আমি খুব একটা ভয় টয় পাই না,
তবে
আমার পাশে কেউ উচ্চ স্বরে হাঁচি দিলে
গা টা একটু ঝাঁকুনি দিয়ে উঠে,
দিন তিনেক জ্বর বায়,
ডাক্তার মশাই অবগত করেন,
পিলে চমকানো রোগ আমার,
উচ্চ শব্দ শুনলে নাকি
হার্ট মশাই ভয় পায়,
এই আর কি,
তবে
আমি ভাই খুব একটা ভয় টয় পাই না।
তবে ভুত পেত্নির নামে আমার এলার্জি আছে,
তাই সন্ধ্যা হলে ঘর থেকে বের হই না,
কালেভদ্রে কালী সন্ধ্যায়
নানা বাড়ি থেকে ফিরছিলাম,
লোকমুখে শ্রুতি, কড়ইতলার নিচে নাকি
মাঝে মাঝে বাচ্চা সমেত মুরগী দেখা দেয়,
সময়টা কালী, জায়গাটা নির্জন,
মন বেচারা ইতিমধ্যে ঢেঁকিতে চড়েছে,
দু পা সামনে তো এক পা পিছনে,
আর নেত্রদ্বয় যেন সাটার ডাউন দিতে ভুলেই গেছে।
যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়,
চোখতো ছানাবড়া,
কালো মত কে যেন কড়ই গাছের গোড়া থেকে
হাত ইশারায় আমাকে ডাকছে,
দিলাম ভৌ দৌড়, সাথে ছিলো গলাফাটা চিৎকার।
দশ বাড়ির লোক এসে আমাকে উদ্ধার করলো,
শেষে আবিষ্কার হলো,
কচু পাতা বাতাসে দোল খাচ্ছিল,
এই আর কি,
তবে
আমি ভাই খুব একটা ভয় টয় পাই না।
তবে আকাশে মেঘ জমলে
বুকের ভেতর ধরফরানি শুরু হয়,
বিজলীর চাবুক চোখে ভাসতে থাকে,
আর
আসমান ভেঙে এই বুঝি উপরে পড়বে
তাই চৌকির নিচে এক সেট বিছানা সদা প্রস্তুত।
আজকাল পিলো মহাশয় পাওনাদারের মত
তির্যক চাহনিতে জানান দেয়,
মেঘের গর্জন ঠেকাতে,
তার কাছে বহু দেনা,
আজ আর ধার দিতে ইচ্ছুক নয়।
আমিও নাছোড়বান্দা
অবশেষে লেপ তোষকের কাছে হাত পাতি।
এই আর কি,
তবে
আমি ভাই খুব একটা ভয় টয় পাই না।
তবে অন্যায় অত্যাচার দেখলে
আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে যাই না।
মনে হয় তখন ঘুমের ঘুরে স্বপন বনে
হিংস্র বাঘ থেকে বাঁচতে ছুটাছুটি করছি।
বিভোড় ঘুমে মত্ত আছি,
আর
ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরেছে,
যত চেষ্টাই করি মুখ থেকে কোন শব্দ বেরোয়ন।
যা বের হয় তা হলো
মানবতা পরাজয়ের সরব কান্না।
চোখ থাকতে অন্ধ, মুখ থাকতে বোবা,
এই আর কি,
তবে
আমি ভাই খুব একটা ভয় টয় পাই না।
০৬ আগষ্ট - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
৩৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪