ঘাটতির খাতায় বন্ধুত্ব

বন্ধুত্ব নাকি ছলনা (নভেম্বর ২০২৩)

জুলফিকার নোমান
  • ১২
  • ৭৬
- আরে বন্ধু, তুমি লোন নিবা কেন? লোন নিয়ে ব্যাংক ইন্টারেস্ট দিবা কেন? আমি তোমাকে টাকা দিব।
- না না, তোমার টাকা দেওয়ার দরকার নাই। ধার নেয়ার চেয়ে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া অনেক ভালো। তুমি যদি আমার লোনের গ্যারান্টর হও, তাহলেই হবে।
- না না, আমিই তোমাকে টাকা দিব, তুমি পরে দিয়ে দিও।

পাশ থেকে কথাগুলো শুনছিল আশরাফের ড্রাইভার। আর মনে মনে নিশ্চয়ই বলছিল "এমন বন্ধু থাকা নিঃসন্দেহে ভাগ্যের ব্যাপার !"

বুয়েটিয়ান আশরাফ তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সরকারি ইঞ্জিনিয়ার রবিউলের এমন আশ্বাস পেয়ে বেশ পুলকিত হয়। বন্ধুকে জানায়, লাখ তিনেক টাকা দিলেই হবে, পরিশোধের টাইমটা একটু বাড়িয়ে দিতে হবে। এদিকে আশরাফ তার প্রক্রিয়াধীন লোন প্রসেসিংও থামিয়ে দেয়। লোন প্রসেস করা থামিয়ে দেওয়ায় আশরাফের স্কুল বন্ধু ব্যাংকের ম্যানেজার সোহেল একটু অবাকই হয় !

কয়েকদিন পার হয়ে যায়, রবিউলের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে আশরাফ বন্ধুকে ফোন দেয়। ফোন দিয়েই যা বোঝার বুঝে যায় ! বেসরকারি চাকরি করেই প্রায় সতের বছর পার করেছে আশরাফ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেসরকারি চাকরি অনেকের জন্য অনেক সময়েই সুখকর হয় না। তাছাড়া স্যালারী বৃদ্ধির প্রয়োজনেও অনেক সময় চাকরি বদল করতে হয়। ঐ সময়টাতে আশরাফ চাকরি বদল করার একটি ট্রানজিশন পিরিয়ডে ছিল। ছেড়ে যাওয়া কোম্পানি থেকে চাকরির প্রাপ্য বেতনাদি পাওয়া এবং নতুন চাকরির বেতন পাওয়া পর্যন্ত সময়টা চালিয়ে নিতে কিছু বাড়তি টাকার প্রয়োজন পড়তে পারে। এই চিন্তা করেই সে লোনের জন্য আবেদন করেছিল এবং লোন প্রসেসিংও যথারীতি এগোচ্ছিল। পরে রবিউলের আশ্বাসেই তা স্থগিত করা হয়। আর লাখ তিনেক টাকা দেয়া তার বন্ধু রবিউলের জন্য কোন ব্যাপারই না। তাই বন্ধুর এমন ইউ টার্ন তার ঠিকই গায়ে লাগে। তবে রবিউল কেন তার সাথে এমন করল, এর কোন উপযুক্ত কারণ সে দাঁড় করাতে পারে না। কারণ তাদের মধ্যকার বন্ধুত্বের সম্পর্কটি অনেক দিনের।

তখন আশরাফ আবার তার ব্যাংক ম্যানেজার বন্ধুকে লোন প্রসেস এগিয়ে নেয়ার জন্য বলে দেয়, লোনের গ্যারান্টর ইস্যুটিও সাথে সাথেই সলভ হয়ে যায়।

লোন এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রসেস হয়ে যায়, এদিকে ডিসবার্সমেন্টের আগেই বন্ধুদের সাথে কেনা আশরাফের একটি জমিও বিক্রি হয়ে যায়। তারপরও সে ম্যানেজার সোহেলের এখান থেকে ডিসবার্সমেন্ট নেয়, কারণ বন্ধু সোহেল বেশ গুরুত্বের সাথে লোনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছে। তবে কোন কাজে লাগাতে না পারায় টাকা একাউন্টেই পড়ে থাকে।

এ ঘটনাতেও রবিউল ও আশরাফের বন্ধুত্বের মাঝে যোগাযোগ করা, দেখা-সাক্ষাৎ হওয়া বা আচরণ সংশ্লিষ্ট কোন ঘাটতি পড়ে না। সব কিছুই আপাতদৃষ্টিতে আগের মতোই চলে, ঘাটতি পড়ে শুধু বিশ্বাসে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Muhsin Ahmed পড়ব কী পড়ব না ভেবে পড়েই ফেললাম।
Bulu Hossen darun
অশেষ ধন্যবাদ।
অথই মিষ্টি মন্দ নহে সুন্দর বটে
অশেষ ধন্যবাদ।
হাফিজ ভাই চমৎকার
অশেষ ধন্যবাদ। আপনার ভালো লাগা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।
বিষণ্ন সুমন বন্ধুত্ব ও ছলনা বেশ সুন্দর ফুঁটিয়েছেন।
অশেষ ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য আমাকে লেখার জন্য আরও অনুপ্রাণিত করবে।
ফয়জুল মহী অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম।
অশেষ ধন্যবাদ। আপনাদের ভালো লাগা আমার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আরে বন্ধু, তুমি লোন নিবা কেন? লোন নিয়ে ব্যাংক ইন্টারেস্ট দিবা কেন? আমি তোমাকে টাকা দিব।

১৬ জুলাই - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪