মশিউলের (কথা শিল্পী মশিউল আলমের) গল্প দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতা থেকে ছিটে-ফোটা পড়া হয়েছিল। মনে আছে সেই "মাংসের কারবার" গল্পটি - যার ঠাস বুনন গাঁথুনি আমাকে তাঁর প্রতি ভীষণ আকৃষ্ট করেছিল। ঐ নামে গল্প গ্রন্থ বের হয়েছে জানি কিন্তু বিরূপ অবস্থানের কারণে তা আর সংগ্রহ করা হয়নি। বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম-এর আর্টস বিভাগে দেখলাম তাঁর গল্প - "পাকিস্তান"। তখন আমার দোকানে খরিদ্দার _ অর্থাৎ আমি কিনা আবার সখের দোকানদার, রুমটি-রুজিতে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য। ল্যাপটপে নেট চালানো, আর অন্য কম্পিউটারটাতে চলছে ধীর গতির প্রিন্ট কাজ। সুতরাং কাজের মধ্যে বসে থাকা এবং ল্যাপটপের দিকে চোখ বুলিয়ে মশিউলের "পাকিস্তানের" গল্প পড়া। ভেবেছিলাম এভাবেই বুঝি গল্পটা শেষ করতে পারব কিন্তু স্ক্রল ঘুরিয়ে দেখি গল্পটা বেশ বড়। সন্ধ্যার নামাজের সময়, এর মধ্যে দেখি মশিউর এসে হাজির। বললাম মশিউরকে -'গল্পটা তো পড়ে শেষ করতে চাইছি, কিন্তু এখন দেখছি অনেক লম্বা। তুমি বরং এ কম্পিউটারটাতে বসো, আমি গল্পটা পড়ি।'
প্রথম পুরুষ লেখকের জবানীতে গল্প বর্ণন: অর্থাৎ গল্পের নায়ক রাশিয়া (মনে হলো, কমরেড হওয়ার জন্য) পড়তে গিয়েছিল। আদর্শ ধারণ করার জন্য তাদেরকে না কতদূর বিশ্বের সে কালের সমৃদ্ধ শহর মস্কো যেতে হয়েছিল। ওরা না জানি কত বড় - ধনী ঘরের পোলা হয়ত। তা না হলে কি লেখাপড়া করার জন্য বিদেশে যায় ! তা আবার গিয়ে থাকার ছাত্রাবাস রুমে সিগারেট গরম পানীয় সেবন নিত্য-নৈমিত্তিক ? পড়াশুনার কোনো খবর নাই আড্ডা আর মজা করে খাওয়ার উদাহরণ ? আমার লেখাপড়াটা শুরু হয়েছিল _অর্থাৎ কিনা আমি পাঠশালা গিয়েছিলাম দেশ স্বাধীনের পরের কোনো বছর দেশের দৰিণ-পশ্চিমের শেষ জনপদ বর্তমান আইলা দুর্গত সুন্দরবনের পাশের কোনো গ্রামে। হায় ! মশিউলের মতো বিদ্যার জন্য বিমানে চড়া তা আবার করাচীতে বিরতি সে তো আমাদের স্বপ্নেরও সুদূর। কোথায় মস্কো আর কোথায় পোড়াকাঠলা ! যাই হোক, দুনিয়াতে একদল মানুষ সবাইকে সমান সুযোগ-সুবিধায় আনার চেষ্টা করলেও সবাই তো আর সমান হবে না। আমার ভয় - রাশিয়া মস্কোর কথা নয় বলে, আবার আমার এ গল্প তাচ্ছিল্যের সাথে অগ্রাহ্য করেন। কিন্তু আমার এ সত্য বর্ণন: মশিউলের "পাকিস্তান" গল্পের মতো।
তিনি আমাকে বিশেষ স্নেহ-আদর করতেন। পাড়াতে বাবার মুন্সী(বিদ্যা-বুদ্ধি সম্পন্ন মুসল্লি গোছের কেউ) পরিচয় ছিল বলে বোধ হয় এবং সেখানে তার আশ্রয় গ্রহণে বাবার বিশেষ সাপোর্ট ছিল বলেই বুঝি তার সে বিশেষ স্নেহ-আদরের কারণ। পাঠশালায় আমাদেরকে তিন বেলা যেতে হতো। খুব ভোরে আরবি পড়ার জন্য আর সাধারণ লেখাপড়ার জন্য বেলা নয়টা থেকে বারটা অবধি। আবার বিকালে বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। এই বিকেলের পর্বে হতো বিশেষত ইংরেজি বিষয়ের পড়া। ইংরেজি দাগ পড়ানো (একজন উচ্চস্বরে পড়া বলবে এবং অন্য সবাই সেটা শুনে চিলিস্নয়ে চিলিস্নয়ে বলবে)-র জন্য আমাকে ডাকা হতো।
সেটা দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২-৭৩ সালের কথা। তিনি কোথা থেকে যে এসেছিলেন তা আমরা ছোটরা তেমন জানতাম না। বড়রা বলতো, পিরোজপুর-বাগেরহাট-বরিশালের কোথাও নাকি তার বাড়ি। তবে কেন যে তিনি এতো পথ ডিঙিয়ে দেশের উত্তরে, পূর্বে,পশ্চিমে কোথাও না গিয়ে দৰিণের ওই বন আবাদ করা দুর্গম জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন সে প্রশ্ন সে সময় বুঝি সে তল্লাটে কারো মনে জাগত না। আমরা তিন বেলা তার কাছে পড়তাম আর বড়রা অর্থাৎ আমাদের বাপ-চাচারা বিনা পয়সায় এমন একজন বিদ্বান ( এক সাথে ধর্মীয় বিষয় যেমন ভাল পড়াতে পারেন, তেমনি অঙ্ক-ইংরেজি-বাংলাও কম যান না।) মাষ্টার পেয়েছেন বলে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করতেন।
তিনি বেশ রাশভারী লোক ছিলেন। অল্পদিনের মধ্যে তিনি পাড়ার এলিট গোছের সবার সাথে ভাব করে নিয়েছিলেন। দেখতাম তাদের সাথেই তাঁর ওঠা-বসা, চলা-ফেরা। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ গায়ের রং, দীর্ঘ-প্রশস্ত দেহ। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে ছোট_খাট পাহাড়ের মতো মনে হতো। এতো বলিষ্ঠ শরীর কাঠামো নিয়ে তিনি যে কেন অতো দূরের গাঁয়ে গিয়েছিলেন তা ঠিক আমার বোধগম্য হতো না। আমি তাকে ভীষণ ভয় পেতাম কারণ পাঠশালা কামাই দিলে তিনি ভীষণ থাপড়াতেন আর তার থাপ্পড়ের বিশেষ বিশেষত্ব ছিল। সেটা বেতের চেয়েও কঠিন ছিল। যে হাতেরই হোক না কেন আঙুলগুলো যখন মারের জন্য প্রস্তুত করতেন,সেগুলো পিছন পানে চল্লিশ ডিগ্রী কোণে বাঁকা হতো এবং তারা বিদ্যুতের মতো শক্তি সঞ্চয় করতো। এবম্বৎ তালু সম্বলিত আঙুলগুলো যখন আমাদের নরম গতর শিশুদের গায়ে নিপতিত হতো তখন ছট-ফট করা ছাড়া উপায় থাকতো না।
আদর্শ শিৰক ছিলেন তিনি। কখনো পান-সিগারেট ছুঁতেন না। মুখে সুন্দর গোছের দাঁড়ি ছিল। অর্থাৎ সেটি খুব বড়ও না আবার ছোটও না। মুখের শ্মশ্রম্নতে তার মুখের আদল ঢাকা পড়তো না। বরং দু চোয়ালের অনেক অংশই দৃশ্যমান থাকতো। আমার পরবর্তী জীবনে টেলিভিশনে দেখা দেশের একজন খ্যাতিমান শিৰাবিদ অধ্যাপক,কবি সৈয়দ আ.আ. এর চেহারার সাথে তার চেহারার অনেকখানি মিল ছিল। সৈয়দ আ. আ. এর আমি একজন ফান ছিলাম। তাঁর লেখা বই যেমন পড়া হয়েছে বেশ, তেমনি তার অনুষ্ঠানাদি যখন টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠতো সে-গুলোও দেখতাম মনোযোগের সাথে। কথার উচ্চারণগুলো ছিল শ্রম্নতিমাধুর্য্যে পূর্ণ। পরবর্তী জীবনে এ অধ্যাপককে পেয়ে আমি আমার ছোট বেলার সেই শিৰককে আর দেখতে পাই নি।
পরতেন তিনি সব সময় লুঙ্গি এবং গেরুয়া রঙের পাঞ্জাবী। রবিবার দিন সপ্তাহে হাট বসতো। হাটে যাব- মিঠা-মণ্ডা খাব বা কিছু লোক-জন দ্রব্য সামগ্রীর সমাবেশ দেখব বলে ঐ দিন আর পাঠশালা যেতাম না। পাঠশালা ঘরটা ছিল বড় বেড়ি বাঁধের পাশেই। ঐ বেড়ি বাঁধই ছিল আমাদের হাট- বাজার চলাচলের রাস্তা। মাষ্টার সাহেব পাঠশালা ঘরে এমনভাব বসতেন যাতে আমরা রাস্তা দিকে চোখ না দিতে ; অথচ তিনি সেদিকে চোখ দিয়ে বসতেন। সে জন্য পাঠশালা যাওয়া ছাড়া আমাদের চলাচল ছিল সীমিত। কিন্তু হাটের দিন আমরা অনেকেই বেপরোয়া হতাম। মাষ্টার সাহেবের চোখ যতদূর যেতে পারে তার আগে থেকে রাস্তা পূব পাশে নিচে নেমে যেতাম। সেদিকটা ছিল নদীর সাইড -ঘর-দোর শূন্য। বেড়িবাঁধটা বেশ উঁচু হওয়ায় ঐ পাশটা আড়াল ছিল এবং মানুষরা সাধারণত ঐ বেড়ি-ভেড়ির কোলে মলত্যাগ করে রাখত। সে-সব উপেৰা করে দ্রুত হাঁটতাম বা দৌড়াতামও। লৰ্য, যত দ্রুত সম্ভব মাষ্টার সাহেবের শকুন চৰু এড়িয়ে ঐ এলাকা ত্যাগ করা যায়।
তিনি দেখতে না পেলে কি হবে পরের দিন শাস্তি নির্ঘাত ছিল। আর সে ভয়ে পরের দিন পাঠশালা মুখো হতাম না। বাড়ির লোক তাড়া দিলেও যেতাম না। কিন্তু তারা অত বেশি চিন্তিতও হতো না। কারণ তারা জানতো এ জন্য মাষ্টারই যথেষ্ট। স্কুলে না গেলে কি হবে মাষ্টারের কাছে এমন ব্যবস্থা আছে যে, আমাকে সেখানে নিয়েই তবে ৰানত্দ। তিনি পাঠশালা থেকে ডাহা ডাহা দুটো ষণ্ডা মার্কা ছেলে বাড়িতে পাঠাতেন। তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল যেখানে পাবে সেখান থেকেই ওকে ধরে নিয়ে এসো এবং অপরাধ বেশি হলে বা না আসতে চাইলে চিল উড়ান উড়িয়ে নিয়ে আসবে। কিন্তু আমি এমন জায়গায় লুকোতাম যে ওদের সাধ্যই ছিল না আমাকে খুঁজে পাওয়া। বিকেল বেলা দেখি, সেই শ্মশ্রম্নমন্ডিত, লুঙ্গি, গরুয়া পাঞ্জাবি রাস্তা দিয়ে হেটে আসছে সাথে অন্য আরো কয়েক জন। বড় ভাইয়ের উঁচু পাটাতনের ঘর ছিল। সে পাটাতনের তলে লুকোলে রাস্তা দেখা যেত আর বৈঠকখানায় কারা এসে কি কথা বলছে তাও শোনা যেত। জায়গাটা লুকোনোর জন্য কম নিরাপদ হলেও সেখানেই আমি এবারের মতো লুকোলাম কারণ মাষ্টার সাহেব অতো আর আমাকে খুঁজবেন না ; যেমন সকালে খুঁজেছিল ঐ ষণ্ডা মার্কা ছেলে দুটো। মাষ্টার সাহেব এলেন নাস্তা-পানি করলেন এবং অন্য কি বিষয়ে আলাপ করলেন এবং সে বিষয়ে আলাপ করার জন্যই তিনি এসেছিলেন। শুধু যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে আমার প্রসঙ্গটা উত্থাপন মাত্র করে বললেন (একটু জোরে যেন আমি সব শুনছি তিনি জানছেন), ও যেন কাল পাঠশালায় যায় শাস্তি মওকুফ।
তিনি ও গ্রামে ঠিক কত দিন ছিলেন আমি জানিনা। তবে পাঠশালায় আমরা এক বছর পড়ার পর যেতাম দূরের প্রাইমারিতে। প্রাইমারিতে যাওয়ার পর আমার আর তার সান্নিধ্য পাওয়া হয়ে ওঠে নি। তবে তার পাঠশালাটি কয়েক বছর আয়ু লাভ করেছিল। ওনার বাড়ি-ঘরে ওনি মাঝে মাঝে যেতেন সে খবর তেমন পাওয়া যেত না। তবে তিনি শুনেছিলাম পাড়ার কোনো মেয়েকে বিবাহ করে ঘর বেঁধেছিলেন। বাচ্চা-কাচ্চাও হয়ত হতে পারে, সে খবর আমার জানার কথা নয়। সামনের দিকে যেতে থাকলে কে আর পিছন ফিরে তাকাতে চায় ? আমারও আর পিছনে তাকানো হয়নি, জানা হয়নি হাতেখড়ি দেওয়া শিৰকের প্রকৃত পরিচয়।
তবে তার একটা সহজ পরিচয় গড়ে উঠেছিল । পুরো এলাকা জুড়ে
সে নামেই তাকে সবাই চিনত । আমার উপরের বর্ণনার মধ্যে আমি তাঁর নাম কোথাও উল্লেখ করিনি। আসলে তার নাম আমি জানতাম না।
এলাকায় তিনি যে নামে পরিচিত ছিলেন তাহলো 'রাজাকার মাষ্টার'।
মাঝে মাঝে তাকে 'বদর মাষ্টার'ও বলা হতো।
'মাষ্টার' পদ বিশেষ্যটি ঝেড়ে দিলে
তার নাম হয় ১. রাজাকার এবং ২. বদর।
পাঠক, আপনি কি শব্দ দুটোর সাথে পরিচিত আছেন ? আমার সে ছোট বয়সে আমি শব্দ দুটোর সাথে পরিচিত ছিলাম না। বড় হয়ে আত্ম পরিচয় সম্পর্কে অবগত হয়ে শব্দ দুটোকে জেনেছি। সেই বয়সে যদি জানতে পারতাম তাহলে মশিউল তার পাকিস্তানি রুম মেটের প্রতি যে গোস্বা (তীব্র রাগ ৰোভ) দেখিয়েছিল তেমনি গোস্বা ঝরে পড়তো আমার গ্রামবাসীর ওপরে।
যখন রাজাকার, আল-বদর,আল-শামস্ সম্পর্কে জানতে শিখেছি। তখন গ্রাম ছেড়ে দূর কোনো শহরে বা অন্য কোনো এলাকায়। ঠিক কতদিন পর আমার সে শিৰক তিনি এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তা আমি জানিনা। তবে লোকমুখ এবং ইতিহাস অনুমান থেকে জানতে পারি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং তারও বেশ কিছুদিন পর তিনি ও এলাকা ছেড়ে গিয়েছিলেন। আর তার সে বিয়ে করা মেয়েটির কপালে কি ঘটেছিল তা ও আমি জানি না।
আমার গ্রামবাসী সদাশয় ছিলেন। একজন নিঃসহায় নিরাশ্রয়ই মানুষকে তারা আশ্রয় দিয়েছিলেন। দিয়েছিলেন শিৰকের মতো উঁচু মর্যদাও। কিন্তু রাজাকারকে তার পরিচয়েই তারা অভিহিত করতেন। তিনি তাকে যে রাজাকার মাষ্টার বা বদর মাষ্টার বলে ডাকা হতো তাতে তিনি রাগতেন না বা অখুশিও হতেন না। যেন সেটি ছিল তার গৌরবজনক পদবী।
তবে সারা জীবন আমাকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে আত্মগ্লানি নিয়ে যে, দৈবক্রমে একজন রাজাকার ছিল আমার প্রথম শিৰক। আমার বিদ্যা শিৰার পুরোটাই হয়ে গেল এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের নাম। হায়! যদি মশিউলের মতো বিদ্যা শিৰার জন্য রাশিয়া যেতে পারতাম তাহলে বুঝি সে কলঙ্ক কিছুটা মোচন হতো !
২০ জানুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪