রক্তঋণের ইতিহাস

মুক্তিযুদ্ধ (ডিসেম্বর ২০২৫)

ওয়াহেদ কাজী
  • 0
  • 0
আমি তো জেনেছি শুধু অসূয়া আর দীর্ঘশ্বাসে,
একাত্তর আজও কাঁপে প্রতিটি শ্মশানভূমি।
স্বাধীনতা নয়, বুঝি আত্মা বেচেছিল ঘাসে,
হাড়-মাংসের স্তূপে দাঁড়িয়ে তুমি বা আমি, তুমি?

পঁচিশে মার্চের ক্রন্দন, সে তো কেবলই শুরু,
নদীর জলে ভাসে আজও নিহত নারীর শাড়ি।
ধিক্কার জানাই— যারা ছিল মুক্তির অগুরু,
যারা ভুলে গেল বধ্যভূমির রক্তভেজা বাড়ি।

ভীত জনপদ চেয়ে দেখেছিল বুলেটের খেলা,
শিশুর চোখে ছিল না কোনো স্বর্গীয় আলোর রেখা।
আমরা তবুও হারাইনি কোনো কালবেলা,
ভেঙেছি শৃঙ্খলা, যা ছিল ইতিহাসে পূর্বেই লেখা।

বুকের গভীরে আজও বারুদগন্ধের ঘ্রাণ,
শহীদেরা ছিল এই ভগ্ন দেশের ভিত্তিপ্রস্তর।
অক্ষম এই হাতে ছিল মৃত্যুর আহ্বান,
তবুও আমরা চেয়েছি জ্বলন্ত সতেজ উত্তর।

ধ্বংসের স্তূপ থেকে আজ জাগে যে জনতার কণ্ঠস্বর,
পতাকার ভাঁজে লুকানো আছে সেই রক্তের ইতিহাস।
প্রকৃতিও আজ শোনে আমাদের নির্বাক কাতরতা,
মুক্তিযুদ্ধ কেবল যুদ্ধ নয়, এ এক বিশাল বিশ্বাস।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বিষয় সামঞ্জস্যতা (Contextual Relevance) আলোচ্য কবিতাটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত হলেও, এটি কেবল বিজয়ের উচ্ছ্বাস বা বীরত্বের বন্দনা নয়। এটি স্বাধীনতার নৈতিক ভার এবং অমোচনীয় দায়—এই দুইয়ের সামঞ্জস্য রক্ষা করে। কবিতাটির মূল বিষয় হলো: ইতিহাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী চরম আত্মত্যাগ এবং সেই ত্যাগের মূল্য হিসেবে প্রজন্মের উপর অর্পিত স্থায়ী ঋণ। কবিতার প্রতিটি স্তবক সেই রক্তক্ষরণ ও পরবর্তীকালে অনুভূত বিশ্বাসঘাতকতার (যেমন: "আত্মা বেচেছিল ঘাসে") প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে। বধ্যভূমি, নিহত নারীর শাড়ি, বারুদগন্ধের ঘ্রাণ—এই শব্দচয়নগুলো যুদ্ধের রূঢ় বাস্তবতার সঙ্গে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। কবিতাটির শৈলীতে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ব্যক্তিগত বিষাদ, তীব্র দ্রোহ এবং অসংকোচ প্রকাশের ভঙ্গি অনুরণিত। কগখঘ ছন্দশৈলীর বাঁধুনি বক্তব্যের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে, আবার অসূয়া, অগুরু, কালবেলা-এর মতো তীক্ষ্ণ ও অভিধানসম্মত শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে কবিতাটি তার ঐতিহাসিক এবং মানসিক গভীরতা অক্ষুণ্ণ রাখে। মোটকথা, এই কবিতাটি মুক্তিযুদ্ধকে একটি স্থির ইতিহাস হিসেবে না দেখে, একটি জীবন্ত নৈতিক প্রশ্ন হিসেবে উপস্থাপন করে। এটি জাতিকে তার রক্তঋণের কথা মনে করিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার মূল্যবোধকে পুনর্প্রতিষ্ঠিত করে, যা বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

১৬ মার্চ - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী