বড়লোকের জামাই

পরগাছা (আগষ্ট ২০২৫)

জুলফিকার নোমান
  • 0
  • ৮৯
ট্রেন আসতে দেরি হবে জেনে ময়মনসিংহ স্টেশনের ওয়েটিং রুমে গিয়ে যার পাশে বসলাম, তিনি এলজিইডি'র একজন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

পাশে বসেই বুঝতে পারলাম, ভদ্রলোক শোনার চেয়ে বলতে পছন্দ করেন। কিছুক্ষনের মধ্যে কথায় কথায় জানা হয়ে গেল, তিনি থাকেন নিজের ফ্ল্যাটে, গুলশান নিকেতনে। এছাড়া বনশ্রীতে উনার ছয়তলা একটি বাড়ি আছে, নিজের ও ফ্যামিলির ব্যবহারের জন্য একটি করে গাড়িও আছে।

প্রাইভেট জব করা একজন সিনিয়র বুয়েটিয়ান হিসেবে নিজের বৈষয়িক অর্জন নিতান্তই কম বলে মনে হল।

"তাহলে তো রইস সাহেবের আয়-রোজগার বেশ ভালো" কথাবার্তার একপর্যায়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম।

আমার কথা শেষ হতে না হতেই তিনি বললেন, 'আমি নিজে কিছুই করতে পারি নাই, ফ্ল্যাট-বাড়ি-গাড়ীর মালিক আমার স্ত্রী, শ্বশুর সাহেবের কাছ থেকে পেয়েছে।"

-আপনার শ্বশুর বাড়ি যেন কোথায়?

- চন্ডীপাশা প্রাইমারী স্কুলের পাশে, নান্দাইল।

- কী নাম আপনার স্বশুর সাহেবের?

আব্দুস সালাম, শম্ভুগঞ্জ জুট মিলে বড় পদে চাকরি করতেন।

এরই মধ্যে ঘোষণা আসলো, ট্রেন চলে আসছে। দু'জনের কম্পার্টমেন্ট ভিন্ন হওয়ায় সালাম দিয়ে বিদায় নিলাম।

সিটে বসে মনে হতে লাগলো উনার মধ্যর সালাম সাহেবের কথা, যাঁকে আমিও চিনি।

ভদ্রলোক শম্ভুগঞ্জ জুট মিলের কেরানি ছিলেন। সৎ মানুষ, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ চালাতেই হিমহিম খেতেন। জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এলাকায় একটা মুদি দোকান দিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতেন।

সেখানকার স্থানীয় কলেজে বাবার অধ্যাপনার সুবাদে ঐ এলাকায় আমরাও এক সময়ে ছিলাম। উনার শ্বশুর সাহেবের সাথেও এজন্য জানাশোনা ছিল।

পোড় খাওয়া এক জীবন-সংগ্রামী সমাজে বিদ্যমান পরগাছাদের বুঝাতে মজা করে বলেছিলেন, 'উপার্জন যাদের সীমার অধিক, তারা বড়লোকের জামাই।" আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এই 'পরগাছা'দের বিচরণ চলে চোখে পড়ার মতো সদম্ভে, শেকড় যেখানেই থাকুক না কেন।

টিউব-লাইট জ্বলার মতো দেরিতে হলেও এ বিষয়টি এবার সঠিকভাবে অনুধাবণ করতে পারলাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি উপার্জন যাদের সীমার অধিক, তারা বড়লোকের জামাই।" ঃ খুব ভালো লিখেছেন নোমান ভাই। ঝকঝকে তকতকে লেখা। আর একটু টানলেও টানতে পারতেন। তবে এতটুকুতেই মন ভরে গ্যাছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অশেষ ধন্যবাদ জ্যোতি ভাই, আপনার চমৎকার মন্তব্য নিঃসন্দেহে আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।
মেহেদী মারুফ বাহ!! অল্প কথায় সুন্দর লিখেছেন।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

ট্রেন আসতে দেরি হবে জেনে ময়মনসিংহ স্টেশনের ওয়েটিং রুমে গিয়ে যার পাশে বসলাম, তিনি এলজিইডি'র একজন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

১৬ জুলাই - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "হতাশা”
কবিতার বিষয় "হতাশা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর,২০২৫