সেই বৃষ্টি ভেজা মুখটা ,আমার আজও মনে আছে।
তার চোখের টান ,নাকে গরন, ঠোঁটের আকৃতি ,সব কিছু ই মন ছুয়ে গেছিলো সেদিন আমার ।
কিন্তু ওই কোয়েক মুহূর্তই আমি তাকে আর পাইনি , পারিনি নিজের করতে তাকে ।
সে আজ বহু দূরে ,এই শুন্য আকাশে মিলিয়ে গেছে , ।
তাইতো আমার রং তুলি দিয়ে তাকে সাজিয়ে তুলি বারং বার ।তবু কেনো জানিনা মন ভরেনা ,
তার ওই দুটি চোখের গভীরতা আমার রং তুলি কিছুতেই মাপতে পারে না ।
আমার সমস্ত অভিজ্ঞতা তখন বৃথা মনে হয়।
তাকে ই একবারই দেখেছিলাম চোখের পলক ।শুধুমাত্র পাঁচ মিনিটের সময়।তারপরই ত সব শেষ মিলিয়ে গেলো ।
একটা ট্রাক আসে আমার জীবনের সমস্ত সময় কে থমকে দিলও ।
হেরে গেলাম আমি ।
হেরে গেলাম।
তাকে আমার সমস্ত কিছু দিয়ে ও বাঁচাতে পারিনি সেদিন ।
তার ওই চোখের চাউনি তে অনেক মায়া ছিল ।বাঁচতে ছেয়ে ছিল সে ।
আমি তার চোখে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম সেদিন ,,,,কিন্তু তার সব স্বপ্ন ওই বৃষ্টি ভেজা রাত্রি তেই শেষ হলে গেলো ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আজও ওই পীচ রাস্তায় ,আমি তাকে দেখি ।
সে আনন্দে আত্নহারা হয়ে ভিজছিলও ,,,,,,,,সে এইভাবেই ভিজতে থাকে কখনো নাচে গান করে গান গান করে ।
কিন্তু আমি তাকে ছুতে পারি না ।আমি জানি সে আমার থেকে বহু দূরে ।যেথায় শূন্যই শুন্য ।আমি জানি সে আমার স্পর্শের বাইরে ।যেখানে আমার ভালোবাসার শব্দ আর সে কোনো দিনও শুনতে পাবে না ।
সেই মুহূর্তে তার চোখ দুটি আমায় পর্যবেক্ষণ করে ।আমি বুঝতে পারি তার মনের কষ্ট । সে একসময় কাদতে থাকে সেই পীচ রাস্তায় মাজ বসে ।কিন্তু আমি তার চোখের জল মুছে দিতে পারি না ।
তার চোখের জল বৃষ্টির জলে দিয়ে যায় ।
সে ফুটিয়ে বাচ্চাদের মত কাদতে থাকে ।তখন আমার মনে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরি ।তার সমস্ত কষ্ট কে ভুলিয়ে দি ।কিন্তু আমি অক্ষম।
সে মিলিয়ে যায় একসময় ।আর দেখা যায় না ।
আর আমি তার অশ্রু ভেজা পীচ রাস্তার মাজ শুয়ে থাকি ।আর অপেক্ষা করতে থাকি একটা চলন্ত ট্রাকের ।
আমি যে তার কাছে যেতে চাই ।তার যে আমায় বিষণ প্রয়োজন ভীষণ ।
আমার মায়াবতী যে একজন কাদছে ,আমি তো জানি ।
কিন্তু তাতেও আমি ব্যর্থ হই ।বারং বার আমি বেছে যাই ।
তার পরই আমি আমার মায়াবতীর চোখে অভিমান দেখতে পাই ।
আমি জানি সে যে আমার জন্যে অপেক্ষা করছিল ,।
আজ এক বছর ধরে সে আমার জন্যে অপেক্ষা করছে ।
আজ সেই বৃষ্টির রাত ।আজই সেদিন ,যেদিন তার রক্ত এই পীচ রাস্তার জল প্রবাহ কেও রক্তাক্ত করেছিল ও ।
আজ আমি আমার মায়াবতির কাছে যাবো বলে শুয়ে আছি ,এই পীচ রাস্তার মাঝে ।
হঠাৎই একটা ট্রাক আমার সামনে এসে থেমে গেলো ।
ট্রাকটা অদ্ভুত ভাবে আমার সাইদ গেসে চলে গেলো ।
_ তূমি এমন করো কেনো ?
একটা মিষ্টি আউয়াজে আমি পেছ গুরে তাকাতেই দেখি ,সে ।
আজ প্রথম আমি তার ভয়েশ শুনলাম ।
মুহূর্তে যেনো আমার সারা শরীরে আনন্দ ধারা বোয়ে গেলো ।
_ কি হলো বলো
তুমি
_ হ্যাঁ আমি ,
আমি জানি তুমি আমায় খুব ভালোবাসো ।জানি আমি কোনোদিন কাওকে ভালোবাসিনি ।ভালোবাশা যে কি তাই বুঝিনি কোনোদিন।
কিন্তু তোমায় দেখে বুঝেছি একটা মানুষ কে কিছু ক্ষণের জন্য দেখে যে তার মৃত্যুর এক বছর পর ও তাকে পাগলের মত ভালোবাসতে পারে।তার ভালোবাসার কাছে দুনিয়ার সব কিছুই হেরে যাবে ।
তুমি আমায় ছেড়ে যেও না প্লিজ।আমি আর পারছি না এ জন্তনা সহ্য করতে ।
_ তোমাকে যে পারতেই হবে সমুদ্র ।
তুমি
_ হ্যাঁ,আমি সব জানি ।তবে তুমি আমার বিষয়ে কিছুই জানওনা ।আমি কবিতা । অনাথ আশ্রমে মানুষ হয়েছি । জানও ওই আশ্রমে কত বাচ্চা আছে তারা খুব অসহায় ।তাদের কারো পা নেই কারো হাত নেই কেও কথা বলতে পারে না ,আর কেও কেও ত এত অসুস্থ যে কোয়েল দিনের মধ্যে অপরেশন না করলে আর বাঁচবে না ।
ওরা আমার ওপর ভরসা করেছিল ।স্বপ্ন দেখেছিল আর পাঁচটা মানুষের মত স্বাভাবিক ভাবে বাঁচার ।কিন্তু আমি যে পারি নি সমুদ্র ।আমি হেরে গেছি ।
আমি তখন এক মাস হয় এ ছিল নতুন জব করছিলাম ।সেদিন আমার প্রথম মাইনে দেয়এ হয়েছিলো ।তাই আমি সবাই কে চলে যেতে বলে একা একা বৃষ্টি ভিজছিলম ।
কিন্তু ওই দুর্ঘটনা আমার আর ওই বাচ্চা গুলোর সমস্ত স্বপ্ন কে শেষ করে দিলও ।
ওরা যে আমার পথ চেটে ছিল ।তাইতো আমি এই পীচ রাস্তায় আমার মাইনের ব্যাগ টা এখনো খুঁজি ,আর কাদি ।আমি জানি আমি আর কিছুই করতে পারবো না তাদের জন্যও ।
সমুদ্র আমি শান্তি চাই ।একটু শান্তি তে গুমোট চাই ।তুমি প্লিজ ওদের হেল্প করো ।নাহলে যে আমি শেষ হলে যাচ্ছি ,,,,,আর পারছি না বিশ্বাস করো ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
কবিতা রাস্তার মাজি হাঁটু গেড়ে বসে কাদতে লাগলো ওজরে ।
কিন্তু সমুদ্র তাকে ছুতে পারে না। তাই তার সামনে হাত জরও করে বলে ,,,,,
তুমিই না কবিতা ,আমি তোমার সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করবো তুমি দেখো ।
কবিতার মুখে হাসি ফোটে ,সে সমুদ্র কে জড়িয়ে ধরতে চায় কিন্তু পারে না ।
কবিতা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে
_ মনের মিল টাই নাহয় রইলো আজনমে ।পরজনমে আমি তোমারই হবো ।অপেক্ষা করো কিন্তু আমার জন্য ।
কবিতা মিলিয়ে যায় ।সমুদ্র কবিতা কে দেয়া কথা রাখে ।তার সব স্বপ্ন পূরণ করে ।
তব সেওই পীচ রাস্তার মাঝে যায় বৃষ্টি হলেই ।
_আরে বুদ্ধু ,বৃষ্টির সময় এখানে রোজ এ লে তো শরীর খারাপ হবে।
তুমি ,,,,,,কোথায় ছিলে এতো দিন।
_ কেনো তোমার মনে
পারোনি অনুভব করতে ।
তুমি যেও না কবিতা ,,,আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারি না একদমই ।
_ আমি তো তোমার সাথেই আছি সমুদ্র ।
তোমার প্রত্যেকটা শ্বাস প্রশ্বাস,,,,হৃদপিন্ডের শব্দে ,তোমার প্রতিটি রোমকূপ এ আমার আমি রয়েছি যে ।
তুমি কি বজো না ।আমি তোমার কতটা কাছে ।
আমি তোমার কাছে যেতে চাই কবিতা ।plz আমায় নিয়ে যাও ।
_তা হয় না সমুদ্র ।
কেনো হোয় না ।
_ সমুদ্র plz বোজার চেষ্টা করও ।এত অস্থির হয়ও না ।আমি জানি তুমি আমায় খুব ভালোবাসো ,,,,কিন্তু সব ভালোবাসা যে পূর্ণতা পায় না ।কিছু ভালোবাসা অপূর্ণতায় পরিপূর্ণ মানুষের জীবন ।
তুমি আমায় ভুলে যাও ত বলছি না ।তবে তুমি নিজেকে এইভাবে শেষ করে দিয়ো না ।তুমি বিয়ে করো ।নতুন করে শুরু করো জীবন ।তাহলে আমি খুব খুশি হব ও ।
সমুদ্রের খুব রাগ হয় কবিতার কথা শুনে,,,,,,,
কখনো না ,তুমি শুধু আমার ,আমি তোমায় ছাড়া আর কাও কে চাই না ,বুজলে,,,,,
_ সমুদ্র plz ,,,,,,,তুমি এমন করলে আমার খুব কষ্ট হয় তুমি কি বোজনা।
আমি কিছু বুঝতে চাই না ,,,আমার কষ্ট টা কেনো বওজনা তুমি ।
কেনো ,,,কেনো ,,,কেনো ,,,,,,,,,
সমুদ্র রাগে অভিমানে কান্না করতে থাকে।
কবিতার খুব কষ্ট হয় সমুদ্র কে দেখে ।সে সমুদ্রর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে ,,,,সমুদ্র কে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে ,,,,,,
_ plzz সমুদ্র এভাবে কেদো না ।আমি তোমার ভালোর জন্যই বলছি ।
তুমি কোনো দিনও আমায় বিয়ে করতে বলবে না ।তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দেবো ।
কবিতার খুব অভিমান হয় কথাটা শুনে।
_যা ইচ্ছে করো তুমি
মিলিয়ে যায় সে।
সমুদ্র চিৎকার করতে থাকে ।
কোথায় গেলে তুমি,,,,,,,
ফিরে এসো বলছি ,,,,,,,
ফিরে এসো,,, না হলে কিন্ত,,,,,,
_অনেক রাত হয়েছে সমুদ্র বাড়ি যাও।
না আমি কোথাও যাব না ।আমি তোমার সাথেই থাকবো।
_ এটা হয় না সমুদ্র প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো।
না না না
আমি যাব না।
তুমি আমার সাথে যাবে।
_কি বলছো সমুদ্র। তুমি তো জানো আমি আর মানুষ নই।
আমি কিছু শুনতে চাই না তুমি যাবে মানে যাবে।
কবিতা বুঝতে পারি সমুদ্র খুব রেগে রয়েছে তাই সে রাজি হয় সমুদ্রের সাথে যাওয়ার জন্য।
_আচ্ছা চলো। কিন্তু তোমায় কথা দিতে হবে তুমি নিজের খেয়াল রাখবে।
হ্যাঁ সব কথা শুনব ।শুধু বিয়ের বাদে।
_কেন সমুদ্।তোমার জীবনটা কেন তুমি আমার জন্য নষ্ট করবে।
চুপ একদম চুপ। আমি তোমার জন্যই বেঁচে আছি। না হলে তো কবেই মারা যেতাম।
_এত ভালোবাসো আমায়।
হ্যাঁ কবিতা খুব ভালোবাসি তোমায়। প্লিজ আমায় একা ফেলে চলে যেও না।
দুজনের চোখেই আজ গভীর ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে রয়েছে। সত্যি মনের মিলিত ভালোবাসা পৃথিবীর সমস্ত অশুভ শক্তির শারীরিক চাহিদা কেও হার মানায়। যেখানে শরীরের চাহিদা থেকেও মনের শান্তি বেশি প্রিয় হয়ে ওঠে।
সমুদ্রর কবিতার ভালোবাসাটাও এরকমই। এভাবেই তারা ঝগড়া অভিমান এর মধ্যে দিয়ে দিন কাটায ।়কিন্তু কবিতা কোনদিনও সমুদ্রকে বুঝিয়ে বিয়ের জন্য রাজি করাতে পারেনি।
এভাবেই প্রত্যেকটা ভালোবাসা বেঁচে থাকুক মানুষের মনএ।