আমার সাথে আমার বাবার শেষ কথা ছিল, "এখন কিন্তু অনেক শীত, শীতের কাপড় নিয়ে যাইস।" ২০১৯ -এর ২৯শে ডিসেম্বর আমার বাবা যখন পরপারে পাড়ি জমান, তখন আমরা ঠিকমতো কাঁদতেও পারিনি।
সেদিন ছিল রবিবার, এর আগের দিন রাতেই আমি ময়মনসিংহ থেকে এনা বাসের সর্বশেষ ট্রিপ ধরে রাত দেড়টার দিকে ঢাকায় পৌঁছেছিলাম। বাস থেকে নেমে উবারে করে যখন বিজয় সরণি পার হচ্ছি, তখন ঘড়িতে একটার মতো বাজে। দেখলাম বাসা থেকে ফোন, ওপারে আম্মার কন্ঠ, "এখনো পৌঁছাসনি?"
- এত রাত করে জেগে থেকে ফোন দেওয়ার দরকার ছিল কি? আল্লাহর রহমতে আমি ঠিকই পৌঁছে যাব।
- তোর আব্বা জানতে চাচ্ছিল।
- আব্বা এখনও ঘুমাননি?
- ঘুমিয়েছিলো, ঘুম থেকে উঠে আবার তোর কথা জিজ্ঞেস করল।
সেই রাতে বাসায় পৌঁছে ফোন দিয়ে তাঁদের 'টেনশন' লাঘব করতে পেরেছিলাম।
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ বুধবার নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে আমাদের বুয়েট '৯৬ ব্যাচের রিইউনিয়ন ছিল। ঐদিন আনুমানিক বেলা বারোটার দিকে বড় আপা ফোন দিয়ে জানালেন, আমার বড় ভাগ্নে দুইদিন আগে বাসা থেকে বের হয়ে ফেরত আসেনি। বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমার বড় ভাইয়ের সাথে কথা বললাম, সেই সাথে আমার বুয়েটিয়ান বন্ধু পুলিশ বিভাগের এআইজি মুস্তাফিজকে বিষয়টি জানালাম। বন্ধু সাথে সাথেই ভাগ্নের ফোন 'ট্র্যাক' করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় নির্দেশনা দিয়ে দিল। সেদিনের প্রোগ্রাম শেষ করে পরের দিন ময়মনসিংহ চলে গেলাম। ভাগ্নের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি আমার বান্ধবী পুলিশের এসপি ফারমানা মাফিকে জানালাম। সেই সাথে জানানো হয় আমার স্ত্রীর চাচাতো ভাই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়া ভাইকে। জিয়া ভাই, মোস্তাফিজ এবং মাফি'র পরামর্শ মতো ময়মনসিংহের পুলিশ, ডিবি, র্যাব সবখানেই যোগাযোগ করেছি, সবাই সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আশায় আশায় ছিলাম, এই বুঝি ভাগ্নেকে পেয়ে যাচ্ছি, কিন্তু পাচ্ছিলাম না !
এর মধ্যে দুই-তিন দিন কেটে যায়। আমাদের বাসার যে কোন ব্যাপার আমরা বাবার সাথে শেয়ার করে পরামর্শ করতাম। কিন্তু ভাগ্নে হারানোর এই বিষয়টির টেনশনে বাবাকে আমরা জড়াতে চাচ্ছিলাম না। আমি, বড় ভাই এবং দুই আপা মিলে নিজেরাই পরামর্শ করতাম। র্যাব অফিসে জানানো, থানায় এজাহার দেওয়া, ডিবি অফিসে জানানোর পর মনে হলো ঢাকায় এসে অফিসের জরুরী কাজগুলো সেরে আবার ময়মনসিংহে যাবো, সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং 'মনিটরিং' তো থাকবেই। ২৮শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে দেখা করি, এরপর রাতে ঢাকায় চলে আসি। তখন বাবাকে বলে বের হয়ে আসার সময় তিনি আমার সাথে তাঁর শেষ কথাগুলো বলেছিলেন।
২৯ তারিখ অফিসে গিয়ে বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম; বিষয় তখন একটাই, ভাগ্নের কোন খোঁজ পাওয়া গেল কি - না। এর মধ্যে হঠাৎ বড় ভাই বললেন, "এখন ফোন রাখি, আব্বা জানি কেমন করছেন !" এক বিপদের মধ্যে থেকে বড় ভাইয়ের এই কথায় ভয় পেয়ে যাই। সাথে সাথে ফোন দেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডা: বিপ্লবকে, তাকে জানাই বাবার অবস্থার কথা। সে অভয় গিয়ে জানায়, "চাচাকে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দে, আমি হসপিটালে আছি।" এই সময়টাতে আমি ভয়ে রীতিমতো ঘামতে থাকি। কয়েক মিনিট পরেই ছোট আপার ফোন, ওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ, যা বোঝার বুঝে যাই ! আওয়াজ করে কেঁদে উঠতে গিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করতে চেষ্টা করি, ফলে কান্নাটা ফুঁপিয়ে কান্নার রূপ নেয়। আমার প্রতিষ্ঠানের অপারেশন ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান স্যারকে বাবার মৃত্যুর কথা জানাই, তিনি আমার কাঁধে হাত রেখে আমার রুম পর্যন্ত আসেন, নানা কিছু বোঝাতে চেষ্টা করেন। এর পর আমি অফিস থেকে বের হয়ে আসার সময় আমাকে দশ হাজার টাকা সাথে দিয়ে দেন। সেই দশ হাজার টাকার গুরুত্ব যে কতটুকু ছিল, সেটা আমি পরে বুঝেছিলাম। কারণ ব্যাংক থেকে বা এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার মতো কোনো মানসিক অবস্থা আমার তখন ছিল না।
আমার নিকটজন ও বন্ধু-বান্ধবদের অনেককে বাবার মৃত্যু সংবাদ জানাতে জানাতে মোহাম্মদপুরের বাসায় পৌঁছাই। নিজেকে ধরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা একেবারে বিলীন হয়ে যায় আমার বড় মেয়ে নাওয়ালকে দেখে, যার চেহারার সাথে আমার বাবার চেহারার অনেক মিল। তাকে ধরে চিৎকার করে কাঁদায় সম্ভবত: সে কিছুটা ভয়ও পেয়ে যায়। তখন বাসায় আমি এবং আমার স্ত্রীকে সম্ভবত: 'কানাওয়ালা' পেয়ে বসে, কারণ যা-ই করতে যাই, তাতেই শুধু ঝামেলা আর দেরি হয় !
বাবার জানাযার সময় ঠিক করা হয় মাগরিবের নামাজের পরে। ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের বিভিন্ন যাতাকলে পড়ে ময়মনসিংহে বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আসরের নামাজের সময় পার হয়ে যায়। বাসায় পৌঁছে শুধু একবারের জন্য আমি আমার বাবার মুখখানি দেখতে পাই, নিকটজনরা আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। আমার মৃত বাবার কপালে হাত বুলিয়ে দেওয়া আর হয়ে ওঠেনি। এরপর বাবার লাশ দাফনের জন্য আমরা শহরের গুলকিবাড়ি কবরস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হই। অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে খাটিয়ায় শায়িত আমার বাবার নিথর দেহটাকে শক্ত করে ধরে থাকি। মাগরিবের নামাজের পর গুলকিবাড়ি প্রাইমারি স্কুলের মাঠে বাবার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অনেক লোক হয়েছিল বাবার জানাযায়, আত্মীয়-স্বজন, শুভানুধ্যায়ী এবং আমার ও ভাইয়ের বন্ধু-বান্ধবদের অনেকেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। তারপর গুলকিবাড়ি গোরস্থানে আমার বড় দুলাভাইয়ের কবরে নিজ হাতে বাবাকে শুইয়ে দিয়ে আসি। তবে বাবা হারানোর শোকে তখন একেবারে ভেঙ্গে পড়িনি, কারণ ভাগ্নের তখনও কোন হদিস পাওয়া যায়নি !
আমার আম্মা এবং ভাই-বোনদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে পর্যন্তও আমার বাবা শারীরিকভাবে ভালোই ছিলেন। সকাল বেলা বড় আপার সাথে ফোনে কথা বলেছেন; বাসায় আম্মা, ছোট আপা এবং বড় ভাইয়ের সাথে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছেন। তবে কথার মধ্যে বড় নাতি হারানোর কারণে আক্ষেপ ছিল প্রবল, মারা যাওয়ার একটু আগেও নাতিকে ফিরে পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছেন। আল্লাহর রহমতে সকলের দোয়ায় আমার ভাগ্নেকে কয়েক দিন পর ফিরে পাই।
আমরা জানি, মানুষের জন্ম-মৃত্যু মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তবে ঘটনা পরিক্রমায় বোঝা যায়, আমার ভাগ্নে নিখোঁজ হওয়ার শোকটুকু আমার বাবা হয়তো নিতে পারেননি !
চোখ বন্ধ করে 'বাবা'কে স্মরণ করলেই মনে হয় বাবাকে আমি দেখতে পাই ! তখন মাথায় একে একে আসতে থাকে বাবার সাথে বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলাপনের স্মৃতি, ভ্রমণের স্মৃতি, তাঁর জীবনের নানা কাহিনী, তাঁর আদর্শ ও ন্যায়-নীতির কথা।
সুদর্শন বলতে যা বুঝায়, বয়সকালে আমার বাবা ছিলেন সেই রকমই, যদিও বড় আপা ছাড়া আমরা অন্য ভাইবোনেরা বাবার চেহারা পাইনি। আমার বাবা নিজ মাকে হারিয়েছিলেন যখন তাঁর বয়স তিন কি চার, এরপর ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে সৎ মায়ের হাতে তাঁর বড় হয়ে উঠা।
বাবা নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আমাদের গ্রামের বাড়ির এলাকার প্রথম দিকের 'গ্র্যাজুয়েট'দের একজন, 'গ্র্যাজুয়েশন'-এর পর দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকে লোকজন বাবাকে দেখতে এসেছিলো। বাবা ছিলেন একটু রাশভারী ধরণের এবং বেশ ভালো ইংরেজি জানতেন, এজন্য স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বাবার কাছে ইংরেজি পড়তে যেতে ভয় পেতাম। বাংলা সাহিত্যের প্রতিও বাবার ছিল প্রচন্ড ঝোঁক, তিনি ছিলেন কবি নজরুলের একনিষ্ঠ ভক্ত। বাবার এসব বৈশিষ্ট্যের কিছুটা মনে হয় আমিও পেয়েছি।
আমার বাবাকে উঁচু গলায় কখনো কথা বলতে শুনেছি বলে মনে পড়ে না। আমার মাঝে মাঝে মনে হতো, এই 'ভয়েস' নিয়ে বাবা ক্লাস সামলাতেন কীভাবে? পরে জেনেছি, বাবার ক্লাস করার জন্য তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা মুখিয়ে থাকতো এবং ফলে আপনা আপনিই নীরবতা বজায় থাকতো।
আমার বাবার মতো ভালো বাচনভঙ্গির লোক আমি কমই দেখেছি। সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো, বাবা প্রয়োজন অনুসারে কথা বলার ধরণ বদলাতে পারতেন। নেত্রকোনার গ্রামের বাড়ির লোকদের সাথে বাবা সেই ভাষাতেই কথা বলতেন।
আমার প্রথম ঢাকা আসা বাবার হাত ধরে - যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি; সেবারই প্রথম বাবার সাথে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। বুয়েটে যখন ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম, তখনও সাথে এসেছিলেন বাবা।
বাবা সব সময় চাইতেন, আমি যেন তাঁকে ইংরেজিতে চিঠি লিখি এবং তাঁর সাথে ইংরেজিতে কথা বলি। আর আমি সযত্নে এসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলতাম ! বুয়েটের লেভেল-১, টার্ম-১ এর 'মেকানিক্স' পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় আমি বাবাকে ইংরেজিতে প্রথমবারের মতো চিঠি লিখেছিলাম, মন-মেজাজ খারাপ থাকায় ইংরেজি লেখাতে কিছু ভুল হয়েছিলো। দুইদিন পর শেরেবাংলা হলের ৩০১১ নম্বর রুমের বারান্দা থেকে হঠাৎ খেয়াল করলাম, পলাশীর দিকের 'পকেট গেট' দিয়ে আমার বাবা ঢুকছেন। আমাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে শুনিয়ে হরলিক্স সহ অনেক কিছু কিনে দিয়ে বাবা আবার ফিরে যান। সেবার বাবাকে লাঞ্চের জন্য নাজিমুদ্দিন রোডের বিখ্যাত 'নীরব' হোটেলে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে মাস্টার্স করে অধ্যাপনাকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন আমার বাবা। তবে তিনি একেবারেই বৈষয়িক মানুষ ছিলেন না। এজন্য আমরাও অর্থ-বিত্তের প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে উঠিনি। ছেলেমেয়েদের মানুষ করা আর মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পাওয়াকেই তিনি সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করতেন।
সৎ ভাইদের প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারেও আমার বাবা যথেষ্ট 'ব্যাকআপ' দিয়েছেন, যদিও সমাজের নিয়মে কৃতজ্ঞতার দেখাটুকু পাননি ! অবশ্য এ নিয়ে আক্ষেপের চেয়ে তাঁর সন্তুষ্টির মাত্রাই বেশি ছিল।
নীতি ও আদর্শের ব্যাপারে বাবাকে কখনো আপোস করতে দেখিনি, এমনকি নিজের ক্ষতি হলেও নয়। একবার প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ময়মনসিংহের নান্দাইলে দায়িত্ব পালন করার সময় দুর্বৃত্তরা রামদা, ছুরি, বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাবাকে ঘেরাও করে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টাতে বললেও বাবা তা করেননি। দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তখন বাবাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বাবার এই ধরনের নীতি ও আদর্শ সন্তান হিসেবে আমাদের গর্বের বিষয়।
বাবার জীবদ্দশায় জীবনের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কাছ থেকে মতামত নিতে ভুলিনি। এই অভাবটা এখন খুব প্রকটভাবে অনুভব করি, বিশেষত ন্যায়-অন্যায়ের প্রশ্নে। নীতি ও আদর্শকে ধারণ করার যে সদিচ্ছা আমি পোষণ করি, তার জন্য আমি সবচেয়ে বেশি আমার বাবার কাছেই ঋণী। আমি প্রাইভেট সেক্টরে চাকরি করি আমার বাবার উৎসাহেই।
আমার বাবা ব্যক্তিগত জীবনে খুব নিয়মানুবর্তী ছিলেন, ভালো থাকার জন্য তাঁর চেষ্টা থাকতো সব সময়, সব সময় নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে পছন্দ করতেন। জীবনের শেষের দিকে বাবার কোমরের জোর কমে গিয়ে হাঁটতে সমস্যা হয়ে যায়। ফিজিও-থেরাপির মাধ্যমে এ অবস্থার উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা চলছিল, এর মধ্যেই তিনি পরপারের ডাকে চলে যান। বাবার খুব ইচ্ছে ছিল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করানোর, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির মতো পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় বাবাকে আর সেখানে ভর্তি করা হয়ে ওঠেনি। এভাবে হঠাৎ করে বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, সেটাও বুঝতে পারিনি।
বছর পরিক্রমায় প্রতিবারই শীত আসে, কিন্তু বাসার বাইরে যাওয়ার সময় কেউ এখন আর ডেকে বলে না, "শীতের কাপড় নিয়ে যাইস।" বাবাকে ছাড়া দীর্ঘদিন পথ চলার হাহাকার বুকে নিয়ে ইচ্ছে করে উচ্চস্বরে গেয়ে উঠি জেমস্-এর সেই গান,
"বাবা কতদিন, কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলে না তোমার মত
কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়।"