বিকেলের নিস্তব্ধতায় একা হেঁটে যাই,
ঘাসের বুকে ছড়িয়ে আছে ঝরা পাতার দগ্ধ স্মৃতি,
যেন ভ্রূণেই থেমে যাওয়া হাজার স্বপ্নের শরীর,
নিঃশ্বাসহীন, নীরব, কফিনহীন কবরের মতো।
আকাশে ভেসে বেড়ায় ভাঙা ইচ্ছের ধোঁয়া,
বুক ভরে আসে শ্বাসরুদ্ধ অন্ধকারে;
চোখের গভীরে নেচে ওঠে ঝুলন্ত দড়ির ছায়া,
হতাশা যেন ফাঁসির মঞ্চে আমায় টেনে নেয়।
অপর প্রান্তে নিস্পৃহ সূর্য রক্তিম স্রোতে হারায়,
আকাঙ্ক্ষার মিছিল ভেসে যায় রক্ত নদীর প্লাবনে,
শত সম্ভাবনা ভেঙে গুঁড়িয়ে পড়ে ঝড়ের আঘাতে,
ফেরার পথ নেই—আলোর হাতছানি শুধু দূরে।
শূন্য আকাশে জমাট বাঁধা কালো মেঘ,
বর্ষায় ঝরে পড়ে পরাজয়ের নীল জলধারা,
ব্যর্থ জন্মের অপরাধবোধে আচ্ছন্ন মন
গভীর আঁধারের আস্তরণে ডুবে যায় নিঃশেষে।
কিন্তু তীব্র যন্ত্রণার ধারালো বিদ্যুতে
ছিন্ন হয় রাতের দুঃস্বপ্নের গহ্বর,
অর্ধনিদ্রায় জেগে উঠে দেখি—
পূর্বাকাশে দাউ দাউ করে জ্বলে নতুন সূর্য।
সঙ্কল্পের অগ্নিতে গড়ি নতুন রূপরেখা,
পরাজয়ের ছাই থেকে জন্ম নেয় শক্তি,
হতাশার অন্ধকার ভেদ করে গড়ে উঠুক
অদম্য প্রভাত, জয়ের সোনালি আগামী।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
হতাশা মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অনুভূতি, যা প্রায়শই ব্যর্থতা, অপ্রাপ্তি, স্বপ্নভঙ্গ কিংবা একাকিত্বের মুহূর্তে জন্ম নেয়। এটি মনের গভীরে অন্ধকার ছড়িয়ে দেয়, স্বাভাবিক চিন্তাকে গ্রাস করে নেয়, আর জীবনকে স্থবির করে তোলে। ঝরা পাতার মতো স্বপ্নগুলো নিঃশেষ হয়ে যায়, অপ্রকাশিত ইচ্ছেগুলো ভেঙে পড়ে, আর চোখের সামনে তৈরি হয় শুধুই শূন্যতার চিত্র। হতাশা তাই কফিনহীন কবরের মতো এক নিস্তব্ধতা, যেখানে আলো নেই, কেবল আঁধার আর বেদনার ভার।
তবে হতাশা চূড়ান্ত নয়। এটি মানুষের মনের ভেতরে নতুনভাবে বাঁচার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলতে পারে। গভীর অন্ধকারের গর্ভ থেকেই জন্ম নেয় আলো, আর অগ্নিপরীক্ষার মতো যন্ত্রণা থেকেই গড়ে ওঠে নতুন সঙ্কল্প। যখন মানুষ হতাশার ভারে চূর্ণ হতে হতে ভেতরে শক্তি সঞ্চয় করে, তখনই সে পরাজয়ের ছাই থেকে জেগে উঠতে শেখে। তাই হতাশা শুধু ধ্বংস বা অবসাদের প্রতীক নয়; বরং তা এক রূপান্তরের প্রক্রিয়া, যেখানে ভগ্ন স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ থেকে জন্ম নিতে পারে দৃঢ়তা, সাহস এবং আলোর নতুন দিগন্ত।
অতএব, হতাশা বিষয়টির সামঞ্জস্যতা হলো—এটি মানুষের মানসিক অন্ধকার ও যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি হলেও, সেই অন্ধকার ভেদ করে নতুন সূর্যের আলোয় পৌঁছানোই এর চূড়ান্ত পরিণতি।
১৬ মার্চ - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“নভেম্বর ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী