি আমাদের দেথে দৌড দিলি কেন ?
নিঝুম : ভাই আপনাদের পায়ে পডি আমাকে ছেডে দেন আমার সর্বনাশ করিয়েন না ।
মাসুদ : ছাডবো তো পরে আগে আমাদেরকে আমাদের কাজ করতে দেয় ।
নিঝুম : উ উ উ উ ।
মাসুদ : ঐ কান্না করবি না বলছি তাহলে মেরে ফেলবো, সোহেল দডি নিয়ে আয় ওকে বাধ ।
সোহেল : এই তো দড়ি লডাছডা করবি না বলছি একদম চুপ ।
এমন সময় একটা রুমাল ভের করে সোহেল মেয়েটির মুখে ঢুকিয়ে দিয়েছে , তাই কান্নার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেছে দেখে।
মাসুদ : বাহ আমার লগে থাকি থাকি তোর তো অনেক বুদ্ধি খুলে গেছে ওকে এইখানে কিছু করা যাবে না ।
সোহেল : তাহলে কই নিবি চল জঙ্গলে নিয়ে যাই ।
মাসুদ : বাহ আরো একবার তোর বুদ্ধিরি তারিপ করতে হয় ।
এরপর মাসুদ ও সোহেল হায়েনার মতো নিঝুম এর উপর ঝাপিয়ে পডলো , মেয়েটির শত কাকুতি মিনতি কোন কাজে আসলো না ।
নিঝুম : কুত্তা তোদের বিচার আল্লাহ করবে , তোদের আমি ফাসি ঝুলাবো ,আমি প্রিন্সিপাল স্যারকে সব বলে দিবো ।
মাসুদ : কি আমাদেরকে ফাসি ঝুলাবি , প্রিন্সিপাল স্যারকে সব বলে দেবী তাহলে তো তোকে তো উপরের টিকেট দিতে হয় ।
এই বলে গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় , এরপর সোহেল ও মাসুদ যে যার বাডিত ফিরে যায় ।
এই দিকে নিঝুম এর পিতা-মাতা ভিতরে ভিতরে খোজা খুজি করতে লাগলো , আত্মীয় স্বজন সবাইকে ফোন করলো কেউ কিছু বলতে পারতেছেনা ,
শুধু আল্লাহ আল্লাহ করতেছে কখন রাতটি শেষ হবে এই একটি রাত যেন তাদের কাছে হাজার রাতের সমান ।
সকালে আত্মীয় স্বজন যে যার মত করে খোজ করতে লাগলো । কিছু লোকজন ঘাস কাটতে জঙ্গলে গেল কিছুক্ষন পর
তারা দেখতে পেল একটা মেয়ের দেহ জঙ্গলের মধ্যে পডে আছে তাদের হৈ চৈ শব্দ কিভাবে যেন নিঝুম এর পিতা-মাতার কানে ভেসে আসলো ।
দৌডে গিয়ে দেখে সেই মেয়েটি আর কেউ নয়, তাদের আদরের একমাত্র সন্তান । গিয়ে দেখলো কি বিশ্রিভাবে তাদের মেয়েটিকে ধর্ষন করা হয়েছে ।
সেই মূর্হতে তারা অজ্ঞান হয়ে পডে গেল , আত্মীয় স্বজন ধরা ধরী করে মেডিকেল নিয়ে গেল পুলিশ এসে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নিয়ে গেল ।
থানায় অজ্ঞত আসামিদের নামে ধর্ষনের মামলা ও করা হয়েছে , পুলিশ ঝিনুকের হত্যাকারীদের খুঁজতেছে ।
কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিবাদ সভা সমাবেশ করলো রাজনীতিবিদরাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দ্রা জানালো ।
টেলি ভিশন ও পত্র পত্রিকা বিশেষ শিরোনাম হয়ে থাকলো ।
কয়েক মাস পার হয়ে গেল পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারলো না ।
বছর না যেতে ঝিনুকের মতো , দেশের কোথায় ও আর একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটলো ।
এখন মানুষ ঝিনুকে ভূলে ঐ মেয়েটির ঘটনার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পডলো ।
এই ভাবে প্রকৃত অপরাধীরা প্রভাবশালী আশ্রয়-প্রশ্রয় অপরাধ করতে থাকে ।
ধর্ষনের মামলা গুলো বছরকে বছর চলতে থাকে এক সময় ফাইল গুলো কোথায় হারিয়ে যায় কেউ বলতে পারে না ।
আজ আমার মেয়ে কাল আপনার মেয়ে, আজ আমার বোন কালকে আপনার বোন কেউ না ,কেউ ধর্ষনের শিকার হচ্ছে ।
এর জন্য ধর্ষণকারী শুধু একা দায়ী নয় , দায়ী আমরা আপনারা আমাদের সমাজ ।
আমদের অশ্লীল বিনোদন জগৎ আমদের বিকৃত মস্তীষ্ক ।
বিনোদন জগতে আমরা নারীদের আবেদনময় করে তুলছি ।
তাই আমার দৃষ্টিতে ধর্ষনকারীরা যেমন দায়ী তার চেয়ে বেশী দায় আমাদের বিনোদন জগতের কলাকুশলীরা ।
আসুন আমরা সবাই বিকৃত বিনোদন জগৎ পরিহার করে , সুস্থ্য জগতের বিনোদন নির্মাণ করি ।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
binod on এই আখ্যানটি একটি সম্পর্কিত পারিবারিক গতিশীলতাকে চিত্রিত করে যেখানে সোহেলের বাবা-মা তাদের ছেলের মানসিক সুস্থতা এবং শিক্ষার চেয়ে স্মার্টফোনের মতো বস্তুগত সম্পদকে অগ্রাধিকার দেয় বলে মনে হয়। একটি মূল্যবান উপহার, স্ত্রীর বিবাহের আংটি, স্মার্টফোন কেনার জন্য পিতামাতার সিদ্ধান্ত বিভ্রান্তিকর এবং অত্যধিক বলে মনে হতে পারে, কারণ এটি একটি বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে স্থায়ী করে। উপরন্তু, তার নতুন স্মার্টফোনের প্রতি সোহেলের আকস্মিক আবেশ, দেরি করে জেগে থাকা এবং পড়াশোনায় অবহেলা করা একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ যে প্রযুক্তি কীভাবে একজন তরুণ ব্যক্তির অগ্রাধিকার এবং আচরণকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। পিতামাতার স্পষ্ট বোঝার অভাব এবং তাদের ছেলের অভ্যাসের উপর নিয়ন্ত্রণও সমস্যাযুক্ত। সামগ্রিকভাবে, গল্পটি পারিবারিক সম্পর্কের উপর বস্তুবাদের ক্ষতিকর প্রভাব এবং একটি শিশুর সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে সুষম অভিভাবকত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে।
ভালো লাগেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
Omor Faruk আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ,যদি দয়া করে সেই বাক্য গুলো বলতেন তাহলে আরো খুশি হতাম ।
জমাতুল ইসলাম পরাগ সরি, আমার ভালো লাগেনি। প্রায় চার বছর পরে এই পোর্টালে এসে প্রথম যে গল্পটি পড়লাম, তাতে প্রচুর বানান ভুল, বাক্যগঠনে দুর্বলতা। আশা করি, লেখকের কাছ থেকে পরবর্তীতে আরও ভালো মানের গল্প পাবো। শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী সৃজনশীল ও মননশীল লেখা।   

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

মূলত গল্পটি লেখা হয়েছে জনসচেতনার জন্য ।
গল্পটিতে এক সময়ের প্রাথমিক স্কুলের বন্ধু কিভাবে কিভাবে একটি গরীব ঘরের ছেলেকে অশ্লীল বিনোদনের মাধ্যমে খারাপ বানিয়ে ফেললো ,এরপর আস্তে আস্তে বিভিন্ন অপরাধের দিকে জডিয়ে পডলো এবং একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করলো ।
আজ আমার মেয়ে কাল আপনার মেয়ে, আজ আমার বোন কালকে আপনার বোন কেউ না ,কেউ ধর্ষনের শিকার হচ্ছে ।
এর জন্য ধর্ষণকারী শুধু একা দায়ী নয় , দায়ী আমরা আপনারা আমাদের সমাজ ।
আমদের অশ্লীল বিনোদন জগৎ আমদের বিকৃত মস্তিষ্ক ।
বিনোদন জগতে আমরা নারীদের আবেদনময় করে তুলছি ।
তাই আমার দৃষ্টিতে ধর্ষনকারীরা যেমন দায়ী তার চেয়ে বেশী দায় আমাদের বিনোদন জগতের কলাকুশলীরা ।
আসুন আমরা সবাই বিকৃত বিনোদন জগৎ পরিহার করে , সুস্থ্য জগতের বিনোদন নির্মাণ করি ।

২৫ নভেম্বর - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ২৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪