নৌকার মাঝে

ভয় (জুলাই ২০২০)

মোঃ বুলবুল হোসেন
  • ২৮
বর্ষার পানিতে গ্রামের চতুর্দিকে থইথই করে ।
চতুর দিকে পানি মাঝখানে রাস্তা। পড়ন্ত বিকেলে দখিনা বাতাসে ঢেউ মনে দোলা দিয়ে যায়। সুমন রাস্তায় বসে দক্ষিণা বাতাস উপভোগ করতে ছিল। এমন সময় হাফিজুর এসে বায়না ধরল। চলো ভাইয়া নৌকা নিয়ে ঘুরতে যাব। অনেক দিন হলো পানি আসছে নৌকা নিয়ে ঘুরতে যাইনি।


হাফিজুর বলল ভাই আমাদের সাথে রেজাউল যাবে। চলেন আমরা ঘুরে আসি। সুমন মনে মনে ভাবতে ছিল। নৌকা নিয়ে ঘুরতে যাবে, এরপর তিনজন মিলে নৌকা নিয়ে রওনা দিলো বিলের দিকে। বিলের একটু বর্ণনা দেই। আমাদের বিল সাতটি গ্রামের মাঝখানে। আমাদের গ্রাম থেকে বিলের মাঝখানে যাইতে প্রায় দেড় ঘন্টার মত সময় লাগে। আমরা তিনজনেই নৌকা নিয়ে এক ঘন্টা যাওয়ার পর। দক্ষিণের আকাশে প্রচুর মেঘ জমেছে। এদিকে আষাঢ় মাস, বৃষ্টি কখন আসে কখন যায় বলা যায় না। মনে হচ্ছিল বিলের ঐ পাশে বৃষ্টি পরতেছে। পাশে একটা মেশিনঘর ছিল। মেশিন ঘরের চালের এক হাত নিচে পানি আছে। হাফিজুর বললো চলো ভাই মেশিন ঘরে নৌকাটা বেদে আমরা নিচে বসে থাকি। এরপর আমরা নৌকা নিয়ে কোনো রকম পৌছালাম, মেশিন ঘরের কাছে। কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টিটা থেমে গেল। হাফিজুর বলল ভাইয়া চলেন আমরা শাপলা তুলব। যেমন কথা তেমন কাজ হাফিজুর শাপলা তুলতে ব্যস্ত।


রেজাউল বলল আঙ্কেল আমি ঢেপ তুলতেছি। ঢেপ বলতে শাপলার যে ফল থাকে তাকে বলা হয়েছে। আপনি নৌকা ঠিক করে। ঢেপ যেদিকে আছে সেদিকে দেন। তিনজনে মিলে অনেক মজা করে শাপলা খেলাম। এদিকে রেজাউল বলল আঙ্কেল তেতুল খাব, চলেন তেতুল পেড়ে নিয়ে আসি। বিলের এক পাশে চড়ার মাঝখানে একটি তেঁতুল গাছ। এই গাছটি এত পুরানো কেউ বলতে পারেনা এর বয়স কত? আমি আমার বাবার কাছ থেকে শুনেছি। তিনি বোজমান হওয়ার পর এরকমই দেখেছেন। বাবা দাদাকে জিজ্ঞেস করছিল।এই তেতুল গাছটায় বয়স কত? দাদা উত্তরে বলেছিলেন আমি যখন থেকে বুঝি, তখন থেকে গাছটা এরকমই দেখতেছি।যাইহোক ভাতিজার বায়না তো পূরণ করতে হবে। আমরা তিনজন মিলে নৌকা নিয়ে গাছের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম।

প্রায় আধা ঘন্টা পর গাছের কাছে পৌঁছলাম। এদিকে হঠাৎ করে কেমন যেন বাতাস আসতে শুরু করল। ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমরা সবাই কোনরকম গাছের নিচে আশ্রয় নিলাম। এদিকে জায়গাটা কিরম ছমছম পরিবেশ বিরাজ করতেছে। ঝড় বৃষ্টি হওয়ার পর কোনরকম বৃষ্টি থেমে গেল। অল্প তেতুল গাছ থেকে পেড়ে আবার নৌকা তে উঠে পরলাম। প্রচুর বাতাস হইতেছে। বাসের নগি/লাঠি বৈঠা দিয়ে কোনরকমে যেন যাওয়া যাচ্ছে সামনের দিকে।এত বড় বড় ঢেউ যে নৌকা ডুবে যাবে মনে হয়। ঢেউয়ে নৌকা টা চার পাঁচ হাত উপরে উঠে, আবার নিচে ছেড়ে দিচ্ছে। ভয়ে সবার বুকটা কাঁপতেছে। এবার বোধ হয় নৌকা ডুবে যাবে। অনেক কষ্টে নৌকাটা নিয়ে বাড়িতে পৌছালাম। সত্যিই আমরা অনেক ভয় পেয়েছিলাম। যা আগে কখনো পাইনি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন । 

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এখানে বাস্তব একটি ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে আশাকরি পড়লে আপনাদের সবার ভালো লাগবে। এখানে বিলের চারপাশের বর্ণনা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

০৩ নভেম্বর - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ২৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪