মিথিলাকে কেন জানি। আজ হাসি খুশি মনে হচ্ছে। আমি ভাবলাম এত খুশি কখনো মিথিলাকে দেখিনি। আমি কিছু না বলেই কাপটা ছেড়ে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম। আসতেই গামছাটা এগিয়ে দিল । কেন জানি মিথিলাকে আজ সুন্দর মনে হচ্ছে। সত্যি মিথিলা আমাকে এতো ভালবাসে যে কোন স্ত্রী তার স্বামীকে এতটা ভালোবাসে আমার জানা নেই। সত্যিই আমি ধন্য মিথিলার মত বউ পেয়ে ।মিথিলা আমার হাতে চিমটি কেটে বলল ।কি ব্যাপার কি ভাবতেছেন। অনেকক্ষণ ধরে আপনাকে ডাকতেছি।খাবার রেডি আসেন খেয়ে যান । খাবার খেতে খেতে মিথিলা বলল।আপনাকে কিছু বলব শুনবেন। আমরা তো অনেকদিন হল। কোন জায়গায় ঘুরতে যাই না। চলেন না কোথাও ঘুরে আসি। আমিও মনে মনে ভাবতে ছিলাম । মিথিলাকে এই কথাটাই বলবো।মিথিলাকে আমি বললাম তোমার কি পছন্দ করা কোন জায়গা আছে । আপনি যে জায়গায় নিয়ে যাবেন ।ওটাই আমার পছন্দের জায়গা। মিথিলার কথা শুনে আমি খুশি হয়ে গেলাম। মিথিলাকে বললাম তুমি কেন এতটা আমাকে ভালোবাসো ।আপনি ছাড়া কে আছে আমার ।আপনি স্বয়নে স্বপনে নিঃশ্বাসে সব জায়গায় আছেন ।এর ভালোবাসা দেখে মাঝে মাঝে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলি ।হে আল্লাহ মিথিলাকে তুমি হায়াত দারাজ করুক। মিথিলাকে বললাম চলো সিলেট ঘুরে আসি। মিথিলা রাজি হয়ে গেল।
পরদিন সকালে সবাইকে বলে । সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।আমি আর মিথিলা বাসে টিকিট কাটলাম। সন্ধ্যার দিকে গাড়িতে উঠলাম । বাসে উঠেই মিথিলার গল্প শুরু করে দিলো। গল্প করতে করতে রাতের খাবার সময় হয়ে গেল। বাস এক হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মিথিলা বলল আপনার পছন্দের ছোট মাছের তরকারি দিয়ে ভাত খাব। হোটেলে খাবার সেরে আমি আর মিথিলা আবার গাড়িতে উঠে পড়লাম। একপর্যায়ে মিথিলা আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরল।
আর আমি আস্তে করে মিথিলার মাথায় হাত বুলাতে থাকি ।আর আমি ভাবতে থাকি মিথিলাকে পেয়ে আমি কত সুখে আছি। এদিকে ভোর হয়ে আসতেছে। আমরাও পৌঁছে গেছি আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।এদিকে মিথিলা ঘুম থেকে উঠে কান্না শুরু করে দিয়েছে । আমি বললাম কি ব্যাপার তুমি কান্নাকাটি করতেছো কেন। মিথিলা বলল না জানি আপনার কত কষ্ট হয়েছে। আপনার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমাকে মাফ করে দেন । মিথিলাকে জড়িয়ে ধরে কান্না থামানোর চেষ্টা করলাম। বললাম আমার কিছু হয়নি । আমি তো ভালোই আছি।আমি মিথিলাকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম এবং বিভিন্ন পরিবেশ দেখিয়ে তার কান্না থামানোর চেষ্টা করলাম। সকালবেলাতে বর্ডারের কাছে গিয়ে । আমি আর মিথিলার ছবি উঠালাম। এরপর আমরা ঝর্ণার পানিতে গোসল করলাম।এত সুন্দর স্বচ্ছ পানি। দেখে মনটা ভরে গেল।
খুশিতে মিথিলা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল। এই পৃথিবীতে আমার চেয়ে সুখী আর কেউ নেই।বর্ডারের কাছে উঁচু-নিচু অনেক টিলা। দেখে মিথিলা খুশি হয়ে গেছে। বর্ডারে ইন্ডিয়ান শাড়ি পাওয়া যায় । মিথিলা বলল আমি একটি ইন্ডিয়ান শাড়ি নিবো। আমি বললাম তুমি দেখো। তোমার যেটা পছন্দ হয় সেটা নাও। শাড়ি কেনার পর দুজনে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম । মিথিলা সবসময় আমার খেয়াল রাখত । আমার সব প্রয়োজনীয় জিনিস শে সাজিয়ে রাখত। সত্যি মিথিলা তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি । এ দিকে দুপুর গড়িয় বিকাল হতে হতে চলেছে। মিথিলা আমাকে একটি চাদর কিনে দেয়। আপনি জানেন এটা টাকা আমি কেমনে জোগাড় করেছি। আমি বললাম না তো জানিনা। আপনি যে আমাকে হাত খরচের জন্য টাকা দিতেন। সেই টাকা থেকে কিছু বাঁচিয়েছিলাম । আজ শুধু আমার বারবার বলতে ইচ্ছে করতেছে সত্যি তোমাকে ভালোবাসি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আশা
সাধারণ কথামালায় স্বামী-স্ত্রীর অসাধারণ ভালোবাসার গল্প। লিখা অব্যাহত রাখলে কোনো একদিন হয়তো আরো ঝরঝরে লেখা বেরিয়ে আসবে। কিছু মনে করবেন না- নিজের লেখাটা পোষ্ট করার পূর্বে কয়েকবার পড়ে নিলে ভালো হতো, দাড়ি-কমার ব্যবহারে দুর্বলতা আছে। তবে, ধারাবাহিক লিখে গেলে সেটা দুর হয়ে যাবে। চেষ্টা অব্যাহত থাকুক।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
আমি এই গল্পটিতে ভালোবাসা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
আশা করি সকল পাঠকের ভালো লাগবে।
০৩ নভেম্বর - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
২৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।